রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দু'গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ
একুশে সংবাদ : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আব্দুল লতিফ হলে গভীর রাতে ছাত্রলীগের দুই সভাপতি প্রার্থীর গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার রাত ১টার দিকে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা হলের একাধিক কক্ষে ভাঙচুর চালিয়েছে। সংঘর্ষে দুই গ্রুপের নেতা-কর্মীদের আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মহড়া দিতে দেখা যায়।
হলের একাধিক আবাসিক শিক্ষার্থী শীর্ষ নিউজকে জানায়, রাত ১টার দিকে লতিফ হল ছাত্রলীগের সভাপতি প্রর্থী শামীমের (চতুর্থ বর্ষ-ফলিত পদার্থ) নেতৃত্বে নারায়ণ, মনির, নাঈম, নিশানসহ ৮/১০ জন ছাত্রলীগ কর্মী প্রম ব্লকের তৃতীয় তলা থেকে পিস্তল, দেশীয় অস্ত্র, লাঠি ও রড নিয়ে ২১০ নম্বর কক্ষে অপর সভাপতি প্রর্থী মিজানুল হক মিজানের (চতুর্থ বর্ষ-পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগ) উপর হামলা করে। শামীম মিজানের কক্ষে গিয়ে হুমকি দেয়।
এসময় হলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী সুজন (তৃতীয় বর্ষ-ইসলামের ইতিহাস) তাদের বাঁধা দিতে গেলে শামীম গ্রুপের কর্মী নারায়ণ সাথে কথা কাটাকাটিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষের এক পর্যায়ে শামীম গ্রুপের নেতা-কর্মীরা পালিয়ে যায়। মিজান গ্রুপের নেতা-কর্মীরা হলের মূল গেটে তালা দিয়ে অস্ত্রের মহড়া দিতে থাকে। তারা তৃতীয় তলার ৩০১, ৩০৩, ৩০৫ ও ৩১৮ নম্বর কক্ষে ভাঙচুর করে। এসময় হলের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে অতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে পুলিশ প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মিজানুর রহমান রানা এসে বিষয়টি মীমাংসা করেন।
এ ব্যাপারে হলের সভাপতি প্রর্থী মিজান বলেন, শামীম কোন কারণ ছাড়াই তার অস্ত্রধারি ক্যাডারদের নিয়ে আমাকে মারতে আসে।
তবে অপর সভাপতি প্রার্থী শামীম জানান, আমরা তাদের সাথে আলোচনা করতে গিয়েছিলাম। কিন্তু অনাকাঙ্খিত ভাবে ঘটনাটা ঘটে গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সভাপতি মিজানুর রহমান রানা শীর্ষ নিউজকে বলেন, একটি বিষয় নিয়ে ভূলবোঝাবুঝি হয়েছে। তবে পরে এসে আমি বিষয়টি মিমাংসা করে দিয়েছি।
হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক বিশ্বনাথ শিকদার শীর্ষ নিউজকে বলেন, বিষয়টি শুনে আমি রাতেই হলে গিয়েছিলাম। পরবর্তীতে মিমাংসা করে দেওয়া হয়েছে। এখন হলের পরিস্থিতি শান্ত আছে।
একুশে সংবাদ ডটকম/আর/১৬-০৮-০১৪:
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :