AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

অপচয় ও অপব্যয়


Ekushey Sangbad

১১:২০ এএম, আগস্ট ২৫, ২০১৪
অপচয় ও অপব্যয়

একুশে সংবাদ : “আত্মীয়-স্বজনকে তার হক দান কর এবং অভাবগ্রস্ত ও মুসাফিরকেও এবং কিছুতেই অপব্যয় কর না। নিশ্চয়ই অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই। শয়তান স্বীয় পালনকর্তার প্রতি অতিশয় অকৃতজ্ঞ। (সূরা বনি ইসরাইল : ২৬)” অপচয় ও অপব্যয় মানুষের মন্দ স্বভাবের অন্তর্ভুক্ত। সাধারণভাবে শব্দ দুটো একই অর্থবোধক মনে হলেও আসলে তা নয়। অপচয় হচ্ছে বৈধকাজে প্রয়োজনাতিরিক্ত ব্যয় করা। ইংরেজিতে বলে Misuse । আর অপব্যয় হচ্ছে অবৈধ কাজে ব্যয় করা। ইংরেজীতে বলে Wrongfull বা Imprudent-Spending । ইসলামে অপচয় ও অপব্যয় উভয়ই নিষিদ্ধ। ইসলাম একটি ভারসাম্যপূর্ণ কল্যাণ ধর্ম । তাই এতে অপচয় ও অপব্যয়ের মতো কৃপণতাও নিষিদ্ধ। কারণ কৃপণতাও মানুষের একটি মন্দ স্বভাব। বিশ্বাসঘাতকতা ও নির্দয়তার লক্ষণ। কোরআন মজিদ ও হাদীসে ক্ষুধার্তকে খাদ্যদান, বস্ত্রহীনকে বস্ত্রদান, অভাবগ্রস্তকে সাহায্য দান, অনাথ-ইয়াতীমদেরকে লালন-পালন, নিঃস্ব ব্যক্তির উপার্জনের ব্যবস্থা করা, বিপদগ্রস্ত মানুষকে সহায়তা করা মুসলিমদের কর্তব্য বলে ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু কৃপণরা তা করে না। কৃপণতা মানুষকে আল্লাহ্ তাআলা তথা জান্নাত থেকে দূরে সরিয়ে শয়তান তথা জাহান্নাম পর্যন্ত পৌঁছে দেয়। শরিয়তের পরিভাষায় বৈধ কাজে প্রয়োজনের অতিরিক্ত ব্যয় করাকে ইসরাফ বা অপচয় বলে। আর অবৈধ কাজে ব্যয় করাকে তাবজির বা অপব্যয় বলে। ইসলামিক শরিয়তে এ দুটি বিষয়কে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, আত্নীয়-স্বজনকে তার হক দান কর এবং অভাবগ্রস্ত ও মুসাফিরকেও এবং কিছুতেই অপব্যয় কর না। নিশ্চয়ই অপব্যয়কারীরা শয়তানের ভাই। শয়তান স্বীয় পালনকর্তার প্রতি অতিশয় অকৃতজ্ঞ। (সূরা বনি ইসরাইল : ২৬)। অন্য এক আয়াতে বলা হয়েছে এবং যখন তারা ব্যয় করে তখন তারা অপচয় করে না, কার্পণ্যও করে না। বরং তারা উভয়ের মাঝে মধ্যম পন্থা অবলম্বন করে (সূরা ফুরকান : ৬৭) মহান আল্লাহতায়ালা আরও বলেন- হে বনি আদম! প্রত্যেক সালাতের সময় সাজসজ্জা পরিধান করে নাও। খাও ও পান কর এবং অপচয় কর না। নিশ্চয়ই তিনি অপচয়কারীদের পছন্দ করেন না। (সূরা আরাফ : ৩১) অপচয় ও অপব্যয় সম্পর্কে হাদিস শরিফে বর্ণনা করা হয়েছে, হজরত জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, কারও ঘরে একটি বিছানা তার জন্য, অপরটি তার স্ত্রীর জন্য, তৃতীয়টি তার মেহমানদের জন্য এবং চতুর্থটি শয়তানের জন্য। (সহিহ মুসলিম) হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত একদা নবী করিম (সা.) হজরত সা’দ (রা.)-এর কাছ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি তখন অজু করছিলেন। রাসূল (সা.) বললেন, হে সা’দ এই অপচয় কেন? সা’দ (রা.) বললেন, অজুর মধ্যেও কি অপচয় আছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ তুমি প্রবহমান নদীর তীরেই থাক না কেন। (ইবনে মাজাহ) আমাদের প্রত্যেকের উচিত অপচয় ও অপব্যয় থেকে দূরে থাকা। আল্লাহর কাছে এ কামনা আল্লাহ যেন অপচয় ও অপব্যয় থেকে দূরে থাকার তৌফিক দেন। আমিন! ছুম্মা আমিন।  
Link copied!