ঈদ উপলক্ষে দেশীয় ইলেকট্রনিক্স পণ্যের চাহিদা বাড়ছে
একুশে সংবাদ : ঈদ উপলক্ষে ইলেকট্রনিক্স পণ্যের চাহিদা ও বিক্রি বেড়েছে। ফ্রিজ, টেলিভিশন, এয়ারকন্ডিশনার ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স পণ্যের বিক্রি বেড়েছে বলে জানিয়েছেন এসব পণ্যের বিক্রেতারা। বিক্রির এ চাপ চাঁদ রাত পর্যন্ত থাকবে বলে মনে করছেন তারা। এসময়ের বাড়তি চাহিদার কথা মাথায় রেখে প্রস্তুতিও নিয়েছেন স্থানীয় উত্পাদনকারী ও আমদানীকারকরা।
ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বাজারে দেখা গেছে, ইলেকট্রনিক্স পণ্যের বাজার অনেকটা দেশীয় ব্র্যান্ডগুলোর দখলে। দেশের ফ্রিজ, টিভি, এসি ও হোম অ্যাপ্লায়েন্সের সিংহভাগ মার্কেট শেয়ার ওয়ালটনের। ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, ঈদ ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি বেড়েছে তাদের। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, গত কয়েক বছরে দেশীয় পণ্যের প্রতি ক্রেতা আকর্ষণ বেড়েছে অনেক বেশি। গুণগত উচ্চমান, আকর্ষণীয় ডিজাইন এবং সাশ্রয়ী মূল্যের কারণে ওয়ালটন পণ্যের প্রতি ক্রেতাদের আস্থা বেড়েছে। এবার রোজার শুরু থেকেই ওয়ালটন পণ্যের বিক্রি ঊর্ধ্বমুখী।
ওয়ালটনের মার্কেটিং বিভাগের নির্বাহী পরিচালক এমদাদুল হক সরকার জানান, রমজানের শুরু থেকে এ পর্যন্ত ৮০ হাজার ফ্রিজ বিক্রি করেছেন তারা। এছাড়া ব্ল্যান্ডার, জুসার, রাইস কুকার, সালাদ মেকার, আয়রনসহ হোম অ্যাপ্লায়েন্সের পণ্যও বিক্রি হচ্ছে প্রচুর। পাশাপাশি এলইডি টিভি বিক্রিও বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় ফ্রিজ বিক্রির হার ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ বেড়েছে। তিনি আরো জানান, ঈদের বোনাস পাওয়ার পর হঠাত্ করে এসব পণ্যের চাহিদা বেড়ে যাবে। সেই বাড়তি চাহিদা মেটাতে এরই মধ্যে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ। একই ধরনের কথা বললেন দেশীয় ব্র্যান্ড মার্সেলের প্রধান বিপণন কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন রাজিব।
এদিকে সিঙ্গারও ঈদের বাড়তি চাপ সামাল দিতে অতিরিক্ত পণ্য আমদানি করেছে। রাজধানীর মুগদা বিশ্বরোড শো-রুমের দায়িত্বে থাকা জাহাঙ্গীর আলম জানালেন, ঈদে তাদের বিশেষ প্রস্তুতি রয়েছে। পুরোনো ব্র্যান্ড হওয়ার কারণে সিঙ্গারের প্রতি মানুষের আগ্রহ অনেক। বিক্রি খুবই ভালো বলে জানালেন তিনি।
স্টেডিয়াম মার্কেটের এলজি বাটারফ্লাইয়ের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মোস্তাফিজ হোসেন বলেন, ঈদে সাধারণত হোম অ্যাপ্লায়েন্স ও ফ্রিজ বিক্রি হয় বেশি। ঈদ উপলক্ষে ক্র্যাচ কার্ডে উপহার ছাড়াও নগদ তিন থেকে চার হাজার টাকা ছাড় দিচ্ছেন তারা। স্টেডিয়াম মার্কেটে মাইওয়ান শো-রুমের বিক্রয় কর্মকর্তা রাজিব জানান, প্রথম রোজা থেকেই তাদের বিক্রি ভালো। চাঁদ রাত পর্যন্ত বিক্রি চলবে বলে জানান তিনি।
এসব ব্র্যান্ড ছাড়াও ঈদ উপলক্ষে স্যামসাং, ট্রান্সকম, সনি র্যাংগসের পণ্য বিক্রিও বেশ জমে উঠেছে। ঈদে পণ্য বিক্রির যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তা পূরণ হবে বলে জানালেন বিক্রেতারা।
একুশে সংবাদ ডটকম/অার/২০-০৭-০১৪:
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :