AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

নারীরা যেভাবে হারিয়ে যায় …….


Ekushey Sangbad

০৮:২৭ এএম, আগস্ট ২০, ২০১৪
নারীরা যেভাবে হারিয়ে যায় …….

একুশে সংবাদ : সুচিত্রা সেনকে দেখার পর মনে হয়েছিলো এই জীবনে বোধহয় আর কোনদিন কোন নারীকে ভালো লাগবে না । টানা টানা চেহারার আশ্চর্য মায়াবী চোখের সুচিত্রা সেন । মনে পড়ে প্রথম কৈশোরে কতো রাতের পর রাত সুচিত্রা সেনের চোখের কথা ভেবে ভেবে তার মাঝে জীবনানন্দের নক্ষত্রের ছায়া দেখেছি । সেই সুচিত্রা সেন …. সেই স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা ….. জীবনানন্দের কবিতার সাথে মনে হয় খেয়ালি রাজকন্যার আশ্চর্য মিল রয়েছে … আগুন , বাতাস – জল আদিম দেবতারা তাদের বঙ্কিম পরিহাসে তোমাকে দিলো রূপ — কী ভয়াবহ নির্জন রূপ তোমাকে দিলো তারা আর তোমার সংস্পর্শের মানুষদের রক্তে দিলো মাছির মতো কামনা । তারপর সুচিত্রা সেন চলে গেলে আসে সোনালী বেন্দ্রে …. কৈশোরের সেই অবসেশনে কোন মেয়ে দেখলেই সোনালীর সাথে তুলনা করতে ইচ্ছে করতো । ক্লাসমেট কোন মেয়েকেই ভালো লাগতো না । মনে হতো ইশ সোনালী যদি আমার চেয়ে কয়েক বছরের ছোট হতো তবে পৃথিবীর কী এমন ক্ষতি হয়ে যেতো ? :) 1পাশের বাড়ির পাড়াতো মামা তাজুল মামার নতুন বউ ছিলো রাঙামামি । রাঙামামির গায়ের রঙ যেনো সত্যি দুধে আলতায় রাঙা ছিলো । তখন আমার বয়েস কতোই বা হবে ? নয় কিংবা দশ । রাঙামামি আমাকে খুবই আদর করতো । পায়েস রান্না করে আমার জন্য বাড়িতে নিয়ে আসতো । একদিন ভরদুপুরে মামির জন্য আম পাড়তে যেয়ে গাছ থেকে পড়ে পা মচকে গিয়েছিলো । মামি একথা শোনে দৌড়ে এসে আমায় বুকে জড়িয়ে ধরে কাদতে লাগলো । সেই অপূর্ব সুন্দরী রাঙামামিকে আশ্চর্য রকম ভালো লাগতো আমার । এরপর হিন্দু পাড়ার বকুলদি , ক্লাস টেনে পড়ার সময় বাংলা ম্যাডাম … আরো কতোশতো রমনীকে দেখে ব্যাকুল হয়েছি । কবিতা লিখেছি হিসেব নেই ….. শুরু করেছিলাম সুচিত্রা সেনের কথা বলে । মাঝে মাঝে বড্ড আফসোস লাগে …… নারীরা বোধহয় এমনই …. নারীরা এমনই । রূপ মাধুর্য হঠাত করেই একদিন বিকেলের রোদের মতো ম্লান হয়ে যায় । হাতের রেখাগুলো গাঢ় হতে গাঢ়তর হয় …. চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয় … কিছুটা সময়ের টানে , বাকিটা বোধহয় ফেলে আসা বয়েসের কথা ভেবে । রূপবতীদের মতো সুন্দর , নরোম , কোমল কোনকিছু বোধহয় নেই পৃথিবীতে । হুমায়ূন আজাদ বলেছিলো … আমি এই পৃথিবীতে বেচে আছি ফুল , নারী এবং শিশুদের জন্য …. আর আমি বলি , জীবনানন্দের ভাষায় …. ”আগুন বাতাস জল : আদিম দেবতারা তাদের বঙ্কিম পরিহাসে রূপের বীজ ছড়িয়ে চলে পৃথিবীতে ছড়িয়ে চলে স্বপ্নের বীজ। অবাক হয়ে ভাবি আজ রাতে কোথায় তুমি? রূপ কেন নির্জন দেবদারু-দ্বীপের নক্ষত্রের ছায়া চেনে না- পৃথিবীর সেই মানুষীর রূপ? স্থুল হাতে ব্যবহৃত হ’য়ে- ব্যবহৃত –ব্যবহৃত –ব্যবহৃত –ব্যবহৃত –হয়ে ব্যবহৃত –ব্যবহৃত – আগুন বাতাস জল : আদিম দেবতারা হো_ হো ক’রে হেসে উঠলোঃ ‘ব্যবহৃত – ব্যবহৃত হ’য়ে শুয়োরের মাংস হয়ে যায়? ” সত্যি , সবকিছু শেষ হয়ে যায় ….সবকিছু …. একুশে সংবাদ ডটকম/আর/২০-০৮-০১৪:
Link copied!