নিখোঁজ বিমানের খোঁজে টাইটানিক অনুসন্ধানের প্রযুক্তি ব্যবহার
একুশে সংবাদ : মালয়েশিয়ার নিখোঁজ বিমানের ধ্বংসাবশেষ অনুসন্ধানে আরো শক্তিশালী প্রযুক্তি ব্যবহারের পরিকল্পনা করেছে অস্ট্রেলিয়ার কর্তৃপক্ষ।
এ ক্ষেত্রে আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে যাওয়া টাইটানিক জাহাজ খুঁজতে ২৯ বছর আগে ব্যবহার করা প্রযুক্তি কাজে লাগানোর কথা ভাবা হচ্ছে।
আজ বুধবার আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো এ তথ্য প্রকাশ করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিখোঁজ বিমানের ধ্বংসাবশেষ অনুসন্ধানে ভারত মহাসাগরে মিনি সাবমেরিন ব্যবহার করেও কোনো সফলতা আসেনি। এমন প্রেক্ষাপটে নতুন ও শক্তিশালী প্রযুক্তি ব্যবহারের কথা ভাবছে কর্তৃপক্ষ। বিমান অনুসন্ধানের পরবর্তী পর্যায় নিয়ে মালয়েশিয়া, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা করছে অস্ট্রেলিয়া।
১৯১২ সালে উত্তর আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে যায় যাত্রীবাহী আরএমএস টাইটানিক। শক্তিশালী প্রযুক্তির সাহায্যে ১৯৮৫ সালে জাহাজটি খুঁজে বের করা হয়।
এছাড়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কার অস্ট্রেলিয়ার যুদ্ধজাহাজের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেতে ২০০৮ সালে শক্তিশালী প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডেভিড জনস্টোন বার্তা সংস্থা এপিকে বলেন, টাইটানিক ও অস্ট্রেলিয়ার যুদ্ধজাহাজ খুঁজে পেতে যে ধরনের শক্তিশালী প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছিল মালয়েশিয়ার নিখোঁজ বিমান অনুসন্ধানেও একই ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হতে পারে।
মালয়েশিয়া এয়ারলাইনসের এমএইচ ৩৭০ উড়োজাহাজটি ২৩৯ জন আরোহী নিয়ে গত ৮ মার্চ রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়। কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিংয়ের উদ্দেশে যাত্রা করার এক ঘণ্টা পরই রাডারের সঙ্গে এর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
কৃত্রিম উপগ্রহের (স্যাটেলাইট) মাধ্যমে সংগৃহীত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে মালয়েশিয়ার সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, উড়োজাহাজটি ভারত মহাসাগরের দক্ষিণ অংশে ধ্বংস হয়েছে। দুর্ঘটনাস্থল অস্ট্রেলিয়ার পার্থ শহর থেকে কয়েক হাজার কিলোমিটার পশ্চিমে। মহাসাগরের সংশ্লিষ্ট এলাকায় অনুসন্ধানের কাজ চলছে।
একুশে সংবাদ ডটকম/এমকেএইচ/২৩-০৪-০১৪:
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :