আমের মুকুলে হোপার পোকার আক্রমণ আম চাষিরা আতঙ্কিত
একুশে সংবাদ : চলতি মৌসুমে আমবাগান গুলোতে হোপার পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে ব্যাপক ভাবে। বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক ও বালাইনাশক ব্যবহার করেও কোনো প্রতিকার না পাওয়ায় দিশাহারা হয়ে পড়েছেন এই এলাকার বাগান মালিক ও আম চাষিরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বেশিরভাগ আমগাছে মুকুল আসার পর থেকেই মুকুলের বিভিন্ন অংশের শিরায় ও পাতায় হোপার পোকা আক্রমণ করেছে। ফলে গাছের পাতা ও আমের কুঁড়িগুলো কালো রঙ ধারণ করছে। এর কয়েক দিন পর তা ক্রমে শুকিয়ে ঝরে ঝরে গাছের নিচে পড়ে যাচ্ছে।
তাতারপুর আমবাগান মালিক টিপু জানান, গত দুই বছর ধরে হঠাৎ করে আমবাগান গুলোতে এই হোপার পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। এই পোকার আক্রমণ থেকে রেহাই পেতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের পরামর্শ মোতাবেক বাজার থেকে বিভিন্ন প্রকার বালাইনাশক ক্রয় করে ব্যবহার করেও এথেকে তেমন কোনো সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে বাগানের একটি আমগাছে আক্রমণ শুরু হলে রাতারাতি এই পোকা অন্য গাছগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে তড়িৎ গতিতে। তবে ইষ্ট ওয়েষ্ট কোম্পানিতে চাকরি করে ডিপে¬¬ামা কৃষিবিদ মোহাম্মাদ আলী এর কাজ থেকে পরার্মশ নিয়ে ই-টাপ, ইকোজিম, হাইপাওয়ার ব্যবহার করে ভাল ফল পেয়েছি।
উপজেলার বানেশ্বর এলাকার আঃ সালাম জানান, গত দুই বছর ধরে আম বাগানে হোপার পোকার আক্রমণের কারণে গাছে মুকুলের পরিমাণ কমে গেছে। প্রতি বছরই সঠিক পরিচর্যা করেও এর প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। তারা অভিযোগ করে বলেন, এলাকার কীটনাশক ব্যবসায়ীরা বেশি লাভের আশায় ভেজাল ও মেয়াদোত্তীর্ণ বালাইনাশক সরবরাহ করায় এ থেকে ভালো ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে না।
এ ব্যাপারে ডিপে¬¬ামা কৃষিবিদ মোহাম্মাদ আলী জানান, এগুলো হচ্ছে হোপার পোকা, এই পোকা রাতা-রাতি আমের মুকুলের রস চুষে খেয়ে ফেলছে যার কারনে রস শুকিয়ে ঝরে পড়ে যাচ্ছে মুকুল। আলো বাতাস ভালোভাবে চলাচল করতে না পারায় হোপার পোকার বংশবৃদ্ধি করার সুযোগ পায়। এজন্য পাতার নিচের অংশ ও গাছের গোড়ায় সঠিক মাত্রায় বালাইনাশক ¯েপ্র করলে এ পোকা থেকে রেহাই পাওয়ার যায়।
এদিকে হোপার পোকার আতংকে আম চাষিরা বেশি মাত্রায় বালাইনাশক ব্যবহার করার ফলে উপকারী মৌমাছিরা গাছে থাকতে না পারায় পরাগায়ন হচ্ছে না এতে করে আমের মুকুলের গুঠিও আসচ্ছেনা। এজন্য আম চাষিদের লাভের চেয়ে লোকসানের আশংকাই বেশী।
একুশে সংবাদ ডটকম/এমপি/২৩-০৪-১৪
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :