একুশে সংবাদ : একজন পুরুষ ও একজন নারীর জৈবিক ক্রিয়ায় নতুন প্রাণের জন্ম নেবে এটাই স্বাভাবিক রীতি। এর বাইরেও কৃত্রিম উপায়ে সন্তান জন্মদানের কথা আমরা জানি। বিজ্ঞানের উন্নতি আমাদের সামনে নিয়ে আসছে নিত্যনতুন বিস্ময়। এখন তিন ব্যক্তির শুক্রাণু ও ডিম্বাণু মিলে জন্ম দেবে একটি নতুন প্রাণের। সমকাল ডেস্ক একজন পুরুষ ও একজন নারীর জৈবিক ক্রিয়ায় নতুন প্রাণের জন্ম নেবে এটাই স্বাভাবিক রীতি। এর বাইরেও কৃত্রিম উপায়ে সন্তান জন্মদানের কথা আমরা জানি। বিজ্ঞানের উন্নতি আমাদের সামনে নিয়ে আসছে নিত্যনতুন বিস্ময়। এখন তিন ব্যক্তির শুক্রাণু ও ডিম্বাণু মিলে জন্ম দেবে একটি নতুন প্রাণের। এ পদ্ধতিতে সন্তান জন্মদানে বাবা-মায়ের সঙ্গে তৃতীয় এক নারীর প্রয়োজন হবে। গত মঙ্গলবারযুক্তরাজ্য সরকার কৃত্রিম এ জন্মদানের পক্ষে মত দিয়েছে। ফলে আগামী বছর দেশটিতে বিশ্বের প্রথম ‘তিন ব্যক্তির’ সন্তান জন্ম নিতে পারে।’তিন বাবা-মা’র সন্তান কৃত্রিমভাবে সন্তান জন্মদান অর্থাৎ ইন-ভিট্রো ফার্টিলাইজেশন (আইভিএফ) যুক্তরাজ্যের সংসদে চূড়ান্ত অনুমোদনের আগে আরও পর্যালোচনা প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এ প্রক্রিয়ায় তৃতীয় ব্যক্তি অর্থাৎ দাতা নারী শুধু সুস্থ ও রোগমুক্ত মাইটোকন্ড্রিয়া দেবেন। মাইটোকন্ড্রিয়া কোষের মধ্যে শক্তি উৎপন্ন করে কোষ কীভাবে কাজ করবে তা নির্ণয় করে। আমাদের শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ বা কলা ঠিকমতো কাজ করছে কি-না তাও নির্ভর করে মাইটোকন্ড্রিয়া কোষের ভেতরে ঠিকভাবে শক্তি উৎপন্ন করতে পারছে কি-না তার ওপর। রোগাক্রান্ত মাইটোকন্ড্রিয়ার কারণে প্রতি বছর যুক্তরাজ্যে ৬ হাজার ৫শ’ শিশু নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতায় আক্রান্ত হয়, তাই দেশটি এমন প্রক্রিয়ায় সমর্থন দিয়েছে। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/২৪-০৭-০১৪: