AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বীরগঞ্জে ১০মিনিট পূর্বে পরীক্ষার খাতা নেওয়ার অভিযোগে অধ্যক্ষ অবরুদ্ধ


Ekushey Sangbad

০১:৩১ পিএম, এপ্রিল ২৩, ২০১৪
বীরগঞ্জে ১০মিনিট পূর্বে পরীক্ষার খাতা নেওয়ার অভিযোগে অধ্যক্ষ অবরুদ্ধ

jjjjjjjjjjjjjjj বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) থেকে ঃ দিনাজপুরের বীরগঞ্জে মহিলা কলেজ কেন্দ্রে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষা শেষ হওয়ার ১০মিনিট পূর্বে খাতা কেড়ে নেওয়ায় বিক্ষুদ্ধ পরীক্ষার্থীদের তপের মুখে অবরুদ্ধ কেন্দ্র সচিব ও মহিলা কলেজ অধ্যক্ষ জহিরুল হক। বিক্ষুদ্ধ ছাত্রদের হামলায় মটর সাইকেলসহ কলেজের আসবাবপত্র ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ। উপজেলা চেয়ারম্যানের হস্তক্ষেপে ৫ ঘন্টা পর অধ্যক্ষ মুক্ত। পদত্যাগ পত্র জমা দিয়ে কলেজ হতে পলায়ন। গত বুধবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বীরগঞ্জ মহিলা কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী বিজ্ঞান, বানিজ্য বিভাগের পরীক্ষার্থীদের অভিযোগে জানা যায়, চলমান উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় আজ বিজ্ঞান বিভাগের পদার্থ, বানিজ্য বিভাগের ব্যবস্থাপনা এবং মানবিক বিভাগের অর্থনীতি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় ৬শত জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে। সকালে যথারীতি খাতা দিলেও প্রশ্নপত্র ৫মিনিট পরে প্রদান করা হয়। কিন্তু পরীক্ষা দুপুর ১টায় শেষ হওয়ার কথা থাকলেও ১২টা ৫০ মিনিটে ৯ নম্বর কক্ষে নিয়োজিত গোলাপগঞ্জ কলেজের প্রভাষক আশরাফুল ইসলাম খাতা নিয়ে নেয়। পরীক্ষার্থীরা প্রতিবাদ জানালে তা ছড়িয়ে পড়ে সব কক্ষেই। এক সময় প্রতিবাদ সংঘর্ষের আকার ধারণ করে। এসময় বিক্ষুদ্ধ পরীক্ষার্থীরা ৪টি মটর সাইকেলসহ কলেজের আসবাবপত্র ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এক পর্যায়ে তারা কলেজের অধ্যক্ষকে অবরুদ্ধ করে বাইরে তালা লাগিয়ে দেয়। বিজ্ঞান বিভাগের পরীক্ষার্থী উজ্জ্বল রায় জানান, আমরা বীরগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের ছাত্র। বীরগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের ফলাফল বরাবরেই ভাল এ কারণে অধ্যক্ষ আমাদের সাথে এরূপ আচরণ করছেন। পাশাপাশি অধ্যক্ষ হল সুপার প্রভাষক সেলিম স্যারকেও অপমান করে। সংবাদ পেয়ে বিকেল ৪ টায় বীরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান সাবেক এমপি মোঃ আমিনুল ইসলাম ও বীরগঞ্জ পৌর আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক রফিকুল ইসলাম এসে বিক্ষুদ্ধ পরীক্ষার্থীদের নিয়ে আলোচনায় বসেন। এর পর বীরগঞ্জ থানার এস আই বোরহানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয়। আলোচনা শেষে অধ্যক্ষ পরীক্ষার্থীদের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করে কলেজ হতে অব্যাহতি পত্র জমা দিলে বিক্ষুদ্ধ পরীক্ষার্থীরা তাঁকে মুক্ত করে দেয়। এ ব্যাপারে অধ্যক্ষ জহিরুল হককের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন। তবে এলাকাবাসী দুর্নীতিবাজ অধ্যক্ষ জহিরুল হকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দিনাজপুর-১ (বীরগঞ্জ-কাহারোল) আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল, বীরগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান সাবেক এমপি আমিনুল ইসলাম এবং বীরগঞ্জ মহিলা ডিগ্রী কলেজ সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি জাকারিয়া জাকার আশু হস্তক্ষেপ কামনা করে কলেজের সুনাম বজায় রাখার জর দাবি জানান।
Link copied!