AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

লালবাগ হত্যাকান্ড : নিম্ন আদালতের রায় বহাল


Ekushey Sangbad

০৮:২৭ এএম, জুলাই ২৪, ২০১৪
লালবাগ হত্যাকান্ড : নিম্ন আদালতের রায় বহাল

একুশে সংবাদ : রাজধানীর লালবাগের আলোচিত সাত খুনের মামলায় দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড, নয়জনকে যাবজ্জীবন ও এক আসামিকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে নিম্ন আদালতের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিদের আপিল ও ডেথরেফারেন্সের (মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদন) ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে আজ বৃহস্পতিবার বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হক সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গত রোববার থেকে রায় ঘোষণা শুরু করে আজ বৃহস্পতিবার তা শেষ করেছেন। রায়ে হাইকোর্ট সেভেন মার্ডার মামলায় নিম্ন আদালতের দেওয়া রায় বহাল রেখেছেন। তবে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি আবদুস সালাম ওরফে মতি এবং জাহিদ হাসান ওরফে নাটকা বাবুকে করা অর্থদণ্ড মওকুফ করা হয়েছে। এছাড়া জামিনে থাকা এই মামলার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মুনির পাটোয়ারী ও মাহতাব হোসেন এবং ১০ বছরের কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আব্দুল আজিজকে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লালবাগে ঢাকা সিটি করপোরেশনের কমিশনার নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ১৯৯৪ সালে এ চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ড ঘটে। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ১৯৯৪ সালের ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত কমিশনার নির্বাচনে জয়লাভ করেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী হুমায়ুন কবির। বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকরা পরদিন বিজয় মিছিল বের করে। লালবাগের নবাবগঞ্জ রোডের ওপর মিছিলে পরাজিত বিএনপি প্রার্থী আবদুল আজিজ মিয়ার সমর্থকরা হামলা করে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান ছয় জন। এছাড়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার ২/৩ মাস পর মারা যান আরো একজন। এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ওইদিন পরাজিত প্রার্থী আবদুল আজিজসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে লালবাগ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন হুমায়ুন কবির। পরে মামলাটি তদন্ত করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ ২১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। এরপর সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষে ২০০৮ সালের ৭ মে ঢাকার জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনাল আসামি আবদুস সালাম ওরফে মতি এবং জাহিদ হাসান ওরফে নাটকা বাবুকে মৃত্যুদণ্ড দেন। এছাড়া আবদুল আলিম ওরফে শাহীন, মুনির পাটোয়ারী, মাহতাব হোসেন, দেলোয়ার হোসেন ওরফে আণ্ডা, আমির হোসেন আমির, দিল মো. মতি, কানু ওরফে কাইল্যা, মোজাম্মেল ও মুন্নাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং আবদুল আজিজকে দশ বছর কারাদণ্ড দেন। বাকি আট আসামিকে খালাস দেন আদালত। বিচার চলাকালে আবদুল মজিদ ওরফে চামু মৃত্যুবরণ করেন। পরে মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের জন্য তা ডেথ রেফারেন্স আকারে এবং পলাতক দুই আসামি-দিল মো. মতি ও মোজাম্মেল ছাড়া সবাই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন। চলতি মাসে এই আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের ওপর শুনানি শেষে রায় প্রদান শুরু করে হাইকোর্ট। আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, এসএম শাহজাহান, ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন, এডভোকেট খুরশীদ আলম খান ও ব্যারিস্টার ইমরান এ সিদ্দিক এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ শুনানি করেন। হাইকোর্টের রায় ঘোষণা শেষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেন, ১৯৯৪ সালে লালবাগে নৃশংস হামলার ঘটনায় সাতজন নিহত ও ১৩ জন গুরুতর আহত হন। ওই মামলায় বিচারিক আদালতের রায় হাইকোর্ট বহাল রেখেছেন। এছাড়া মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির জরিমানা মওকুফ ও জামিনে থাকা তিন আসামিকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একুশে সংবাদ ডটকম/এফরান/২৪.০৭.০১৪
Link copied!