মৃতদেহের সঙ্গে যৌনচার মার্কিন মর্গ রক্ষকের
একুশে সংবাদ ডেস্ক : এক মার্কিনি মর্গ রক্ষক শতাধিক মৃতদেহের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপনে করেছে বলে অকপটে স্বিকার করেছে।
কেনেথ ডগলাস নামের নর পিচাস ওই মর্গ রক্ষক জানায় মৃতদেহের সঙ্গে যৌনাচার করা হল তার নেশা। সে নেশার বসেই এটা করে থাকে
ওই বর্বর আরো জানায় জীবিত কোনও মহিলার থেকে তিনি মৃত মহিলার সঙ্গেই যৌনাচার করতে বেশি উপভোগ করেন। কারণ নাকি এতে অনেক বেশি তৃপ্তি পাওয়া যায়। কেনেথ ডগলাসের স্ত্রী, তার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ বহুদিন আগে করেছিলেন, কিন্তু প্রমাণের অভাবে তার বিরুদ্ধে কোনও আইনি পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে কদিন এই অপকীর্তি করতে গিযে ধরা পড়ে ডগলাস। ১৯ বছরের ক্যারেন রেঞ্জ-এর শরীরে ডগলাসের সিমেনের ডিএনএ পাওয়া যায়। আর ক্যারেনের হত্যাকারী ডেভিড স্টিফেন যখন আদালতে দাবি করেন, যে তিনি ক্যারেনকে শুধুই হত্যা করেছেন, ধর্ষণ করেননি। কিন্তু ময়নাতদন্তে খুন ও ধর্ষণ দুটোরই প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল। এই অপরাধের জন্য কেনেথের তিন বছর জেল হয়। পরে ২০১২ সালে তিনি ফের একই ধরণের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হন।
১৯৭৬ সাল থেকে টানা প্রায় ১৬ বছর তিনি মৃতদেহের সঙ্গে যৌনাচার করে এসেছেন। মর্গে নাইট শিফটে কাজ করার সুযোগ পেলেই তিনি মৃতদেহের সঙ্গে যৌন সংসর্গ করতে শুরু করতেন মৃতদেহের সঙ্গে যৌন সংসর্গ। নিজের এই অপকর্মের কথা বলতে গিয়ে বিকৃত মানসিকতার ডগলাস বলেন,"মৃতদেহগুলির ওপর উঠে দাঁড়াতাম। তারপর ঠিক যেভাবে দুজন পুরুষ-মহিলার মধ্যে যেমন ভাবে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়, ঠিক তেমন ভাবেই তিনি যৌন-মিলন করতাম। যতক্ষণ না সম্পূর্ণ যৌন তৃপ্তি পেতাম, ততক্ষণ মৃতদেহগুলোকে ছাড়তাম না।"এমনকী কোনও কোনও মৃতদেহগুলি লুকিয়ে রেখেও তাদের সঙ্গে একাধিকবার যৌনাচার করতেন বলেও জানান ডগলাস। মদ ও ড্রাগের ঘোরেই এইসব করতে তার বেশি ভাললাগত বলেও তিনি জানান।
কেনেথের শিকারের তালিকায় সেই সময় ছিলেন ২৩ বছর বয়সি চার্লিন অ্যালিংয়ের দেহ। তিনি সেদিনই মেয়েটির সঙ্গে যৌন-মিলন করেন, যেদিন তাকে হত্যা করা হয়েছিল। সেই সময় চার্লিন ছয় মাসের অন্তঃস্বত্ত্বাও ছিলেন।
একুশে সংবাদ ডটকম/এমকেএইচ/১৯-০৮-০১৪:
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :