AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ফিলিস্তিনীরা যেন বানের জলে ভেসে আসা গবাদি পশুর মতো: কবীর সুমন


Ekushey Sangbad

০৬:৪৯ এএম, জুলাই ১৪, ২০১৪
ফিলিস্তিনীরা যেন বানের জলে ভেসে আসা গবাদি পশুর মতো: কবীর সুমন

একুশে সংবাদ : ফিলিস্তিনে গাজা উপত্যকায় হামাসের স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। জবাবে হামাসও ইসরায়েলে রকেট হামলা করে চলেছে। গত কয়েকদিন ধরে হামলা-পাল্টা হামলায় ফিলিস্তিনে মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। ফিলিস্তিনি ভূ-খণ্ডে ইসরায়েলের হামলা নতুন নয়। এই সংঘাতকে কেন্দ্র করে রেডিও তেহরানকে একটি সাক্ষাৎকার দেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কণ্ঠশিল্পী কবীর সুমন। সাক্ষাৎকারটি ১৮ জানুয়ারি, ২০০৯ তারিখে সম্প্রচার হয়। গাজায় নতুন করে ইসরায়েলি হামলার পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী সমালোচনার ঝড় উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে প্রাসঙ্গিক হওয়ায় সাক্ষাৎকারটি রাইজিংবিডি ডটকম প্রকাশ করছে। রেডিও তেহরান : ফিলিস্তিনে ইসরায়েল পরিকল্পিতভাবে গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রকাশ্যেই ইসরায়েলকে এই গণহত্যার ব্যাপারে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘ বা পশ্চিমা দেশগুলো কার্যকর কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না। এই বাস্তবতাকে আপনি কীভাবে দেখছেন? কবীর সুমন : আমি কোন ধর্মের উপর কটাক্ষ করতে চাই না বা কোন মানব গোষ্ঠী সম্পর্কে আমার কিচ্ছু বলার নেই। তবে ফিলিস্তিন প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে আমি প্রথমেই বলবো, ইসরায়েল রাষ্ট্র গঠনের সময় কতগুলো গোলমেলে বিষয় ঘটে গিয়েছিল। ফিলিস্তিনের যারা আদি বাসিন্দা অর্থাৎ আজ যেখানে ইসরায়েল রাষ্ট্র গঠিত হয়েছে সেখানকার বাসিন্দাদের প্রতি কোন বিশেষ দৃষ্টিপাত না করে বিদেশ বা অন্যান্য দেশ থেকে ইহুদীরা এসে সেখানে বসতি গড়ে তোলে। ফলে সেখানকার আদিবাসীরা তাদের গুরুত্ব হারিয়ে ফেলে। এটি গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় এবং তা আমাদের বুঝতে হবে। আমি কিন্তু ইসরায়েলের সার্বভৌমত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছি না। শুরু থেকেই এই দেশটি প্রতিবেশীদের প্রতি যে আচরণ করেছে তা ছিল প্রচণ্ডরকম বৈরী। তবে এ প্রসঙ্গে বলে রাখছি, সেখানে কেবল মুসলমান বা ইহুদীরা বাস করে না, সেখানে খ্রিস্টানরাও বাস করে । তো ইসরায়েলের প্রতিবেশী দেশগুলোর উপর যে বৈরী মনোভব ছিল তার পেছনে মার্কিন সরকারের যথেষ্ট সমর্থন ছিল। এখানে আমি একটা ঐতিহাসিক সমস্যার কথা তুলে ধরবো। নাৎসিরা ইহুদীদের উপর অবিচার করার ফলে এবং ব্যাপক ইহুদী নিধন হওয়ার ফলে তাদের সম্পর্কে কিছু কথা বলতে গেলেই মানুষ ভাবত যে তারা এন্টি সেমাইট কিছু করে ফেলছে কি না । আমার মনে হয়, ইসরায়েল রাষ্ট্রের যারা কর্ণধার ছিলেন তারা কেউ কেউ এই সুযোগটি গ্রহণ করেছেন। তাছাড়া মার্কিনীদের এবং একাধিক পশ্চিমা দেশের অকুণ্ঠ সমর্থনের কারণে ইসরায়েল প্রতিবেশীদের প্রতি তাদের বৈরী আচরণ আপন মনে চালিয়ে যেতে পেরেছে। তখন মানুষ এক ধরনের বিবেক দংশনে ভুগছিল। কেননা সবাই তখন মনে মনে ভাবত নাৎসিরা কয়েক লাখ ইহুদী নিধন করেছে। তবে তখন নাৎসিরা শুধুমাত্র ইহুদীদের বধ করেনি, তখন বহু জিপসীদেরকেও সমূলে নিধন করা হয়েছিল। কিন্তু মজার ব্যাপার কি জানেন- সেই জিপসীদের মর্মান্তিক মৃত্যুর কথা কিন্তু একবারও কেউ বলে না; তারা কেবল ইহুদীদের কথা বলে ফলাও করে। আর নীরব থাকে জিপসী নিধন সম্পর্কে। আসলে কথাটা এরকম যে, পশ্চিমা দেশগুলো ইহুদীদের বিষয়ে কেবল সরব; একই প্রসঙ্গে অন্যদের ব্যাপারে তাদের মাথা ব্যথা নেই। আমি এসব কথা কিন্তু কোন সাম্প্রদায়িক জায়গা থেকে বলছি না। দেখুন, যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ প্রচার মাধ্যমের মালিক হলেন ইহুদীরা। ফলে যুক্তরাষ্ট্রে ইহুদীদের যে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা আছে সেটির তারা পূর্ণ সদ্ব্যবহার করেন। আর বর্তমানে যে ঘটনা ঘটছে এটি তো নতুন কিছু নয়। এটি বারে বারে ইতিহাসে ঘটেছে। গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনীরা যেন বানের জলে ভেসে আসা কিছু গবাদি পশুর মতো। আসলে গবাদি পশুর মতো বলছি কেন, বর্তমানে গাজা উপত্যকার মানুষের সকরুণ অবস্থা গবাদি পশুর চেয়েও খারাপ। আর এ মর্মান্তিক বিষয় নিয়ে যখন যুক্তরাষ্ট্র পলিটিক্স করে তখন তাদের সম্পর্কে আর কি বলবো! আজকের এই নৃশংস ও অমানবিক পরিস্থিতিতে আমি বা আমরা শুধু কামনা করতে পারি তাদের যেন শুভ বুদ্ধির উদয় হয়। আরো একটি মজার ব্যাপার হলো, আজকের পৃথিবীতে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া বাকী পৃথিবীর দেশগুলো কিন্তু ফিলিস্তিনের বিষয়ে বা পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের অমানবিক কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে নীরব। কারণ তারা আমেরিকার পুঁজির কাছে মাথা বিক্রি করে বসে আছে। রেডিও তেহরান : ইসরায়েলি আগ্রাসনে প্রায় ৯০০ মানুষ নিহত হলো, নিহতদের মধ্যে প্রায় ৩০০ শিশু রয়েছে। এই বর্বরতা ও নৃশংসতার দৃশ্য প্রতিদিনই দেখছি। এরপরও কি বলা যাবে পশ্চিমা বিশ্ব বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের কর্তা ব্যক্তিদের মনে মানবাধিকারের প্রতি ন্যূনতম শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে? কবীর সুমন : যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার নিয়ে কথা বলার অধিকার নেই। একটা বিষয় দেখুন, ইরানকে মারার জন্যে সাদ্দামকে তৈরি করা হলো। আমি একথা বলার সাথে সাথে কিছু লোক বলবে, সুমন কি ইরানের টাকা খেয়েছে? কিন্তু তাতো না। এটা ইতিহাস। আমি সে সময় পাশ্চাত্যে ডয়েচেভেলেতে সাংবাদিকতা করতাম। আমাদের নাকের ডগা দিয়ে ইরাককে তৈরি করা হলো। কারণ ইরানের শাহতন্ত্র ছিল যুক্তরাষ্ট্রের পা চাটা এজেন্ট। কিন্তু যখন ইরানের সাধারণ নির্যাতিত মানুষ ঘৃণ্য গোয়েন্দা বাহিনী সাভাকের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ালেন তখন মার্কিনীরাসহ পশ্চিমারা বলতে শুরু করলেন ‘ইসলামী মৌলবাদ’। তা হলে প্রশ্ন হলো, এতদিন কোন মৌলবাদ ছিল? ইরানের সাধারণ মানুষের যে গণজাগরণ তাকে সহ্য করতে পারল না যুক্তরাষ্ট্র। আর তখনই ইরানকে শাসন করার ষড়যন্ত্র করলো। আর সেই ষড়যন্ত্র পূরণ করতে সাদ্দাম হোসেনকে ব্যবহার করা হলো। অথচ এই সাদ্দাম হোসেন অগণতান্ত্রিকভাবে অসংখ্য নিকটাত্মীয় খুন করে ক্ষমতায় এসেছিলেন। সেই সাদ্দামকে যুক্তরাষ্ট্র দুহাত ভরে অস্ত্র ও টাকা দিল। তাদের শর্ত হচ্ছে ইরানে আগ্রাসন চালাতে হবে। আর সে সময় বিশ্ববাসীর নাকের ডগা দিয়ে ইরাক ইরানে হামলা করলো। সেই যুদ্ধে গো-হারা হেরে গিয়েও ইরাক বা যুক্তরাষ্ট্রের লজ্জা হলো না। তখন মানবাধিকার কোথায় ছিল? শাহের আমলে ইরানের সাধারণ মানুষের উপর যে নির্বিচারে অত্যাচার হয়েছিল তখন মানবাধিকার কোথায় ছিল? ইরানের গণজাগরণের সময় তখন মার্কিন নেতৃত্বাধীন বন্ধু রাষ্ট্রগুলো ইরান সম্পর্কে উল্টো-পাল্টা কথা বলেছে আসল বিষয়টিকে লুকিয়ে। সেখানে চূড়ান্ত মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছিল। তখন তাদের মুখে মানবাধিকারের কথা শোনা যায়নি, উল্টো শোনা গেছে নির্যাতিতরা মৌলবাদী, তারা সন্ত্রাসী। তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তো আগাগোড়াই মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে। মিথ্যা অজুহাতে এবং অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্র বহু জায়গায় হামলা ও অত্যাচার চালিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। যুক্তরাষ্ট্র পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে আক্রমণ চালিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে। ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা অন্যান্য দেশগুলা যখন মায়াকান্না করে মানবাধিকারের কথা বলে তখন সত্যিই বিস্ময় জাগে, হাসি পায়। রেডিও তেহরান : ফিলিস্তিনে গত তিন দশক ধরে গণহত্যা, জুলুম ও অত্যাচার করেও ইসরায়েলিরা এ অঞ্চলের মানুষকে স্তব্ধ করে দিতে পারেনি, আপনার কি মনে হয় গাজায় এভাবে আরবদের খুন করে ইসরায়েলিরা তাদের লক্ষ্যে পৌঁছুতে পারবে? কবীর সুমন : কখনও না। ইসরায়েল এভাবে তাদের লক্ষ্যে পৌঁছুতে পারবে না। আমি এখানে কেবল একটি পক্ষই নিতে পারি। আর সেটি হচ্ছে অসহায় ও নির্যাতিত মানুষের পক্ষ। ইসরায়েল যখন গাজায় যুদ্ধ করছে তখন সেখানে নিরীহ শিশু, নারীসহ মানুষ তো মরছেই; তবে শুধু কি মানুষ মরছে? যখন কোথাও যুদ্ধ হয় সেখানে কি শুধু মানুষ মরে; যে দেশে প্রাণ মরে সে দেশের টিকটিকিটাও মরে; সেদেশের গরু, ভেড়া, ছাগলও মরে, গাছ মরে- এটা আমরা ভেবে দেখি না । মুর্খ অপরিণামদর্শী ইসরায়েল ইতিহাস বিস্মৃত। ইসরায়েল যদি মনে করে থাকে তার অধিকাংশ ইহুদী নাগরিককে নাৎসিরা নিধন করেছিল বলে বাকী পৃথিবীকে জিম্মি করে রেখে দেবে তাহলে তারা ভুল করেছে। তবে আমি প্রাণপণে আশা করব এর অবসান হোক। কেননা একবার আমেরিকায় এক ইসরায়েলি তরুণের সঙ্গে আমার আলাপ হয়েছিল। তিনি আমাকে ইসরায়েলের নতুন চেতনার কথা বলেছিলেন। ইসরায়েলের সাধারণ মানুষ ইসরায়েলি সরকারের ঐ বুড়ো গুণ্ডাগুলোর পক্ষে নন, সেকথা ঐ তরুণের মুখ থেকে শুনেছিলাম। আমি প্রাণপণে বিধাতার কাছে দোয়া চাইবো যেন ফিলিস্তিনীদের স্বাধিকার রক্ষা হয়। আমি আবারও স্পষ্ট করে এ কথা বলতে চাই যে, ফিলিস্তিন প্রশ্নে একটি সংগত মিমাংসা না করে কখনও বিশ্বশান্তি আসতে পারে না। রেডিও তেহরান : বর্তমানে ফিলিস্তিনের ব্যাপারে জাতিসংঘের যে অসহায় অবস্থা ফুটে উঠেছে, তাতে কি মনে হয় না, জাতিসংঘ পশ্চিমা দেশগুলোর হাতে বন্দী হয়ে পড়েছে? কবীর সুমন : অবশ্যই। দেখুন, সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ঘটনা যেটি বিশ্বে ঘটেছে তা হলো সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন। সোভিয়েত ইউনিয়ন তাদের নিজস্ব অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে ভেঙে গেছে। এতে ব্যালেন্স অব পাওয়ারের ক্ষেত্রে একটা ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। আজ জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো পাওয়ার কার আছে? কিন্তু তখন আমেরিকা কোনো বাদরামো করলে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেটো দিত। আর সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেটো দিলে তার যারা মিত্র তারা যেমন ভারতও কিন্তু সমর্থন জানাতো। আজ সোভিয়েত ইউনিয়ন নেই। আজ কি ভেটো দেয়া হয়? সোভিয়েত ইউনিয়ন নেই বলে কিন্তু আমি দুঃখ করছি না। আমি যেটা বলতে চাই তা হলো, একটি একপেশে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। রেডিও তেহরান : ফিলিস্তিনে বর্ণবাদী ইহুদীদের আগ্রাসনের সঙ্গে যোগ হয়েছে ইরাকে মার্কিন আগ্রাসন। ফলে গোটা মধ্যপ্রাচ্য অশান্তির আগুনে জ্বলছে। অনেকেই বলছেন, এ থেকেই বিশ্বে এক ভয়ানক পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে হলে, কী পদক্ষেপ নেয়া উচিত বলে আপনি মনে করেন? কবীর সুমন : মাননীয় সাংবাদিক বন্ধু , এ জন্য প্রথম প্রয়োজন ফিলিস্তিনীদের আত্মনির্ধারণ অধিকার দিতে হবে। ফিলিস্তিন প্রশ্নের সংগত মিমাংসা না হলে আপনি যেটাকে মধ্যপ্রাচ্য বলছেন আমরা সেটাকে পশ্চিম এশিয়া বলি, তো সেই পশ্চিম এশিয়ার সমস্যার সমাধান কখনও সম্ভব হবে না । আজকে যদি আমি বা আপনি গাজা উপত্যকায় জন্মাতাম। আমরা যদি আমাদের বাল্যকাল এবং কৈশর ওরকম প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে কাটাতাম তাহলে আমি আপনাকে বলছি, আমি বসে বসে দুধ ভাত খেতাম না; আমি শান্তির বাণী বা ভালো ভালো কথা আওড়াতাম না । আমি আততায়ী যে আক্রমণকারী তাকে বধ করার কথা ভাবতাম। ধরুন আমার দেশে আমি যদি একটা লোককে আত্রুমণ করি বা কেউ যদি আমাকে আক্রমণ করে তাহলে আমরা আত্মরক্ষার জন্যে তো পরস্পরকে হত্যা করতে পারি । যে শিশুরা সেখানে জন্ম নিয়েছে তাদের কিন্তু জিজ্ঞাসা করা হয়নি, ওহে শিশু তোমরা গাজা উপত্যকায় জন্মাতে চাও নাকি তেল আবিবে জন্মাতে চাও? যারা গাজায় জন্মেছে তারা দিনের পর দিন দেখেছে কতটা নিষ্ঠুরভাবে তার চোখের সামনে মা, ভাই-বোন, বাবা বা আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু বা প্রতিবেশীরা মারা যাচ্ছে। এবার সেই শিশুটি যখন যুবক হবে সে তখন কী করবে? সেই যুবকটি কি তখন গীত গাইবে? না, সে চুপ করে বসে থাকবে না, বা গান গাইবে না। সে অস্ত্র হাতে তুলে নেবে । আর এইটুকু মানবতা এখনও আছে, আর মানবতা আছে বলেই গাজা উপত্যকার স্বজনহারা প্রতিটি মানুষ লড়াই করছে। মানবতা আছে বলেই ইসরায়েল ও মার্কিনীদের মোকাবেলায় গাজার স্থানীয় মানুষ লড়াই করছে বীরের মতো । আর আমার এই কথাগুলোকে কেউ যদি মনে করেন আবেগতাড়িত। তাহলে আমার কিছু বলার নেই। হ্যাঁ আমি আমার আবেগ ব্যক্ত করছি সত্যের পক্ষে। আমি একটা ষাট বছর বয়সী আধবুড়ো নই। আমি বৃদ্ধ। আমি দেখেশুনে ক্ষেপে গেছি আর তাই যা মুখে আসে বলছি একথা সত্য নয়। যা ঐতিহাসিক সত্য আমি তাই স্বাধীনভাবে ব্যক্ত করছি। গাজার সাধারণ মানুষ ঘাসে মুখ দিয়ে চলে না। আর সেটা ইসরায়েল খুব ভালো করে জানে। আর তাই তারা গাজায় আত্রুমণ করছে। তবে আমি প্রান্তিকে এসে স্পষ্ট করে বলবো, ইসরায়েল কোনোদিন পারবে না, পারবে না! একুশে সংবাদ ডটকম/আর/১৪-০৭-০১৪:
Link copied!