AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

জাতিসংঘে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন


Ekushey Sangbad

১০:১০ এএম, আগস্ট ১৬, ২০১৪
জাতিসংঘে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন

একুশে সংবাদ : জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে মান্যবর স্থায়ী প্রতিনিধি ড.এ.কে আব্দুল মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে হলে সমাজটাকে বদলাতে হবে। এজন্য চাই ‘সোনার মানুষ’। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, কেবল একটি নাম নয়। একটি প্রত্যয়, একটি আদর্শ, একটি দর্শন, একটি দীর্ঘ সংগ্রাম, নির্যাতিতের আলো, মানুষের ভালবাসা, বাংলার সবুজ জমিনে এক সাগর রক্ত, একটি সফল বিপ্লব, অতপর-একটি দেশ গড়ে তোলার সংগ্রাম। কিন্তু একদল বিশ্বাসঘাতক দেশ গঠনে চুড়ান্তভাবে সফল হতে দেয়নি। ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়ির সিড়িতে বাঘের মত গর্জন করে বিশ্বাস ঘাতকের কাপুরুষোচিত আচরনে বুলেট বুক পেতে নিলেন। সিড়িতে এখনো লেগে আছে ছোপ-ছোপ রক্তের দাগ। দেয়াল বুলেটবিদ্ধ। ন্যুনতম বিবেক সম্পন্ন যে কোন মানুষ সেই উষার আজান লগ্নে স্তম্ভিত হয়েছেন, হতচকিত হয়েছেন। হয়েছেন বাকরুদ্ধ। সেদিন শিশু রাসেলের আর্তনাদ, আহাজারি আজ স্মরণ করে স্মৃতির ঝাপি আরো মেঘ ভারাক্রান্ত করব না। কারন ঔই যে, চে’গুয়েভারা বলে গেছেন ‘বিপ্লবীর মৃত্যু আছে, বিপ্লবের মৃত্যু নেই’। জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে দোয়া, মোনাজাত ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। দিবসের শুরুতে সকাল ১০-০০ টায় জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করা হয়। এতে মিশনের সকল কর্মকর্তা ও অফিসিয়াল অংশগ্রহণ করেন। শোক দিবসে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন মান্যবর স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ.কে আব্দুল মোমেন। এতে আলোচনায় অংশ নেন মাননীয় ভূমি প্রতিমন্ত্রী জনাব সাইফুজ্জামান চৌধুরী এমপি, জাসদ নেত্রী ও মাননীয় সংসদ সদস্য শিরীন আখতার, সাবেক এমপি মনিরুল ইসলাম, সাংবাদিক ও কলামিস্ট ফকির ইলিয়াস এবং সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ খোর্শেদ আনোয়ার বাবলু। এতে কবিতা আবৃত্তি করেন জেড এইচ আরজু। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর উপর আধা ঘন্টার ‘হৃদয়ে চিরঞ্জবী বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। এতে ১৫ আগস্টের শহীদ বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সদস্যদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন বিশিষ্ট আলেম কাজী কাইয়ুম। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী পাঠ করেন মিশনের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি মো. মুস্তাফিজুর রহমান, প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন মিশনের ইকনোমিক মিনিস্টার বরুন দেব মিত্র, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন মিশনের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম আখতারুজ্জামান। শোক দিবসের আলোচনা অনুষ্ঠানে ড.এ.কে আব্দুল মোমেন বলেন, জাতিসংঘে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির মাইলস্টোন। অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া আগস্ট শোকের মূল দিক নির্দেশনা। বঙ্গবন্ধুর শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। স্বাধীনতার মন্ত্রে দীক্ষিত করার ঐন্দ্রজালিক ক্ষমতা ছিল এই মহান নেতার। হিমালয় পর্বতসম ব্যক্তিত্ব জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘাতকদের বুলেটের সামনেও ছিলেন, উন্নতশীর। তিনি রাজনীতির কবি (পোয়েট অব পলিটিক্স), যিনি মনুষত্ত্বের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে জন্ম-জন্মান্তর সংগ্রাম করেছেন। তিনি প্রমাণ করেছেন, কেবল গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমেই দেশ স্বাধীন করা যায়। বঙ্গবন্ধু মানুষের এতটাই আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছিলেন তার অঙ্গুলি ইশারায় গোটা জাতি মুক্তির মঞ্চে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিল। প্রসঙ্গত ড. এ. কে আব্দুল মোমেন বলেন, বঙ্গবন্ধু যা বিশ্বাস করতেন তাই বলতেন। আর যা বলতেন তাই করতেন। তার বিশ্বাস এবং বলার মধ্যে পার্থক্য থাকত না। এমনকি তার আত্মবিশ্বাস তার সঙ্গে কখনো প্রবঞ্চনাও করেনি। যে কারনে তার নেতৃত্বের দৃঢ়তা ছিল ইস্পাত সম। যার প্রমান-ফাঁসির মঞ্চে দাড়িয়েও তিনি মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে ভয় পাননি, বরং সেখানেও গেয়েছেন তাঁর প্রতি বাংলার মানুষের ভালবাসার জয়গান। মৃত্যুর পরেও যেন তাকে বাংলার মাটিতে পাঠিয়ে দেয়া হয় সে কথাই বলেছেন। এমনতর ভালবাসা সহজ ব্যাপার নয়। কেবল দেশের মাটি ও মানুষের প্রতি গভীর মমত্ববোধ, অগাধ দেশভক্তি ও বিশ্বাস থেকেই তা বলা যায়। বঙ্গবন্ধুর হৃদ স্পন্দনে অনুক্ষন দেশ প্রেমের অনুরননের কারনেই সততা ও নির্ভেজাল হৃদয়ের স্পন্দনে তিনি সত্য যত কঠিন, যত নির্মম হোক অকপটে বলতে পেরেছেন। সত্য বলতে কাউকেও ছাড় দেননি। তাঁর সারা জীবনের বক্তব্য নয়, কেবল ১৯৭৫ সালের ২৬ মার্চে দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচী ঘোষনার যে বক্তব্য সেটি হত্যা, ক্যু, ষড়যন্ত্র আর সেনা ও সামরিক শাসনে রোগাক্রান্ত বাংলাদেশের আরোগ্য লাভের মৌলিক দিক দর্শন। এই বক্তব্যেই তিনি বলেছিলেন, ‘ঘুনে ধরা এই সমাজটাকে’ আঘাত করতে চাই। এই উপলব্দি আজও চির সত্য। তিনি বঙ্গবন্ধুর বক্তব্য ১৯৭২ সালের ১৯ আগস্ট ছাত্রলীগের জাতীয় সম্মেলনে দেয়া বক্তব্য উদ্বৃত করে বলেন, প্রত্যেকে মানুষের মত মানুষ হও। স্বাধীন দেশের নাগরিক হও। মাথা উঁচু করে দাঁড়াও। মিথ্যা, অন্যায়, অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াও। সমাপনী বক্তব্যে ড.এ.কে আব্দুল মোমেন বলেন, দেশের সকল নাগরিকের দলমত নির্বিশেষে একাত্ম হয়ে কাজ করা উচিত। তাহলেই বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন এবং শেখ হাসিনার প্রচেষ্টা বাস্তব হবে, স্বার্থক হবে। একইসঙ্গে বাংলাদেশের জনগন বিশ্বের মধ্যে শ্রেষ্ঠ জাতি হিসাবে স্বসম্মানে সুপ্রতিষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় সকলের ত্যাগ ও প্রচেষ্টা স্বার্থক হোক। এটিই আজকের শোক দিবসের অঙ্গীকার। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/১৬-০৮-০১৪:
Link copied!