AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

রাজশাহীতে গ্রীষ্মকালীন শিম চাষে বিপ্লব ঘটেছে


Ekushey Sangbad

১০:৩১ এএম, আগস্ট ১৬, ২০১৪
রাজশাহীতে গ্রীষ্মকালীন শিম চাষে বিপ্লব ঘটেছে

একুশে সংবাদ: রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ীসহ বিভিন্ন এলাকায় গ্রীষ্মকালীন শিম চাষে ব্যাপক বিপ্লব ঘটেছে। জমি থেকে ঈদের আগেই শিম উঠা শুরু হয়েছে। কৃষকরা দামও পাচ্ছেন ভাল। বাজারে প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, গত বছর ১২ জন কৃষক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করার পর ১০ বিঘা জমিতে প্রথমবারের মত গ্রীষ্মকালীন শিম চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পাওয়ায় এবছর শিম চাষের উপর আরও শতাধিক কৃষক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করার পর ১০ কাঠা জমি লীজ নিয়ে গ্রীষ্মকালীন শিম চাষ করেছে রোজিনা মুর্মু। তিনি ও তার স্বামী জমিতে সার্বক্ষণিকভাবে কাজ করায় খরচ কম হয়েছে। শিম চাষে তার খরচ হয়েছে ৩ হাজার টাকা। রোজিনা মুর্মু জানায়, এখন পর্যন্ত ৬ হাজার টাকার শিম বিক্রি করেছে। উপজেলার কাচারীপাড়া গ্রামের মানিক টুডু ১০ কাঠা জমিতে শিম চাষ করে ফুল ও ফল ব্যাপকভাবে দেখা দেওয়ার কারণে শিম বিক্রি করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। চাষকৃত জমিটি নীচু হওয়ার কারণে মাচা তৈরি করায় তার খরচ হয়েছে ৩ হাজার টাকা। এখন পর্যন্ত সে ৩ হাজার টাকার শিম বিক্রি করেছে। রোজিনা মুর্মু জানান, বীজ রোপণ করা থেকে মাচা তৈরি করা পর্যন্ত কারিগরি ও বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তা অতনু সরকার। এতে করে শিমচাষে তাকে অনেক সহজতা এনে দিয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. সাইফুল আলম বলেন, যশোর থেকে গ্রীষ্মকালীন টমেটো ও পাবনার ঈশ্বরদীতে গ্রীষ্মকালীন চাষ পদ্ধতি দেখার জন্য কয়েকজন কৃষক ও মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের নিয়ে যাওয়া হয়। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হলে কয়েকজন কৃষক গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করলে ব্যাপক হারে গ্রীষ্মকালীন শিম চাষে ঝুঁকে পড়ে কৃষক। কারণ গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষের চেয়ে শিম চাষে খরচ কম হয়। গোদাগাড়ী উপজেলায় চলতি বছর ১৩০ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন শিমচাষ হয়েছে। কৃষকরা জানান, গত বছর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে নাবী (ঘৃতকাঞ্চন) ও আগাম জাতের (রূপবান) হাইব্রিড শিমের বীজ সরবরাহ করা হলেও এবার কৃষকরা নিজেরাই এই দু’টি জাতের শিমের বীজ সংগ্রহ করে জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে জমিতে রোপণ করে। ৬০ থেকে ৭০ দিনের মধ্যে ফলন দেখা দেয়ায় অধিকাংশই গাছে শিমের ফুল ও ফল দেখা দিয়েছে। ঈদের এক সপ্তাহ আগেই জমি থেকে শিম উত্তোলন করে বাজারে বিক্রি করতে পারবেন বলে কৃষকরা জানান। অন্যদিকে উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের সড়ইল গ্রামের কৃষক আরিফুল ইসলাম গত বছর ১০ কাঠা নীচু জমিতে কয়েকটি মাচা তৈরি করে গ্রীষ্মকালীন শিম চাষ করে ১৭ হাজার টাকা খরচ হলেও উৎপাদন হয় ৩৪ হাজার টাকার। শিম চাষ করে লাভবান হওয়ায় এবার আরিফুল ১ বিঘা জমিতে শিম চাষ করেছে। এখন পর্যন্ত তার খরচ হয়েছে ৮ হাজার টাকা। গাছ ভাল থাকায় ভাল ফলনের আশা করছে কৃষক। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ড. সাইফুল আলম বলেন, গ্রীষ্মকালীন নাবি (ঘৃতকাঞ্চন) বীজ রোপনের উপযুক্ত সময় হচ্ছে ১ জুলাই থেকে ২০ জুলাই এবং আগাম জাতের (রূপবান) রোপণের সময় ১ জুন থেকে ৩০ জুন। সঠিক সময়ে বীজ রোপন করা গেলে ভাল ফলন পাওয়া যাবে। রূপবান জাতের শিম লাল ধরনের এবং নাবি (ঘৃতকাঞ্চন) জাতের শিম সাদা হয়। গ্রীষ্মকালীন শিমের চাহিদা বেশি থাকায় কৃষকরা ন্যায্যমূল্যও পায়। তিনি আরো বলেন, গ্রীষ্মকালীন হাইব্রিড শিম চাষ হওয়ায় আগাম সবজি পাওয়ার পাশাপাশি পতিত জমির সদ্বব্যবহার, অল্প খরচ, অধিক লাভ, জনশক্তির সুষ্ঠু ব্যবহার, জমিতে সেচের পানির কম প্রয়োজন ও শ্রমিক খরচ কম হবে। আগামীতে নিচু জমির পাশাপাশি বরেন্দ্র এলাকায় উঁচু জমির আইলে গ্রীষ্মকালীন শিম চাষ করার কথা। গোদাগাড়ীসহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় গ্রীষ্মকালীন শিম চাষে বিপ্লব ঘটেছে। জমি থেকে ঈদের আগেই শিম উঠা শুরু হয়েছে। কৃষকরা দামও পাচ্ছেন ভাল। একুশে সংবাদ ডট কম/মামুন/১৬.০৮.২০১৪
Link copied!