মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক
একুশে সংবাদ : মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌরুটে দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার পর সীমিত আকারে ফেরি সার্ভিস শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
আজ বুধবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে ফেরি চলাচল শুরু করে। এর আগে গতকাল রাত থেকে টানা ১১ ঘন্টা ভেরি চলাচল বন্ধ ছিলো।
বিআইডব্লিউটিসির ম্যানেজার সিরাজুল হক জানান, কে-টাইপ ও টানা ফেরিসহ মোট ১১টি ফেরি চলাচল করবে। তবে আপাতত কোন ট্রাক পারাপার করা হবে না।
তিনি আরো জানান, মাঝ পদ্মায় তীব্র স্রোত থাকায় টানা ফেরিগুলো (ডাম্প ফেরি) গুলোকে সাহায্য করতে চারটি অতিরিক্ত টাক বোড রাখা হয়েছে। এখন দেড় থেকে দুই ঘণ্টার স্থলে টানা ফেরিগুলোর গন্তব্যে পৌঁছাতে ৫/৭ ঘন্টা বেশি সময় লাগছে। দু'পাড়ে এখনও পারাপারে অপেক্ষায় রয়েছে পাঁচ শতাধিক যান। এদিকে স্রোত ও ঢেউয়ের কারণে এই রুটের ৩৫টি ছোট লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। বাকী লঞ্চ চলাচল করছে। মানুষের ভিড় বেড়ে যাওয়ায় লঞ্চ ঘাট থেকে রো রো ফেরি শাহ আলী শুধু যাত্রী পারাপার করছে।
আমাদের মুন্সিগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টায় দেশের প্রধান এই ফেরি সার্ভিস বন্ধ হয়ে যাওয়ার নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান বুধবার সকালে মাওয়া ঘাট পরিদর্শন শেষে রো রো ফেরিঘাট পুনস্থাপন করে দ্রুত ফেরি সার্ভিস স্বাভাবিক করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন। পরে তিনি সংশ্লিষ্টদের নিয়ে মাওয়ার পদ্মা রেস্ট হাইজে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, 'আপতকালীন অবস্থায় মানুষের দুভোর্গ লাঘবে সব রকম চেষ্টা চলছে।'
সকাল আটটা ২২ মিনিটে কাওরাকান্দি ঘাট থেকে ফেরি ডাপলু ছেড়ে যায়। পরে ফেরি লেন্টিং ও ফেরি থোবাল যানবাহন নিয়ে মাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা করে।
বিআইডব্লিউটিসির মেরি অফিসার আহম্মদ আলী জানান, পদ্মায়র পানি অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই নদী খুবই উত্তাল । মাওয়া ১ নং ও ২ নং ঘাট থেকে কে টাইপ ফেরি কেতকী, কাকলী ও করবী এবং টানা ফেরি (ডাম্প) রামশ্রী ও রানীক্ষেত মাওয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যাচ্ছে বা যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এছাড়া নদী ভাঙ্গনে হুমকির সত্ত্বও সার্বিক বিবেচনায় রো রো ফেরি পন্টুনটি মাওয়া ২নং ঘাটে স্থাপনের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাত পৌনে নয়টার দিকে পদ্মার আকস্মিক ভাঙ্গনে মাওয়া ৩নং রো রো ফেরিঘাট বিলীন হয়ে যায়। এই ঘাট থেকে লঞ্চঘাট পর্যন্ত প্রায় ২শ' ৫০ ফুট দীর্ঘ এলাকার ৪০ ফুট এলাকা এবং পাশের আরও ৬০টি দোকানঘরও বিলীন হয়ে যায়। নদীর তীব্র ভাঙ্গণের মুখে মাওয়া-কাওড়াকান্দি ফেরি সার্ভিস রাত সাড়ে নয়টায় সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে এখনও এই ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। হুমকির মুখে পড়েছে যাত্রী ছাউনি, বাস টার্মিনাল ও লঞ্চঘাটসহ আশপাশের এলাকা।
একুশে সংবাদ ডটকম/এমকেএইচ/২০-০৮-০১৪:
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :