AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

রাজাপুরে মেঘনার ভাঙনে ভাঙা সড়কে চলাচল চরম ঝুঁকিপূর্ন


Ekushey Sangbad

০৫:০২ এএম, জুলাই ২২, ২০১৪
রাজাপুরে মেঘনার ভাঙনে ভাঙা সড়কে চলাচল চরম ঝুঁকিপূর্ন

একুশে সংবাদ : ভোলা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ভোলা সদর উপজেলার রাজাপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ রাজাপুর সড়ক ভাঙনের কবলে পড়েছে। এই দুই কিলোমিটার সড়কের অর্ধেকই মেঘনার ভাঙনে প্রায় বিলীন হয়ে গেছে। এই ভাঙা সড়কে চরম ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করছে বিভিন্ন যানবাহন। মেঘনা নদীর জোয়ারের স্রোতে সড়কের ইট-বালু ধুয়ে যাচ্ছে। সড়কটিকে সম্পূর্ণ বিলীন হওয়ার হাত থেকে রক্ষা করতে ইট ও বালুর বস্তা ফেলা হয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিউটিসি) ভোলা-লক্ষ্মীপুর ফেরিঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক শিহাব উদ্দিন বলেন, সড়ক ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হলে ঈদে ঘরে ফেরা কয়েক লাখ মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে। এলাকাবাসী, পাউবো, সড়ক ও জনপদ (সওজ) এবং ভোলা জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানান, দক্ষিণ রাজাপুরের ঢালীর খাল থেকে বিশ্বরোডের লঞ্চঘাট পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কে জরুরি ভিত্তিতে ব্লক ফেলা দরকার। তা না হলে ভোলা সদরসহ রাজাপুর, পূর্ব ইলিশা, বাপ্তা ও পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়ন পানিবন্দী হয়ে পড়বে। ভোলা জেলা স্বার্থরক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ অপু বলেন, ২০১২-১৩ সালে উত্তর রাজাপুর সড়ক বিলীন হয়েছে। তখন থেকে ভোলার দক্ষিণ রাজাপুরকে রক্ষার জন্য আন্দোলন চলছে। উত্তর রাজাপুর মেঘনায় বিলীন হওয়ায় দক্ষিণ রাজাপুর দ্রুত মেঘনায় বিলীন হতে শুরু করে। গত সাত দিনে জোয়ারের পানিতে মহাসড়কের প্রায় অর্ধেক বিলীন হয়ে গেছে। রাজাপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল হক ও পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যন মো. সিরাজ বলেন, ওই দুই কিলোমিটার সড়ক রক্ষা পেলে ইলিশা ফেরিঘাট, ভোলা-লক্ষ্মীপুর সি-ট্রাক ঘাট, ইলিশা-ঢাকা লঞ্চঘাট, ইলিশা-চরফ্যাশন বাসস্ট্যান্ড, জংশন বাজার, ইসলামিক মিশন হাসপাতাল, মৌলভীরহাট হোসাইনিয়া ডিগ্রি ফাজিল মাদ্রাসা, মৌলভীরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ইলিশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রসহ শতাধিক প্রতিষ্ঠান রক্ষা পাবে। ভোলা-চট্টগ্রাম সড়ক পথের দূরপাল্লা বাস মালিক সমিতির আহ্বায়ক ও ভোলা ট্রান্সপোর্টের মালিক আবু মিয়া বলেন, ওই সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যান চলাচল করছে। এক পাশে গাড়ি আসতে থাকলে অপর পাশে অন্য গাড়িকে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। এ কারণে দুই মিনিটের পথ যেতে এক-দুই ঘণ্টা সময় লাগছে। ঈদের আগে সড়ক মেরামত না হলে লোকজনকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হবে। জেলা প্রশাসক মো. সেলিম রেজা বলেন, ‘সড়কটি রক্ষা করতে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি।’ ভোলা পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল হেকীম বলেন, ওই সড়ক রক্ষার কাজ করতে অনেক টাকা দরকার। এত টাকা পাউবোর নেই। এ ব্যাপারে সওজকেই উদ্যোগ নিতে হবে। ভোলা সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহীন সরকার বলেন, মহাসড়কটি রক্ষায় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/২২-০৭-০১৪:
Link copied!