AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি


Ekushey Sangbad

০৫:২০ এএম, আগস্ট ২১, ২০১৪
গাইবান্ধায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি

গাইবান্ধা প্রতিনিধি ঃ গাইবান্ধা জেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ঘাঘট, ব্রহ্মপুত্র ও করতোয়া নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও তিস্তা নদীর পানি অপরিবর্তিত রয়েছে।ফলে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি, সাঘাটা ও সদর উপজেলার আরও নতুন নতুন এলাকা বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে।পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ঘাঘট নদীর পানি দুই সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র নয় সেন্টিমিটার ও তিস্তা নদীর পানি পাঁচ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। ঘাঘট নদীর পানি এখন বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে খোলাহাটির পূর্ব কোমরনই, মিয়াপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকার বসতবাড়িতে বন্যার পানি উঠতে শুরু করেছে।এ ছাড়া বন্যার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলা শহরের পৌর এলাকা ও পাশের খোলাহাটি ইউনিয়নের কুঠিপাড়া, মিয়াপাড়া, পূর্ব কোমরনই, পশ্চিম কোমরনই, ডেভিড কোম্পানীপাড়া ও দশানীর শহর রক্ষা বাঁধের ছয়টি পয়েন্টে বাঁধটি চরম হুমকির মুখে পড়েছে।এদিকে ফুলছড়ি উপজেলার উত্তর উড়িয়া, কাতলামারী, সিংরিয়া, গ্রামে ও সংলগ্ন বাঁধ এলাকায় নদীভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ভাঙনকবলিত মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রয় নিতে বাধ্য হচ্ছে।ফুলছড়ির উড়িয়া ও ফজলুপুর ইউনিয়ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ ও জয়নাল আবেদীন জানান, তাদের দুই ইউনিয়নে বিভিন্ন পয়েন্টে ব্যাপক ভাঙনে কয়েকদিনে সহস্রাধিক পরিবার গৃহহারা হয়েছে। অনেক পরিবার বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রায় নিয়েছে। নদীভাঙন পরিস্থিতির ভয়াবহতা তুলে ধরে তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছেন।ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইএনও) আব্দুল আউয়াল জানান, নদীভাঙনকবলিত পরিবারকে এরই মধ্যে ত্রাণ হিসেবে চাল দেওয়া হয়েছে। নদীভাঙন ঠেকাতে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিফতরের পরিচালক আবদুর রাজ্জাক জানান, জেলার চার উপজেলার বন্যাকবলিত ১৮ ইউনিয়নের এক হাজার ৪৫৬ হেক্টর আবাদি জমির ফসল বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।জেলা প্রশাসক এহসানে এলাহী জানান, সরকারি ত্রাণ সহায়তা বাবদ বন্যাদুর্গত পরিবারের মধ্যে ইতোমধ্যে ১০০ টন চাল ও এক লাখ টাকার জরুরি ত্রাণ উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে।গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক জানান, নদীভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড জরুরি পদক্ষেপ হিসেবে বিভিন্ন এলাকায় বালুভর্তি জিও ব্যাগ নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি মোকাবিলার চেষ্টা করছে।
Link copied!