মাহমুদুল হাসান মিলন, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ঘোড়শাল গ্রামে এক গৃহবধূ গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে। ওই গৃহবধূকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ধর্ষণের ঘটনায় ঝিনাইদহ সদর থানায় চাচা-ভাতিজাকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, ঘোড়শাল গ্রামের ভ্যানচালক মাজেদুল ইসলাম বুধরার রাতে স্ত্রীসহ বাড়িতে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত ১১টার সময় তার স্ত্রী টয়লেটে যাওয়ার জন্য বাইরে বের হয়। এসময় আগে থেকে ওৎ পেতে থাকা একই গ্রামের শামসুদ্দীনের ছেলে জেকের আলী ও সাহেব আলীর ছেলে শিমুল গৃহবধূকে অস্ত্রের মুখে ধরে নিয়ে যায়। পরে গ্রামের ইমাজুল ইসলামের পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে জেকের আলী ও তার ভাতিজা শিমুল গৃহবধূকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। উপর্যুপরি ধর্ষণের পর গৃহবধূকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তারা। এলাকাবাসী ধর্ষিত গৃহবধূকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। ঝিনাইদহের বেসরকারি সংস্থা শোভার মানবাধিকার কর্মী পাপিয়া খাতুন জানান, খবর পেয়ে তারা ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে থানায় যান মামলা করতে। থানার ভেতর অজ্ঞাতনামা কয়েক যুবক তাদেরকে হুমকি-ধামকি দেন এবং মামলা করতে নিষেধ করেন। এলাকাবাসী জানান, সন্ত্রাসী বাহিনী প্রধান জাহিদের দেহরক্ষী হিসেবে ধর্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ধর্ষণ, চাঁদাবাজি সহ নানা অপকর্ম করে আসছিল। অনেক সংখ্যালঘু নারী তাদের লালসার শিকার হয়ে ভারতে পালিয়ে গেছেন। ঝিনাইদহ সদর থানার এসআই দাউদ হোসেন জানান, ধর্ষকরা দীর্ঘদিন ধরে ওই গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। একপর্যায়ে বুধবার রাতে তিনি ধর্ষণের শিকার হয়েছে। পুলিশ ধর্ষকদের গ্রেফতারে অভিযান শুরু করেছে।