AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

পর্যাপ্ত পানির অভাবে বিপাকে পাট চাষিরা


Ekushey Sangbad

০৬:১২ এএম, আগস্ট ১৩, ২০১৪
পর্যাপ্ত পানির অভাবে বিপাকে পাট চাষিরা

একুশে সংবাদ: দিনাজপুরসহ রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় পাট চাষ করে বিপাকে পড়েছেন পাটচাষিরা । পর্যাপ্ত পানি না থাকায় পাট পচাতে পারছেন না চাষীরা। অপরদিকে পাটের ফলন ভালো হলেও ন্যায্যমূল্যপ্রাপ্তি নিয়েও কৃষকদের মধ্যে রয়েছে সংশয়। আবার পানি না থাকায় অনেক কৃষক কাটতে সাহস পাচ্ছেন না পাট। রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় ৫৮টি উপজেলায় ৯১ হাজার ৩৫৬ হেক্টও জমিতে পাট চাষ হয়েছে। অথচ ২ বছর আগে এই ৮ জেলায় পাটের আবাদ হয়েছিল ২ লাখ ৫০ হাজার ১৯ হেক্টর। অনেক পাটচাষির সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পানির অভাবে এখনও তাদের অনেকেই পাটের জাগ দিতে পারেননি। পাট পড়ে রয়েছে রাস্তার ধারে অথবা ক্ষেতের আলে। অনেকে এক আঁটি পাট ২ টাকা করে পানি ভাড়া নিয়ে জাগ দিচ্ছেন। আবার অনেকে জমি থেকে ৪ থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে জলাধারে গিয়ে পাট জাগ দিচ্ছেন। ফলে বাড়তি পরিবহন খরচ বইতে হচ্ছে কৃষকদের। কৃষকরা জানান, এক একর জমিতে পাট চাষ করতে তাদেও খরচ পড়ে প্রায় ২২ হাজার টাকা। এর মধ্যে পানি দিয়ে সেচ দিয়ে চারা রোপণ করতে খরচ হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকা, জমি চাষ দিতে ২ হাজার ৪শ টাকা, বীজ ৫ হাজার টাকা, দুবার নিড়ানিতে খরচ হয়েছে সাড়ে ৬ হাজার টাকা, কাটতে খরচ হয়েছে ৪ হাজার ৮শ টাকা, ধোয়া বাবদ খরচ হয়েছে ৬ হাজার টাকা। এভাবে প্রতি একরে কৃষকদের খরচ হয়েছে প্রায় ২২ হাজার টাকা। অন্যদিকে ন্যায্যমূল্যপ্রাপ্তি নিয়েও কৃষকদের মধ্যে রয়েছে সংশয়। কারন প্রতি একরে তাদের ফলন হয় ২০ থেকে ২২ মণ পাট। প্রতি মণের উৎপাদন ব্যয় হয়েছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ১শ টাকা। বর্তমান বাজারে পাট বিক্রি হচ্ছে ১১শ থেকে ১২শ টাকায়। বাজারদর অনুয়ায়ী কৃষকদের খুব একটা লাভ হচ্ছে না। কৃষকরা আশঙ্কা করছেন, একটি সিন্ডিকেট অচিরেই বাজারে নেমে পাটের মূল্য নিয়ন্ত্রণ করবে। ফলে তাদের ন্যায়্যমূল্যপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। চাষিরা অভিযোগ করেন, সরাসরি ক্রয় কেন্দ্রগুলোতে পাট বিক্রি করা যায় না। দালাল ফড়িয়াদের নিকট বিক্রি করলে তারা ওই পাট সরকারি ক্রয়কেন্দ্রে বিক্রি করে কৃষকদের চেয়ে দ্বিগুণ মুনাফা লাভ করেন। অনেকের আশঙ্কা এবারও মধ্যসত্ত্বভোগী দালাল চক্র পাটের বাজার নিয়ন্ত্রণ করবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক কমল সরকার বৈরী আবহাওয়ার কারণে পাট জাগ দিতে কৃষকদের সমস্যার বিষয়টি স্বীকার করে জানান, গত বৃহস্পতিবার বৃষ্টি হলেও পাট জাগ দেয়ার মতো পানি হয়নি। এখন পর্যন্ত রংপুর বিভাগে পাট কাটা হয়েছে ৪৪ হাজার ৫৫৯ হেক্টও জমির। এখনও ৫০ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে পাট রয়েছে। তিনি আরও জানান, পাটজাত পণ্যের কারখানার সংখ্যা এবং রপ্তানি বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে কৃষকরা পাটচাষে উৎসাহিত হচ্ছেন। একুশে সংবাদ ডট কম/মামুন/১৩.০৮.২০১৪
Link copied!