জামালপুরে বন্যায় ২৫ হাজার লোক পানিবন্দী
একুশে সংবাদঃ জামালপুরের বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। যমুনার পাশাপাশি বাড়ছে ব্রহ্মপুত্র ও এর শাখা নদীর পানি। এতে ৩৫টি গ্রামের ২৫ হাজারের অধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বাহাদুরাবাদ পয়েন্টে যমুনার পানি আজ মঙ্গলবার সকালে বিপদসীমার ২৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্লাবিত হচ্ছে নতুন নতুন এলাকা। বাড়িঘর ও ফসলী জমি বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন জামালপুরের অসংখ্য মানুষ।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর টানা বৃষ্টিতে ফুলে-ফেঁপে উঠেছে যমুনার বুক। একদিনের ব্যবধানে যমুনার পানি মঙ্গলবার সকালে বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইতে শুরু করে এবং তা অব্যাহত রয়েছে। যমুনায় পানি বেড়ে ইতিমধ্যে ইসলামপুর উপজেলার পাথর্শী, কুলকান্দি, চিনাডুলী এই ৩টি ইউনিয়নের ৩০টি গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকার বাড়িঘর, ফসলী জমি তলিয়ে গেছে। এসব গ্রামের ২৫ হাজারের বেশি মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে এসব গ্রামের সদ্য রোপা আমন, বীজতলা ও সবজিক্ষেত। বাড়িঘর তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছে এসব গ্রামের মানুষ। অনেকে ঘর ছেড়ে উঁচু সড়ক ও বাঁধে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত এলাকায় কোনো ত্রাণ পৌঁছেনি বলেনি অভিযোগ করেছে দুর্গতরা। ইসলামপুর উপজেলার পাথর্শী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসমত আলী জানান, যেভাবে পানি বাড়ছে এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। দুর্গতদের ঘরে ঘরে শুকনো খাবার আর পানীয় জলের সঙ্কট দেখা দিতে শুরু করেছে। বন্যা পরিস্থিতি জানিয়ে দুর্গতদের জন্য ত্রাণ চেয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে আবেদন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো ত্রাণ সহায়তা পাওয়া যায়নি।
জামালপুরের জেলা প্রশাসক মো. শাহাবুদ্দিন খান বন্যাকবলিত বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ইসলামপুর উপজেলার জন্য ১২ মেট্রিক টন ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার জন্য ৬ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। খুব শিগগির এগুলো দুর্গতদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
একুশে সংবাদ ডটকম/খায়রুল বাশার/ জামালপুর প্রতিনিধি /১৯.০৮.১৪।
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :