চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য খালাস বাধার মুখে
একুশে সংবাদ : চট্টগ্রাম বন্দর বোর্ড সভায় অনুমোদনের পরও জেটিতে ১৯০ মিটার দীর্ঘ জাহাজ ভেড়ানোর অনুমোদন দেয়া হচ্ছে না। এতে পণ্য দ্রুতগতিতে ও কম ব্যয়ে খালাস ব্যাহত হচ্ছে। বন্দর বহির্নোঙরে সৃষ্টি হচ্ছে বড় জাহাজের জট। বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা বাকি থাকায় দীর্ঘ জাহাজ ভেড়ানোর অনুমোদন দেয়া হচ্ছে না। শিপিং এজেন্টরা বলছেন, দীর্ঘ জাহাজ ভেড়াতে অনুমতি বিলম্ব হওয়ায় তারা আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন। পণ্য খালাসে বেশি সময় ও অর্থ ব্যয় হচ্ছে। এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম বন্দরের ডেপুটি কনজারভেটর ক্যাপ্টেন নাজমূল আলম জানান, ১৯০ মিটার জাহাজ ভেড়ানো যাবে। এজন্য সুযোগ-সুবিধাও তৈরি করা হয়েছে। বন্দর চ্যানেলে বাড়ানো হয়েছে ড্রাফট (গভীরতা)। কিন্তু নৌ বাহিনীর স্থাপনাসহ চ্যানেলে গুরুত্বপূর্ণ কিছু স্থাপনা থাকায় নিরাপত্তার দিকটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরীক্ষার কাজ শেষ হলে বড় জাহাজ ভেড়ানোর অনুমতি দেয়া হবে। বাংলাদেশ শিপিং এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি আজিম রহিম চৌধুরী জানান, বড় জাহাজ ভেড়াতে পারলে সময়ক্ষেপণ করে বহির্নোঙরে পণ্য লাইটারেজ করতে হতো না। এতে পণ্য খালাসে ব্যয় ও সময় দুটিই কম হতো। বড় জাহাজ ভেড়াতে দুই বছর ধরে চট্টগ্রাম বন্দর চ্যানেল ও বহির্নোঙরের প্রবেশমুখে মোহনা সংস্কারের কাজ চলেছে। বড় জাহাজ ভেড়াতে পারলে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে গতি আসবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। বন্দর কর্মকর্তারা জানান, ২ মার্চ বন্দরের বোর্ড সভায় ১৯০ মিটার লম্বা এবং সাড়ে ৯ মিটার গভীরতার জাহাজ জেটিতে ভেড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে বর্তমান অনুমোদন থেকে ৪ মিটার বেশি দীর্ঘ জাহাজ ভিড়তে পারবে। এছাড়া নতুন সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে ৩৩ হাজার টন পণ্যবাহী জাহাজ জেটিতে ভিড়তে পারবে। ১৯০ মিটার দীর্ঘ জাহাজ ভেড়ানোর সিদ্ধান্তের ব্যাপারে চট্টগ্রাম বন্দরের হার্বার মাস্টার ক্যাপ্টেন জহিরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে কোন মন্তব্য করতে পারব না।
একুশে সংবাদ ডটকম/আর/১৩-০৮-০১৪:
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :