বিএনপির লংমার্চ, হঠাৎ তিস্তায় পানি
একুশে সংবাদ : হঠাৎ তিস্তা নদীতে পানিপ্রবাহ বেড়েছে। পানির অভাবে অকার্যকর হতে বসা দেশের বৃহৎ তিস্তা ব্যারেজ সেচ প্রকল্প সচল হয়ে উঠেছে। অপ্রত্যাশিতভাবে পানি পেয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন প্রকল্প এলাকার কৃষকেরা।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেছেন লংমার্চ সফল হয়েছে। তিস্তায় পানি আসতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ঢাকা থেকে তিস্তা অভিমুখে লংমার্চ শুরু করে বিএনপি।
এদিকে, পানি বাড়ায় নীলফামারীর তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্ট এলাকার কৃষকরা ব্যস্ত হয়ে পড়েছে কৃষকরা। তারা জানিয়েছে, মঙ্গলবার ব্যারেজ পয়েন্টে পৌঁছেছে তিন হাজার ছয় কিউসেক পানি।
কৃষকরা বলেন, রাতেও তিস্তায় পানি ছিল না। কয়েকদিন ধরে শ্যালো দিয়ে সেচ দিয়েছি। এখন পানির অভাব নাই। এই রকম পানি পেলে আবাদের কোনো অসুবিধা হবে না। যে পানি এসেছে তা দিয়ে আগামী ১০ দিন চালিয়ে নেয়া যাবে।
এক কৃষক জানালেন, পানির অভাবে গত ২০ দিনের ব্যবধানে তাঁর দুই বিঘা জমির পাটবীজ দুবার নষ্ট হয়ে গেছে।
এলাকাবাসী জানায়, এ বছর শুষ্ক মৌসুমে তিস্তা ব্যারাজ পয়েন্টে তিস্তার পানি নেমে আসে প্রায় শূন্যের কোঠায়। তিস্তায় দেখা দেয় স্মরণকালের ভয়াবহ পানিশূন্যতা। তিস্তা ব্যারেজ সেচ প্রকল্পের আওতায় থাকা প্রধান সেচখাল হয়ে দিনাজপুর, রংপুর ও বগুড়া খাল প্রায় শুকিয়ে যায়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড এ প্রকল্পের আওতায় ৬০ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে সেচ দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করে ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে পালাক্রমে সেচ প্রদান করে। এটি লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকেরও কম। এতে ওই প্রকল্প এলাকার তিন জেলার ১২ উপজেলার বোরো চাষিরা বিপাকে পড়েন। পানির জন্য শুরু হয় তাঁদের হাহাকার।
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে তিস্তার পানি কমতে কমতে ৫০০ থেকে ৫৫০ কিউসেকে দাঁড়ায়। অথচ এ সময় এ নদীতে স্বাভাবিকভাবে গড়ে পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার কিউসেক পানি থাকা প্রয়োজন। গত রবিবার ৬৮৮ কিউসেক এবং সোমবার পানিপ্রবাহ ছিল ৮৩০ কিউসেক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবর রহমান পানি কিভাবে বাড়ল তার সঠিক তথ্য দিতে পারেন নি। তবে তিনি ধারনা করে জানান, গজলডোবা ব্যারেজের গেট খুলে দিতে পারে ভারত।
একুশে সংবাদ ডটকম/আর/২৩-০৪-০১৪:
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :