নারায়ণগঞ্জের পরিবেশ হুমকির মুখে
একুশে সংবাদ : পরিবেশদূষণের তালিকায় ডেঞ্জার জোনে (বিপজ্জনক অঞ্চল) রয়েছে নারায়ণগঞ্জ। প্রতিদিন বিভিন্ন ডায়িং কারখানার তরল বর্জ্য পড়ছে জেলার ছোট ছোট খালবিল ও পুকুর-ডোবায়। এসব তরল বর্জ্য পানিনিষ্কাশন খাল ও নর্দমার মাধ্যমে সরাসরি গিয়ে পড়ছে শীতলক্ষ্যা নদীতে। শিল্প-কারখানা ও বাসাবাড়ির বর্জ্যে শীতলক্ষ্যার পানি এখন বিষাক্ত। ফলে নারায়ণগঞ্জের পরিবেশ হুমকির মুখে।
জেলা পরিবেশ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, নারায়ণগঞ্জে তরল বর্জ্য নিঃসরণকারী তিন শতাধিক ডায়িং শিল্প-কারখানা গড়ে উঠেছে। এর মধ্যে ১৮০টিতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংরক্ষণাগার (ইটিপি) রয়েছে। ইটিপি প্ল্যান্ট স্থাপনের প্রক্রিয়ায় রয়েছে ৪০টি কারখানা। বাকি শিল্প-কারখানায় এখনো ইটিপি স্থাপন করা হয়নি। এসব প্রতিষ্ঠানের তরল বর্জ্য জেলার বিভিন্ন খালবিল ও ক্যানেলে সরাসরি ফেলা হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, নারায়ণগঞ্জের পাগলা নয়ামাটি, ফতুল্লার লামাপাড়া, সস্তাপুর, কায়েমপুর, সিদ্ধিরগঞ্জ, সোনারগাঁ, রূপগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় গড়ে উঠেছে শতাধিক ডায়িং কারখানা। এসব এলাকার সব ক্যানেল ও নালার পানির রঙ কালচে হয়ে গেছে। পানির উত্কট দুর্গন্ধে মানুষকে নাকে রুমাল চেপে চলাচল করতে হয়।
বাংলাদেশ নিট ডায়িং অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজিম আহমেদ বড় শিল্পপ্রতিষ্ঠানে ইটিপি বন্ধ রেখে বর্জ্য মিশ্রিত পানি ফেলার কথা স্বীকার করে বলেন, পরিবেশ অধিদফতরের কর্মকর্তারা ছোট শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। বড় প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে তারা যেন অসহায়।
নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক মো. মহিউদ্দিন মানিক জানান, পরিবেশ দূষণের জন্য নারায়ণগঞ্জকে ডেনজার জোন হিসেবে বিবেচনা করে পরিবেশ দূষণকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান নিয়েছে নারায়ণগঞ্জ পরিবেশ অধিদফতর। পরিবেশ দূষণের দায়ে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান থেকে গত তিন মাসে তিন কোটি টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :