AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

হালদা নদীতে ডিম ছাড়ছে না মা মাছ!


Ekushey Sangbad

১১:৫০ এএম, এপ্রিল ২৩, ২০১৪
হালদা নদীতে ডিম ছাড়ছে না মা মাছ!

একুশে সংবাদ : প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র চট্টগ্রামের হালদা নদীতে মা মাছ ডিম ছাড়ছে না। বৃষ্টি না হওয়ার কারণে মা-মাছ নদীতে শুধু আনাগোনা করছে। আর কখন ডিম ছাড়বে এ অপেক্ষায় হালদা পাড়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছে পোনা আহরণকারীরা। পোনা আহরণকারীরা জানান, প্রতিবছর চৈত্র থেকে বৈশাখ মাসে অমাবস্যা বা পূর্ণিমা তিথির বৃষ্টিতে প্রবল স্রোত সৃষ্টি হলে হালদা নদীতে ডিম ছাড়ে মা মাছ। কিন্তু এ বছর চৈত্রের শুরুতে বৃষ্টি হলেও নদীতে প্রবল স্রোত সৃষ্টি হয়নি। চৈত্র গিয়ে বৈশাখ আসলেও সেই কাঙ্ক্ষিত বৃষ্টির দেখা মেলেনি এখনো। অথচ ডিমের আশায় হালদা পাড়ে পোনা আহরণকারীরা অপেক্ষার প্রহর গুণছে। কখন মা-মাছ ডিম ছাড়বে। এই ডিম স্থানীয় দুর্বৃত্তরা যাতে লুট করতে না পারে সেজন্য চট্টগ্রামের রাউজান ও হাটহাজারী উপজেলার প্রায় ২০ কিলোমিটার অংশে পাহারাও বসিয়েছে মৎস্য অধিদপ্তর। হাটহাজারী উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আবদুল আল মামুন জানান, হালদা নদীতে প্রতিবছর চৈত্র-বৈশাখ মাসে রুই, কাতলা মৃগেল ও কার্প জাতীয় মা মাছ ডিম ছাড়ে। চৈত্র মাসে নদীতে ছাড়া ডিম খুবই উৎকৃষ্ট। এ ডিমের পোনা দ্রুত বর্ধনশীল। বাংলা সনের শেষ মাস থেকে ফালগুন মাসের শেষ দিকে সাংগু, মাতামুহুরী, কর্ণফুলীসহ বিভিন্ন শাখা নদী ও খাল থেকে মা মাছ ডিম ছাড়ার জন্য হালদা নদীতে চলে আসে। তিনি জানান, প্রতি বছরের মতো এবারও মা মাছগুলো হালদা নদীতে এসেছে। মাছের পেট ভর্তি ডিম নিয়ে চৈত্র মাসে অমাবস্যা ও পূর্ণিমা দুটি বড় তিথি চলে গেছে। কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ায় মা মাছ ডিম ছাড়েনি। নদীতে ডিম ছাড়তে বজ্রসহ প্রবল বর্ষণ প্রয়োজন। বর্ষণের ফলে সৃষ্ট পাহাড়ি ঢলের বেগ প্রবল হলে মা মাছগুলো উজানে এসে ডিম ছাড়ে। কিন্তু এবার চৈত্র মাসে সামান্য বৃষ্টি হলেও প্রবল বর্ষণ হয়নি। তিনি বলেন, ডিম আহরণের জন্য আহরণকারীরা সরঞ্জাম নিয়ে ইতোমধ্যেই তাদের যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। একসময় মাটির কুয়া ডিম থেকে রেনু ফোটানোর একমাত্র মাধ্যম ছিল। সনাতনী এ পদ্ধতিতে ডিম ফোটাতে গিয়ে অনেক ডিম নষ্ট হত। বিষয়টি সরকারের দায়িত্বশীল বিভাগের দৃষ্টিগোচর হলে মৎস্য বিভাগের পক্ষ থেকে হাটহাজারীতে চারটি এবং রাউজানে তিনটি হ্যাচারী প্রতিষ্ঠা করা হয়। এসব হ্যাচারীতে আধুনিক প্রদ্ধতিতে ডিম থেকে রেনু ফোটানো হয়। এতে করে ডিম বেশী নষ্ট হয় না। হালদা নদী ফটিকছড়ি, হাটহাজারী ও রাউজানের সীমানা নির্ধারণকারী। ফটিকছড়ি এলাকায় মা মাছ স্বাধীনতার পর থেকে ডিম ছাড়ে না বলে এ উপজেলায় সরকার ডিম ফোটানোর জন্য কোন হ্যাচারী প্রতিষ্ঠা করেনি। তিনি আরো বলেন, সামনে অমাবস্যা তিথি। এ তিথিতে বর্ষণ হলে মা মাছ নদীতে ডিম ছাড়তে পারে। ইতোমধ্যে নদীতে মা মাছের আনা গোনা চলছে। ডিম আহরণকারীরাও প্রস্তুত রয়েছে। হ্যাচারীগুলোও ঠিক করে রাখা হয়েছে। নদী থেকে দুর্বৃত্তরা যাতে মা মাছ মারতে না পারে সেজন্য পাহারার ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য অধিপ্তরের সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন আহমেদ প্রাইমনিউজ.কম.বিডিকে বলেন, হালদা নদী থেকে প্রতিবছর যে পরিমাণে ডিম আহরিত হয় তা মিঠা পানির সুস্বাদু মাছের উৎপাদনে রেকর্ড পরিমাণ ভূমিকা রাখে। এ মাছ দেশের চাহিদা পূরণ করে। তিনি জানান, মা মাছ ডিম ছাড়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীল। ফলে ডিম ছাড়ার মত প্রাকৃতিক পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্র সৃষ্টিসহ এই মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র হালদা নদী সংরক্ষণে মৎস্য অধিদপ্তর প্রাণপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। উল্লেখ্য, গত বছর এই হালদা নদী থেকে এক হাজার ৫০ কেজিরও বেশি ডিম আহরিত হয়। এর আগের বছর আহরিত হয় ৬০০ কেজির মত। তবে এবার মাছের আনা-গোনা যেরকম দেখা যাচ্ছে তা আশাব্যঞ্জক। সবকিছু যদি অনুকূলে থাকে তাহলে এক হাজার ৭০০ কেজি-এক হাজার ৮০০ কেজি পর্যন্ত ডিম আহরণ করা সম্ভব হতে পারে বলে মত প্রকাশ করেন জেলা সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা কামাল উদ্দিন আহমেদ। একুশে সংবাদ ডটকম/এমপি/২৩-০৪-১৪
Link copied!