AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সাহিত্যে শরৎকাল | ড. ফজলুল হক সৈকত


Ekushey Sangbad

০৬:০৬ এএম, আগস্ট ২৫, ২০১৪
সাহিত্যে শরৎকাল | ড. ফজলুল হক সৈকত

একুশে সংবাদ : এখন শরৎকাল। শরৎকালের কথা মনে পড়লে আমরা অনেকে শৈশব-স্মৃতিতে ফিরে যাই। যেন শরতের আকাশের ছেঁড়া ছেঁড়া শাদা মেঘের সাথে শৈশবের স্বপ্নেরা ঘুরে বেড়ায়, উড়ে বেড়ায় লাটাইবাঁধা ছোট কাগজের তৈরি ঘুড়িরা। মায়ের আদর আর শরতের স্নেহমাখা বাতাসের কথা কারো কারো মনে জেগে থাকে আনন্দের বারতা নিয়ে। ভালোবাসাহীন ভালোবাসা সৃষ্টিতে, অন্যের সাথে নিবিড়-গোপন সম্পর্ক স্থাপন করতে আর হারাতে কিংবা ধীরে ধীরে পেতেও সহায়তা করে শরৎকালের আবহাওয়া। ক্লান্তিমোচনের, হালকা ভার ও কান্না নিবারণে শরৎ কোনো কোনো সময় কাজ দেয়। শরৎকালকে শুভেচ্ছাবাহক ঋতু হিশেবে বিবেচনা করেছেন সারা পৃথিবীর শিল্পী সাহিত্যিকরা। শান্তির সময় আর ফুল-পাখিদের মৌসুম এটি। প্রেমিক-প্রেমিকার কাছে শরৎকাল প্রথম দেখা হওয়ার সময়, না-ভুলবার সময়, আর বাঁচবার প্রেরণা লাভের সময়। হারিয়ে-যাওয়া প্রিয়জনকে মনে করার সময় হিসেবেও শরৎকাল গুরুত্বপূর্ণ। ফ্রামারজ বেঘারির ‘মাই ওটাম গার্ল’ শীর্ষক একটি কবিতা এ প্রসঙ্গে স্মরণ করা যেতে পারে: ‘তোমার শরৎ ঠোঁট, শরৎ চুল, শরৎ চোখ, শরৎ হাসি, শরৎ গ্রীবা— আমি শরৎকালে স্রষ্টাকে চুম্বন করি।’ পাশ্চাত্য ঋতু-বিভাজন অনুযায়ী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর-নভেম্বর— এই তিন মাস ওটাম বা শরৎকাল (হেমন্তও এর সাথে যুক্ত) আর প্রাচ্য-ঋতু-বিভাজনে ভাদ্র-আশ্বিন— এ দুই মাস শরৎকাল। আমরা এখন বাংলাদেশে কিংবা বাংলাসাহিত্যে শরৎকালের শেষার্ধে আছি। ইংরেজিতে এই সময়টাকে বলে লেট-ওটাম। ‘Home" কবিতায় কবি Bruce Weigl বলেছেন: “I didn't know I was grateful/ for such late-autumn/ bent-up cornfields”। ‘আর্লি ওটাম’ নামক একটি ছোটগল্প হয়তো আজকের পাঠকের ভালো লাগবে; Langston Hughes (1902-1967) লিখেছেন: “বিলের যখন ভরাযৌবন, তখন সে প্রেমে পড়েছিল। হেঁটে-কথা বলে বহু রাত সে পার করেছে প্রেমিকের সাথে। একসময় যুবতীর সাথে বিলের কথা বলা বন্ধ হয়ে গেল। মেয়েটি অন্য পুরুষকে বিয়ে করে ফেললো। বিলও চলে গেলে অন্য কোনো রমণীর সন্ধানে। গতকাল ওয়াশিংটন স্কয়ার অতিক্রম করার সময়, ছেড়ে-যাওয়ার পর, প্রথমবারের মতো মেয়েটিকে দেখতে পেল। মেয়েটি তাকে ডাকলো: ‘বিল ওয়াকার’, কিন্তু বিল তাকে চিনতে পারেনি— মেয়েটিকে খুব বৃদ্ধ মনে হচ্ছিল তার।... বিল বললো: ‘মেরী, কোত্থেকে এলে?’ অবচেতনে মেয়েটি বিলকে চুমু খেতে গিয়ে ফিরে আসে। তারপর বলে: ‘আমি এখন নিউইয়র্কে থাকি।’ মিষ্টি হেসে বিল বললো: ‘ওহ।’ তারপর তার চোখে ভিড় করলো একরাশ বিপন্নতা। মেয়েটি বললো: ‘আমি তোমাকে নিয়ে সবসময় বিস্ময়ের ঘোরে থাকি, বিল।’ বিল বললো: ‘আমি আইনজীবী, ডাউনটাউনে আমার একটি সুন্দর ফার্ম আছে।’ —‘বিয়ে করেছো?’ —‘অবশ্যই, দুটো বাচ্চা আছে।’ —‘ওহ’। দীর্ঘশ্বাস ফেললো মেয়েটি। বহু মানুষ পার্কের পাশ দিয়ে তখন তাদের অতিক্রম করছিল। প্রায় সন্ধ্যা; সূর্য ডুবু-ডুবু। ঠাণ্ডা। বিল বললো: ‘তোমার স্বামী?’ —‘আমাদের তিনটি বাচ্চা আছে। আমি কলাম্বিয়ায় একটি অফিসে কাজ করি’। বিল বললো: ‘তোমাকে ভারী... (সে বলতে চেয়েছিল বুড়ি লাগছে) ভালো দেখাচ্ছে’। গল্পটিতে আছে আনন্দ ও বিষণ্নতা; যেন শরৎকাল! প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির মৃত্যু এবং আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিষয়ক উপন্যাস ‘টিয়ার্স অব ওটাম’ বিশ্বের বেস্টসেলার গ্রন্থের একটি। উপন্যাসের বিষয় জটিল রাজনীতি হলেও নামকরণে স্থান পেয়েছে কোমলতার প্রতীক শরৎকাল। হাল আমলে কানাডায় ‘ওটাম হিল’ নামের একটি মিউজিক অ্যালবাম বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। অ্যালবামের সবচেয়ে প্রাণজুড়ানো গান ‘অপেক্ষা করতে পারছি না’। অন্য দুটি গান যথাক্রমে ‘আগুন’ ও ‘যে-কোনো-কিছু’। সামারের গরমের পর শরৎকালকে কানাডার সাহিত্য-সঙ্গীতপ্রেমি মানুষ খানিকটা বিরতির সময় বলে বিবেচনা করে। একটু জিরিয়ে নেওয়া আর কি! তারপর আবার কাজে নেমে পড়া। আমেরিকানদের চোখে শরৎটা মূলত কিছুটা নরম আর আরামদায়ক সময়। সারা দুনিয়ার শিল্পী-সাহিত্যিকরা শরতের বিকেলবেলাটাকে ভালোবাসেন। কেউ কেউ মনে করেন বিকেলের আলোটা তখন চায়ের রঙের মতো দেখায়। কারো কারো চোখে কিছুটা নীরব থাকার সময় ওইটা। টোস্ট-চা তখন ভালোলাগে না। চুলায় কেটলিতে চায়ের পানি শুকিয়ে যায় অজান্তেই। কিছুই করতে মন চায় না। চাইনিজরা শরতের তৃতীয় মাসের (নভেম্বরে) শেষরাতে বৃষ্টির শব্দ শুনে ঘুমাতে পছন্দ করে। এমন এক অনুভবের কথা জানা যায় বেই জুলির কবিতায়। তিনি ‘শরতের বৃষ্টির রাতে ঘুম’ নামক কবিতায় লিখেছেন: ‘শরতের তৃতীয় মাসের বৃষ্টির রাত/বেশ ঠাণ্ডা/শান্তিময়ও/এক একাকি বৃদ্ধ দেরিতে ঘুমাতে গিয়েছে/কূপির আলো নিভে গেছে/বৃষ্টির রিমঝিম শব্দে তার সুন্দর ঘুম হলো/আগুনের তাপে ঘরের ভেতরটা গরম হয়ে উঠছে/যখন ভোর হলো/চারিদিকে স্নিগ্ধতা আর শীতলতা/বৃদ্ধের ঘুম ভাঙলো না/গাছ থেকে ঝরেপড়া লাল পাতারা সিঁড়িটি ঢেকে দিয়েছে।’ দু ফু নামের আরেক চাইনিজ কবি ‘ওটাম মেডিটেশান’ নামে সিরিজ কবিতা লিখেছেন। তাতে তিনি পর্বত-অন্ধকার-আকাশ-অশ্রু-পাথর আর সন্ধ্যার মিশেলে তৈরি করেছেন ভাবনার এক বিরল আবহ। কবি কাও কাও ‘শিয়ামেন থেকে হেঁটে-যাওয়া এবং নীল সমুদ্র দেখা’ শীর্ষক কবিতায় সাজিয়েছেন পূর্বমুখি পাহাড়ের টাওয়ার আর নীল সমুদ্রের পানির গীতল নাচন। তিনি চাঁদ-সুরুজের নিবিড় ভ্রমণ আর ঢেউয়ের নেচেওঠার মধ্যে খুঁজেছেন শরৎকালের তাৎপর্য ও সৌন্দর্য। তুরস্কের কবি আত্তিলা ইলহান তাঁর ‘মাই নেম ইজ ওটাম’ কবিতায় লিখেছেন: ‘এটা কীভাবে সম্ভব/চারিদিকে পামগাছের ফুল ঝরছে/আলোর রাজ্যে সাঁতার কাটছে— যতদূর তুমি দেখতে পাও/তোমার চোখে শান্তি বয়ে যায়/যাইহোক, এটা শেষ পর্যন্ত সন্ধ্যায় গড়ায়/আমার পাতাগুলো মাটিতে পড়ছে— ধীরে ও আলতোভাবে/আমার নাম শরৎকাল।’— কবিতাটিকে বলা চলে দ্য ডেফিনেশান অব শরৎকাল! এলিজাবেথ ব্যারেট ব্রাউনিং (১৮০৬-১৮৬১) ‘দ্য ওটাম’ কবিতায় পাঠককে পরামর্শ দিয়েছেন পাহাড়ের ওপর বসে চারদিকে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখবার জন্য। পানির বন্যতা এবং শরতের শব্দকে চেতনায় ধারণ করতে বলেছেন তিনি; প্রকৃতির রূপ পরিবর্তনকেও হৃদয়ে ধারণ করতে আহ্বান জানিয়েছেন। জাপানি কবিতা-পেটইন্টিং ও ডিজাইনে শরৎকাল নানান রূপে প্রতিভাত। সেখানে শরতের দুঃখ-দুঃখ চেহারা যেন পাহাড় ও শহরের গা বেয়ে জনজীবনে নেমে আসে। জাপানের প্রাচীন সাহিত্যে ইয়ামানোয়ি ওকুরা (খ্রিস্টপূর্ব ৬৬০-৭৩৩) ‘শরৎকালের চা ফুল’ নামক কবিতায় ফুলের বিচিত্র রঙ আর শোভার বিবরণ দিয়েছেন। ‘সকালমুখি’ ফুলগুলো তিনি ‘আঙুলে’ গুনে গুনে রাখতে পছন্দ করতেন। জাপানি কথানির্মাতা কাফু নাগাই (১৮৭৯-১৯৫৯)-এর ‘ওটাম উইন্ড অ্যান্ড আদার স্টোরিজ’ গল্প-সংকলনটি দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিশ্বসাহিত্যের দরবারে পৌঁছেছে ভাবনার নির্মলতা আর কল্পনার প্রখরতার জন্য। বিভিন্ন লেখকের ১৪টি গল্প আছে এখানে। প্রাবীণ ও নবীন জাপানি কথাকারদের শরৎ-ভাবনার কালেকশান এটি। শরৎকালে জন্ম-নেওয়া সমবয়সী দুই নারীর জীবনের গল্প নিয়ে নির্মিত কোরিয়ান নাটক ‘আমার হৃদয়ে শরৎকাল’ সম্প্রতি মঞ্চস্থ হয়েছে মিয়ানমারের রাজধানীতে। এখানে পাওয়া-না-পাওয়ার হিসেব-নিকেশ মিলিয়ে দেখা হয়েছে শরৎকালের প্রাকৃতিক বর্ণবিভায়। মধ্যপ্রাচ্যের শিল্প-সাহিত্যে শরৎকালের তেমন প্রভাব চোখে পড়ে না। সেখানে শরৎ হয়তো সেভাবে প্রকাশও পায় না— আবহাওয়াজনিত কারণে। তবে কবি অ্যাডোনিসকে আরবের শরৎ বলতে পছন্দ করেন অনেকে। আর নাগিব মাহফুজের মিশরীয় রেভ্যুলেশনের ওপর লেখা ‘শরতের কোয়েল’ গল্পটি বেশ জনপ্রিয়ও বটে। গল্পটির বিষয় সমাজ-রাজনীতি হলেও এক চাকুরিচ্যুত ব্যক্তির মন ও হৃদয়ের দ্বন্দ্ব ফুটে উঠেছে এখানে। ওই দ্বন্দ্বে যেন নীরবে ছায়া ফেলে শরতের শোভা ও বিষণ্নতা! শারদীয় উৎসবের কথা আমাদের অজানা নয়। সনাতন ধর্মের সবচেয়ে বড় আয়োজন হয় এই শরৎকালে। আর তা নিয়ে আনন্দ-আয়োজনেরও কোনো শেষ নেই যেন। মিডিয়া-প্রকাশনা থেকে শুরু করে হাট-বাজার, ঘর-দোর পর্যন্ত বিস্তৃত এই উৎসবের আমেজ। প্রতীমা বিসর্জন তাদের শরৎকে যেন করে তুলেছে বিষাদময়। আজকাল আমেরিকা-ইউরোপেও শারদীয় উৎসবের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। যেমন সাম্প্রতিককালে (৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩) যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় ‘রাজনীতি, কবিতা ও পোপ’ বিষয়ক একটি শারদীয় সাহিত্য আয়োজনের খবর আমাদের কাছে রয়েছে। আয়োজনটিকে তারা বই-এর মৌসুম বলে অভিহিত করেছে। এছাড়া অক্টোবরের ৩-৬ তারিখ ওখানে পর্যন্ত বসবে ‘ওটাম ফেস্টিভ্যাল’। এটি হবে আকর্ষণীয় সাহিত্য উৎসব। এই রকম ইতিবাচক জ্ঞানমুখি অনুষ্ঠান-উৎসব পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে পড়লে মানব-বিজ্ঞানের ক্ষেত্র অনেকটা অগ্রসর হবে বলে ধারণা করা যায়। প্রসঙ্গত, বাংলাসাহিত্যের প্রাচীন কবি কালিদাসের ‘ঋতুসংহার’ কাব্য থেকে, শরৎকাল-বিষয়ক, খানিকটা পাঠ নেওয়া যেতে পারে: ‘কাশফুলের মতো যার পরিধান, প্রফুল্ল পদ্মের মতো যার মুখ, উন্মত্ত হাঁসের ডাকের মতো রমণীয় যার নূপুরের শব্দ, পাকা শালিধানের মতো সুন্দর যার ক্ষীণ দেহলতা, অপরূপ যার আকৃতি— সেই নববধূর মতো শরৎকাল আসে।’— কী দারুণ শরৎ-পরিবেশনা! শরতের সাথে প্রকৃতি ও নারীর এই উপমা দেখে বিস্মিত না হয়ে পারা যায় না। রবীন্দ্রনাথ শরৎকে ভেবেছেন দৃষ্টি-ভোলানো প্রিয়-প্রসঙ্গ হিশেবে। তিনি লিখেছেন: ‘আমার নয়ন-ভুলানো এলে,/আমি কী হেরিলাম হৃদয় মেলে/শিউলিতলার পাশে পাশে ঝরা ফুলের রাশে রাশে/শিশির-ভেজা ঘাসে ঘাসে অরুণ রাঙা চরণ ফেলে/নয়ন-ভুলানো এলে।’ সৈয়দ শামসুল হকের কবিতায় মেলে শরতের অপার বিস্ময় আর নস্টালজিয়া: ‘সে কী বিস্ময়! কী যে বিস্ময়! কী করে ভুলি!/আকাশের নীল ঘন শাদা মেঘ, কবেকার গ্রামপথে ডুলি!/নাইওরে যাচ্ছে বউ! একদিন চুল তার— দেখি নাই কারও চুল দীর্ঘ এতটা—/আজ এই নগরের অ্যাভেনিউয়ে এসে যেই দাঁড়ালাম—/সেদিনের কিশোর বেলাকার এই আমাকে বললাম—/ওরে থাম! থাম!/দ্যাখ সেই একই ছবি, সেই মেঘ,/সেই নীল, অগ্নি সেই একই!/আজও তো হঠাৎ— সেদিন গ্রামের নয়—/তোমাকেই আজও দেখে উঠি! —যদিও জীবন হয়ে গেছে যেন বাসি পাউরুটি।’ কবি আসাদ চৌধুরী কাশফুল আর জ্যোৎস্নায় আত্মবিবরণের আশ্রয় খুঁজেছেন; কবি বলছেন: ‘শাদা কাগজের ওপর রেগে যাই,/সাড়ে চুয়াত্তরে এসে/বাক্যালাপে মেতে ওঠে/অসমাপ্ত পদ্যগুলো/স্মৃতিরাশি শাদা মেঘমালার চেয়েও/অধিক এলোমেলো।/...এখন ঠিকই বুঝতে পারি, কে নারী কে পুরুষ/এক সঙ্গে নৃত্য করে/ঝকঝকে প্রতিমার দৃষ্টির সীমায়—/জলাময় ভরাটের মাটির ওপরে/কাশফুল জ্যোৎস্নায়।’ শহরের কোলাহলে আজ কাশফুল আর শিউলিতলা কই! এয়ারপোর্ট-খিলক্ষেত রোডের ধারে কিংবা কামরাঙ্গীচরের ওপারের পাতলা কাশবন ঢাকাবাসীর মনে কতটো প্রেরণা যোগায়— কে জানে! অন্যসব শহরের অবস্থাও প্রায় একই রকম। হাইরাইজ বিল্ডিঙের ফাঁকে চোখ গলিয়ে নীল আকাশের তুলার মতো শাদা মেঘ কয়জনেরই-বা দেখার সৌভাগ্য হয়! মফস্বলে কিছুটা ব্যতিক্রম আছে বটে! গ্রামে গ্রামে এখনও আছে সারি সারি কাশবন আর শিউলিফুলের গন্ধ! একুশে সংবাদ ডটকম/আর/২৫-০৮-০১৪:
Link copied!