AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

নানা প্রতিকূলতায় আমের ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা


Ekushey Sangbad

০৫:০৫ এএম, এপ্রিল ২২, ২০১৪
নানা প্রতিকূলতায় আমের ফলন কম হওয়ার আশঙ্কা

dddddddএকুশে সংবাদ : বৈরি আবহাওয়া, পোকার আক্রমণ, শীত মৌসুমে বৃষ্টি, মাঝে মধ্যে বৃষ্টির সঙ্গে শিলা, খরায় পানির অভাবে আমের গুটি শুকিয়ে গিয়ে ঝরে পড়াসহ নানা সমস্যায় আক্রান্ত আমের উৎপাদন। এছাড়া আমের মুকুলের পরিমাণও কম। এতোগুলো প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে আম চাষ শুরু হওয়ার পর থেকেই গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে আমের ফলন কম হওয়ার আশঙ্কাই  দেখা দিয়েছে সবার মাঝে। আমচাষি, কৃষি গবেষক ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এসব তথ্য। এদিকে আবহাওয়া অধিদফতর থেকেও সম্প্রতি বৃষ্টিপাতের কোনো খবর মিলছে না। এরকম চলতে থাকলে আম উৎপাদনের ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কাও করছেন অনেকে। গাজীপুরের কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ফল বিভাগ উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মদন গোপাল সাহা বাংলানিউজকে বলেন, এখন পর্যন্ত মাঠ পর্যায় থেকে সংগৃহীত তথ্যে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে প্রায় ২০ শতাংশ আম কম উৎপাদন হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তিনি জানান, মূলত শিলাবৃষ্টি ও বৈরি আবহাওয়ার কারণেই এ বছর কম আম উৎপাদন কম হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে এক বছর আম ভালো উৎপাদন হলে পরের বছরে কম উৎপাদন হয়। গত বছর আমের মুকুল ও আবহাওয়া দুই-ই অনুকূলে থাকায় আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ হিসাবে চলতি বছর কম আম উৎপাদন হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। এই কৃষিবিদ আরও জানান, শুরু থেকে আবহাওয়া অনুকূলে না থাকার কারণে কয়েকদিন পরে আমের ওপর আরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের খাদ্যশস্য উইংয়ের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ হাবিবুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, গত বছর ১৫ লাখ ৬ হাজার ৩২২ হেক্টর জমিতে ১ কোটি ৫০ লাখ ৪ হাজার ৮১৫ মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয়েছে। চলতি বছরেও প্রায় একই পরিমাণ জমিতে আম চাষ হয়েছে। তবে এবারের আবহাওয়া এখন পর্যন্ত অনেকটাই বৈরি। আবহাওয়া অনুকূলে না থাকলে বাম্পার ফলন হবে না। তিনি আরও জানান, আমচাষিদের জন্য কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সেবামূলক পদক্ষেপ, সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা এবং সেচ সুবিধায় উপকরণ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ঊর্দ্ধতন কৃষি কর্মকর্তারা জানান, এখন পর্যন্ত মাঠ পর্যায় থেকে পাওয়া প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে, চলতি বছরে আমের বাম্পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা একেবারেই নেই। রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার আমচাষি সুমন রহমান বাংলানিউজকে বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছরে আমাদের এলাকায় অর্ধেক আম উৎপাদন হবে। এমনিতেই আমের মুকুল কম এসেছে। শীতের মধ্য বৃষ্টি ও গত কিছুদিন আগে শিলা বৃষ্টির কারণে আরও বেশি ক্ষতি হয়েছে। গাছে শুধু নতুন পাতা রয়েছে, মুকুল নেই বললেই চলে। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ সানাউল হক মণ্ডল জানান, চলতি সপ্তাহে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনা নেই বললেই চলে। আগামী সপ্তাহে ‍কিছু বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার আমচাষি ও ব্যবসায়ী রেজাউল করিম মনে করেন, তার জেলায় গত বছরের তুলনায় এ বছর ৮০ শতাংশ আম পাওয়া যাবে। তিনি বাংলানিউজকে জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর আমের উৎপাদন কম হওয়ার প্রধান কারণ হলো বৈরি আবহাওয়া। আর এক থেকে দেড় মাস পর থেকেই আম পাকা শুরু হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশের মধ্যে সবচেয়ে আম বেশি চাষ ও উৎপাদন হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জে। এখানে প্রায় প্রতি বছর ২০ হাজার হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়। এছাড়া ৬ থেকে ৮ হাজার হেক্টর জমিতে রাজশাহী, গাজীপুর, টাঙ্গাইল, নওগাঁ, ঠাকুরগাঁও, খুলনা ও পটুয়াখালীতে আমের চাষ হয়। তবে দেশের কমবেশি ৬৪ জেলাতেই আম উৎপাদন হয় বলে জানান তারা। কৃষিসম্প্রসারণ অধিদফতরের মানসম্পন্ন উদ্যান প্রকল্পের পরিচালক কৃষিবিদ এস এম কামরুজ্জামান জানান, তিন ভাগে ভাগ হয়ে বাজারে আম পাওয়া যাবে। বছরের শুরু থেকে পর্যায়ক্রমে গোবিন্দভোগ, হাড়িভাঙ্গা, ল্যাংড়া, গোপালভোগ, খিরসাপাত, আম রুপালী, মল্লিকা, মোহনভোগ, ফজলি, রান গোঁয়াই, আশ্বিনা আম বাজারে পাওয়া যাবে। তবে এ বছরের বিশেষ আকর্ষণ হলো গৌরমতি ও ব্যানোনা ম্যাংগো আম। একুশে সংবাদ ডটকম/এমপি/২২-০৪-১৪
Link copied!