AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

একটু হাসি ফোটাতে ছিন্নমূল শিশুদের পাশে আলিশা ও পড়শী


Ekushey Sangbad

০৮:১৭ এএম, জুলাই ২৪, ২০১৪
একটু হাসি ফোটাতে ছিন্নমূল শিশুদের পাশে আলিশা ও পড়শী

একুশে সংবাদ : ঈদে নতুন পোশাক পরব না, এটা কি হয়? কিন্তু সবাই কি নতুন পোশাক পরতে পারে? না, পারে না। ইট পাথরের শহরের পথে পথে যে শিশুদের রোজ দেখা যায়, তাদের ভালো-পরিষ্কার কাপড়ই যেখানে স্বপ্ন সেখানে নতুন পোশাকে ঈদ করার অভিপ্রায় অলীক তো বটেই, কারো কারো জন্য অসম্ভবও। তবে সমাজের বিত্তবানরা যদি তাদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে এসব শিশুদের পাশে এসে দাঁড়ায় তাহলে, তাদের ঈদও হতে পারে আনন্দময়। এই ভাবনা থেকেই শোবিজ অঙ্গনের কেউ কেউ সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগে ছিন্নমূল শিশুদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। তেমনি দুজন সেলিব্রেটি চলচ্চিত্রাভিনেত্রী আলিশা প্রধান ও কণ্ঠশিল্পী সাবরিনা পড়শী।   গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর গুলশান ইউথ ক্লাবে ছিন্নমূল এই শিশুদেরকে নিয়ে ইফতার পার্টির আয়োজন করেন আলিশা প্রধান। ইফতারের পর এই পথশিশুদের মাঝে ঈদের পোশাক বিতরণ করেন তিনি। মেয়েদের জন্য শাড়ি-পায়জামা আর ছেলেদের জন্য পাঞ্জাবি, টি শার্ট, প্যান্ট ও গেঞ্জি বিতরণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা শিমুল, শারমিন লাকি ও বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীরা। ছ্ন্নিমূল শিশুদের মাঝে পোশাক বিতরণ প্রসঙ্গে আলিশা বলেন, ঈদে সবাই নতুন পোশাক পরবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যে শিশুরা রাস্তায় বসবাস করে তারাতো কিনতে পারবে না। তাই ওদের জন্য আমি কিছু নতুন পোশাকের ব্যবস্থা করলাম। আমি আজ নিজেকে ধন্য মনে করছি। কাজটি করতে পেরে আমি অভিভূত। এ বিষয়ে কিছু বলার ভাষা আমার জানা নেই। আপনারা সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি যেন সব সময় এদের পাশে থাকতে পারি। এদিকে পড়শীও একই দিনে প্রায় ৩৫০ জন পথশিশুকে ঈদের নতুন জামা উপহার দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ৩৫০ জন পথশিশুকে জামা দিতে পারলাম, আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া পড়শী এ বিষয়ে তার ফেসবুকে লিখেছেন, পোশাকগুলো পেয়ে বাচ্চারা যখন হাসছে, তখন নিজের চোখে পানি চলে আসছে। এর মাঝে একজন প্রতিবন্ধী শিশুকে যখন, নতুন পাঞ্জাবি পরিয়ে দিলাম তখন খুশিতে তার মায়ের চোখে পানি দেখেছি। প্রতিবন্ধী ছেলেটা কথা বলতে পারে না। ভালোভাবে দেখতেও পারে না। কিন্তু নতুন পাঞ্জাবি পেয়ে সে বার বার পাঞ্জাবিটা হাত দিয়ে ধরে দেখছিল আনন্দে হাসছিল। তার মুখে এতটুকু হাসি ফোটাতে পারাটা এখন পর্যন্ত আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন। আল্লাহর কাছে আবারো হাজার হাজার শুকরিয়া, তিনি এই সুযোগটা দিয়েছেন। আশা করি, ঈদের আগে সাধ্য অনুযায়ী আরো অনেক পথশিশুর হাতে নতুন জামা তুলে দিতে পারব। তাদের মুখে একটু হাসি ফোটাতে পারব। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/২৪-০৭-০১৪:
Link copied!