AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সম্প্রচার নীতিমালা জনগনের কণ্ঠরোধের কৌশল


Ekushey Sangbad

০৫:০৫ এএম, আগস্ট ১৮, ২০১৪
সম্প্রচার নীতিমালা জনগনের কণ্ঠরোধের কৌশল

একুশে সংবাদ : সম্প্রচার নীতিমালা নিয়ে সরকারের পক্ষে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী যতই ভালো ভালো কথা বলুন না কেন, সুধী মহলে, এমনকি সাধারণ মানুষের মধ্যেও এখনও বিরূপ সমালোচনার ঝড় বইছে। ওপরের দু'জন ছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের টকশোতে যারা স্টেকহোল্ডার বা অংশ হিসেবে সরকারি অবস্থানের পক্ষে কথা বলছেন, এদের রাজনৈতিক রঙ মানুষ জানে। এরা সবাই শাসক লীগেরই লোক। শাসক লীগের লোক বলেই এরা বিভিন্ন টিভি চ্যানেলের মালিক হয়েছেন, সিইও হয়েছেন কিংবা বিভিন্ন সরকারি সংস্থার হোমরা-চোমরা হয়েছেন। এরা তো সরকারের পক্ষে গীত গাইবেনই। তাই লীগ সরকার ও শাসক লীগের লোকজন এবং সরকারের সুবিধাভোগী এসব লোকের অভয়বাণী ও অন্যান্য মিষ্টি কথাকে আম জনতা পাত্তা দিচ্ছে না। এরা বিভিন্ন চ্যানেলের গাদা গাদা দলিল-দস্তাবেজ নিয়ে হাজির হচ্ছেন এবং বলছেন এ নীতিমালা তারাই চেয়েছিলেন। শেখ হাসিনার লীগ সরকার নাকি এ ব্যাপারে সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অংশীজনদের নিয়ে এ উদ্দেশ্যে কমিটি গঠন এবং বেশ কিছু কমিটি সভার কথা বলে তারা বোঝাতে চাইছেন, 'সকলের সঙ্গে' আলোচনা করেই নাকি এ সম্প্রচার নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে। কিন্তু ব্যাখ্যা করছেন না, এই 'সকলে' কারা? এরা তো তারাই যারা এ সরকারের আদর্শিক সমর্থক ও বেনিফিশিয়ারি। এরা নীতিমালার জন্য দাবি করেছেন সরকারি স্বার্থরক্ষার জন্যই। এখানে একটা চালাকি ছিল। তাদের মুখ দিয়ে সম্প্রচার নীতিমালার আওয়াজ তুলিয়ে বোঝানোর চেষ্টা হচ্ছে যে, অংশীজনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই সরকার কাজটা করল। সর্বত্র সন্দেহ, কাজটা আসলে করা হয়েছে নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়ার মাধ্যমে। আসল উদ্দেশ্য সরকারের নাজুক অবস্থায় গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধের মাধ্যমে জনমত বা 'পিপলস ভয়েজ'কে অবদমিত করা। মানুষ এখন আর এত বোকা নেই যে, সরকার ও সরকারি লোকজনের এ 'খেলাটা' বুঝবে না। মানুষ সচেতন বলেই সরকারের সম্প্রচার নীতিমালার বিরোধিতা করে চলেছে। সম্প্রচার নীতিমালায় যদি বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল, সংবাদপত্র, অনলাইনসহ গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা সবার জন্য সমান প্রযোজ্য একটা কমন পদ্ধতি, সংবাদ চ্যানেল ও বিনোদন চ্যানেলের সীমারেখা, গণমাধ্যমের সাংবাদিক-কর্মচারীদের সুযোগ-সুবিধার সমতা ইত্যাদি বিষয়ই প্রাধান্য পেত, তাহলে তার মূল্যায়ন হতো এক ধরনের। এখন এ নীতিমালা নিয়ে সমালোচনা ও বিতর্ক হচ্ছে কতিপয় ধারা নিয়ে। কারও মুখেই (সরকারি লোকজন ছাড়া) এর প্রশংসা নেই। বলাবলি হচ্ছে, এমন কিছু ধারা লাগিয়ে দেয়া হয়েছে, যাতে দুষ্টবুদ্ধি কাজ করেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। অনেকেই বলছেন, এতে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা হবে। কেউ আবার বলছেন, যেটুকু স্বাধীনতা এখন গণমাধ্যম ভোগ করছে, তা কেড়ে নেয়ার একটা কুমতলব আছে এর পেছনে। অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তি তো স্পষ্ট করেই বলছেন, এটা একটা কালাকানুন। বেশি তালগোল পাকিয়ে দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। সমালোচনার মুখে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি দ্বিমুখী বক্তব্য রেখেছেন। একদিকে বলেছেন, এ নীতিমালা নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। এতে গণমাধ্যম ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। আবার বলেছেন সম্প্রচার কমিশন গঠন না হওয়া পর্যন্ত এ নীতিমালা কার্যকর হবে না। যদি তা কার্যকরই না হবে, খসড়া পর্যায়েই থাকত, গেজেট হলো কেন? আবার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আপত্তিকর ধারাগুলোর ব্যাখ্যায় তিনি যেসব কথা বলেছেন, গেজেট আকারে প্রকাশিত নীতিমালায় তা নেই। যেমন দন্ড দানের ক্ষমতা আছে, তেমন সরকারি কর্মকর্তার অপরাধ-দুর্নীতি, সীমান্তে ফেলানীর ঘটনার মতো বিষয়াবলি এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ যে কোনো বাহিনীর সদস্যের অপরাধ-দুর্নীতি-যেমন নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনার মতো বিষয়াবলি মিডিয়ায় প্রকাশ করা যাবে। কিন্তু গেজেটে তা নেই। এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি 'দেশ' টিভির 'সোজা কথা' অনুষ্ঠানে বলেছিলাম, তথ্যমন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী যদি কোনো সরকারি কর্মকর্তা বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কিংবা অন্য কোনো বাহিনীর সদস্যের সমালোচনাযোগ্য কার্যকলাপ বা সীমান্তের কোনো মর্মস্পর্শী ঘটনা মিডিয়া প্রকাশ করে অপরাধী হয়ে যায় এবং তথ্যমন্ত্রী যদি তার বক্তব্য অস্বীকার করেন এবং বলেন তার বক্তব্য যথাযথভাবে প্রকাশ করা হয়নি, তখন কী হবে? এটাও বলা হচ্ছে না যে, তথ্যমন্ত্রী এখন যেসব সাফাই বক্তব্য দিচ্ছেন তা গেজেটভুক্ত করা যাবে কিনা? যদি না যায় তাহলে তার এসব বক্তব্য তো ধোঁকাবাজি বলে বিবেচিত হবে। সমালোচকরা বলছেন, সম্প্রচার নীতিমালার মাধ্যমে সরকার গণমাধ্যমকে হাতের মুঠোয় ঢোকাতে চায়। কেননা এ ব্যাপারে আমাদের অতীত অভিজ্ঞতা সুখের নয়। সরকারের এ নীতিমালার নেতিবাচক প্রভাব বিদেশেও পড়েছে। এটা অনেকেই জানেন যে, বিশ্বখ্যাত সার্চ ইঞ্জিন গুগল ঢাকায় তাদের অফিস শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। কিন্তু সম্প্রচার নীতিমালার 'বিষনিঃশ্বাস' থামিয়ে দিয়েছে তাদের সে উদ্যোগ ও সিদ্ধান্ত। তারাও আশঙ্কা করছে সম্প্রচার ও অনলাইন নীতিমালা চালু হলে বাংলাদেশের গণমাধ্যম তার স্বাধীনতা হারাবে। সরকার বলেছে, সব সম্প্রচার মাধ্যমকে একটি সমন্বিত ব্যবস্থায় এনে এ সেক্টরে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা হবে। সরকারকে বিশ্বাস করা যাচ্ছে না। তাই সবাই ভয় পাচ্ছেন যে, সমন্বয়ের কথা বলেই আসলে গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমে পরিণত করতে চাচ্ছে সরকার। আর শৃঙ্খলার যে মধুবচন উচ্চারিত হচ্ছে তার পেছনে শৃঙ্খলিত করার একটা অসাধু পরিকল্পনা কাজ করতে পারে। নীতিমালায় মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, আদর্শ ও চেতনা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। ভালো কথা। কিন্তু এই ইতিহাস, আদর্শ ও চেতনার ব্যাখ্যা কী? ইতিহাস তো নানাজন নানাভাবে বলছেন, লিখছেন। এসব নিয়ে প্রধান প্রধান রাজনৈতিক শিবিরে প্রবল মতদ্বৈধতা আছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, এখানে আওয়ামী লীগের দলীয় বক্তব্য ঢুকিয়ে দিয়ে ভিন্নমতাবলম্বীদের টুঁটি চেপে ধরার সুচতুর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। জনমত খর্ব করে দলীয় মত চাপিয়ে দেয়ার এ এক চমৎকার কৌশল বলে এর সমালোচনা হচ্ছে। সংবাদমাধ্যমের প্রকৃত স্বাধীনতা ছাড়া গণতন্ত্র ও সুশাসনের কথা কল্পনাও করা যায় না। আবার গণতন্ত্র থাকলে, সুশাসন থাকলে সংবাদমাধ্যমে সত্যের প্রকাশ ঘটে। কিন্তু সত্যের নির্মোহ প্রকাশ যদি কোনো দুর্বল ও দুষ্ট সরকারের মুখোশের আড়ালে লুকোনো কুৎসিৎ-ভয়ঙ্কর চেহারা উন্মোচন করে সেই সরকারকে নিন্দিত নরকের পথ দেখিয়ে দেয়, তখনই জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন, জনশক্তির ওপর ভরসাহীন সরকার নানা ছলচাতুরী ও কালাকানুনের 'যমটুপি' পরিয়ে সংবাদমাধ্যমের চোখ-মুখ ঢেকে দেয়, টুঁটি চেপে ধরে। কিন্তু বেশিদিন এভাবে চালানো যায় না। বাংলাদেশে এর আগেও মাত্র চারটি দৈনিক পত্রিকা সরকারের নিয়ন্ত্রণে রেখে বাদবাকি সব পত্র-পত্রিকা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। হাজার হাজার মিডিয়াকর্মী বেকার হয়েছিলেন, কেউ কেউ পেশা ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছিলেন। এর ফল কিন্তু ভালো হয়নি। গণমাধ্যমকে যারা নিষ্ঠুরভাবে বিপর্যস্ত করেছিলেন, তাদের দুর্ভাগ্য, তারা যখন ইতিহাসের নিষ্ঠুর দন্ডে মহাবিপর্যয়ের মধ্যে পড়লেন, ইচ্ছা থাকলেও তাদের পক্ষে দাঁড়ানোর শক্তি তখন আর গণমাধ্যমের অবশিষ্ট ছিল না। অথচ অন্যায়, অসত্য আর অসুন্দরের বিরুদ্ধে, বীভৎস তান্ডবের বিরুদ্ধে মিডিয়া বা সংবাদমাধ্যম সাহসী ও বলিষ্ঠ প্রতিবাদের 'দাবানল'। মিডিয়ার ওপর লীগ সরকারের রুষ্টভাব আকস্মিক নয়। বাংলাদেশের মিডিয়ার সিংহভাগই দীর্ঘদিন শাসকলীগকে প্রমোট করেছে। একটিমাত্র দৈনিক পত্রিকা লীগ সরকারের বিরুদ্ধে সাহসী ভূমিকা পালন করেছে। তা-ও সহ্য হয়নি সরকারের। সংবাদমাধ্যমের ভুল-ভ্রান্তি হয় না, তা নয়। তা শোধরানোর বা সংবাদমাধ্যমকে শোভন পন্থায় শাসন করার পথ আমাদের প্রচলিত আইনেই আছে। সে পথে না গিয়ে সরকার 'আমার দেশ' পত্রিকা প্রকাশের পথে যে অন্তরায় সৃষ্টি করেছে, তা স্রেফ ভিন্নমত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণের নামান্তর। পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে কারারুদ্ধ। কী তার অপরাধ? তা কি জামিনের অযোগ্য? সরকারি দলের ফাঁসির আসামি ক্ষমা পেয়ে যায়, কারাগারে তার শাদি মোবারক হয়, অথচ একজন সৎ ও সাহসী সম্পাদক স্ত্রী-পরিবারের সঙ্গে ঈদও করতে পারেন না; কী নিষ্ঠুর আচরণ! চ্যানেল ওয়ান, দিগন্ত টিভি, ইসলামী টিভি বন্ধ করে দেয়ার পক্ষে লীগ সরকারের যুক্তি বড়ই দুর্বল। এসব সংবাদমাধ্যমের শত শত কর্মী এখন বেকার, খেয়ে না খেয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন তারা। এটা সংবাদমাধ্যমের এ অংশটির প্রতি নয়, ভিন্নমত ও তা প্রকাশের প্রতি সরকারের অসহিষ্ণুতা, বৈরী আচরণ! ভিন্নমত গুঁড়িয়ে দেয়ার এ এক সর্বনাশা একনায়কতান্ত্রিক দাম্ভিকতা। এমন দম্ভদাম্ভিকের জন্য শুভ নয়। দেশে-বিদেশে এর প্রমাণ আছে অনেক। স্বৈরাচার এরশাদও সংবাদক্ষেত্রের স্বাধীনতা হরণে উদ্যত হয়েছিলেন। জবাব পেয়েছেন এবং যথাযথ পরিণতিও ভোগ করেছেন। খালেদা জিয়াও দরবেশ ছিলেন না। একুশে টেলিভিশনসহ কয়েকটি প্রিন্ট মিডিয়ার সঙ্গে তার সরকারের আচরণও নিন্দিত হয়েছে এবং তা-ও ইতিহাসের অন্তর্গত বিষয়ই হয়ে আছে। লীগ সরকারের 'জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা' আলোচ্য নিবন্ধের প্রতিপাদ্য বিষয়। বঙ্গবন্ধুর শাসনামলে জাসদের দলীয় পত্রিকা দৈনিক গণকণ্ঠ অফিসে হামলা ও পত্রিকা অফিসে তালা দিয়ে পত্রিকার সম্পাদক দেশবরেণ্য কবি আল মাহমুদসহ অন্যান্য সাংবাদিককে গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিপ্লবী কণ্ঠ(!), বঙ্গবন্ধুকে এ কারণে ফ্যাসিস্ট বলে অভিহিতকারী, সাবেক গণবাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড এখন বঙ্গবন্ধু কন্যার অন্যতম সিপাহসালার (প্রকৃত আওয়ামী লীগাররাও নাকি এত বিশ্বস্ত নন), তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এ সম্প্রচার নীতিমালার মধ্যে গণতন্ত্রের সৌরভের(!) কথা বলছেন। এক সময় দৈনিক গণকণ্ঠ অফিসে হামলা, সম্পাদককে গ্রেফতার ও পত্রিকা বন্ধে যিনি ফ্যাসিবাদের যম দেখেছিলেন, তথ্যমন্ত্রীর 'কুদরতি কুরশি'তে বসে 'আমার দেশ' পত্রিকা অফিসে পুলিশের ন্যক্কারজনক অভিযান ও সম্পাদককে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া; অন্য কোনো শোভন ও যুক্তিসঙ্গত আইনি পথে না গিয়ে তিনটি ইলেকট্রনিক মিডিয়া বন্ধ করে দেয়া এবং সম্প্রচার নীতিমালার আবরণে সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধের স্বৈরতান্ত্রিক পদক্ষেপকে গণতন্ত্রের পথে 'অগ্রসর যাত্রা' বলে কী করে তিনি মহানন্দে 'বাদ্য বাজাচ্ছেন' ভাবতেই অবাক লাগে। এটা মনে করার যথেষ্ট কারণ আছে যে, সরকার জেনে-বুঝেই পদক্ষেপ নিয়েছে। এর আগে তারা বিচারপতিদের অভিশংসনের ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ ক্ষমতা নেয়া হচ্ছে সংসদের হাতে। কার্যত তা নেয়া হচ্ছে সরকারের কব্জায়। এ সংসদে তাদের রয়েছে ব্রুট মেজরিটি। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত প্রশ্নবিদ্ধ ও দেশ-বিদেশে সমালোচিত নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সংসদে নেয়া ঠিক হচ্ছে কিনা সে প্রশ্নও উঠেছে। কিন্তু সরকার বেপরোয়া। সবকিছু আইন করে নিজেদের কঠোর নিয়ন্ত্রণে নেয়ার উন্মত্ত বাসনা কোনো সরকারের মধ্যে তখনই দেখা যায়, যখন কোনো কিছুর ওপরই আসলে তাদের কার্যত কোনো নিয়ন্ত্রণ থাকে না। পাগলামিটা শুরু হয় তখনই। এতে বিপদ বাড়ে বৈ কমে না। সরকার নিজেই নিজের জন্য গর্ত খুঁড়ছে কিনা কে জানে! একুশে সংবাদ ডটকম/আর/১৮-০৮-০১৪:
Link copied!