AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

কৃষকের মুখে হাসি ফুটিয়েছে হাইব্রীড সাথী ধান


Ekushey Sangbad

১০:৪০ এএম, আগস্ট ২৬, ২০১৪
কৃষকের মুখে হাসি ফুটিয়েছে হাইব্রীড সাথী ধান

একুশে সংবাদ: কুড়িগ্রামে মঙ্গাকে জয় করে কৃষকের চোখে-মুখে হাসির ঝিলিক এনে দিয়েছে হাইব্রীড সাথী ধান । বোরো মৌসুমে ব্রি-২৮ জাতের ধান কেটে লাগিয়েছিলো হাইব্রীড সাথী। এখন এই সাথী ধান কেটে আবার লাগাচ্ছে আমন ধান। একই জমি থেকে এক বছরে তিনটি ফসল তুলতে পেরে কৃষকরা আনন্দিত। যা অন্য কৃষকদের কাছে স্বপ্ন। আর এই স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটিয়েছে ব্র্যাকের কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসুচি । এতে কৃষকের পাশাপাশি কৃষি শ্রমিকরাও হাতে কাজ পেয়ে খুশি। জেলায় প্রায় এক হাজার ২৭৫ হেক্টর জমিতে সাথী ধানসহ বিভিন্ন জাতের আউশ ধান চাষ হয়েছে। হাইব্রীড সাথী ধানের একর প্রতি উৎপাদন হয়েছে ৮০ থেকে ৮৫ মণ। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার কাঠালবাড়ী ইউনিয়নের প্রতাপ গ্রামে প্রায় ১০০ কৃষকের ঘরে শ্রাবণ মাসে নবান্ন উৎসব হয়ে গেছে। কুড়িগ্রামের কৃষকদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ স্বপ্নের বাস্তবায়ন ঘটিয়েছে ব্র্যাক। কৃষি ও খাদ্য নিরাপত্তা কর্মসুচির আওতায় দরিদ্র ও ক্ষুধা দূরীকরণই এর মুল লক্ষ। এ গ্রামের কৃষক রজব আলী ২ বিঘা ও নাজমুল হক ১ বিঘায় সাথী ধান চাষ করে। তারা জানান, মে মাসে বিআর-২৮ ধান কেটে সাথী ধান চাষ করেন। বীজ তলা থেকে ধান কাটা পর্যন্ত সময় লেগেছে ১১৫/১২০ দিন। বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ৬/৭ হাজার টাকা। আর ধান পেয়েছে ২৫/২৮ মন। বর্তমান বাজার দর মণ প্রতি ৭০০ টাকা হিসাবে গড়ে লাভ থাকে ১০ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকা। পাশাপাশি গো-খাদ্যেরও সংকট দূর হয়েছে। ব্র্যাকের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক বাবুল নন্দন প্রামাণিক জানান, শুধু ব্র্যাকের ব্যবস্থাপনায় ৬৭৬ জন কৃষকের মাধ্যমে দুই ফসলি ২৮৪ একর জমিতে তিন ফসলি এ আউশ ধান চাষ করা হয়। শস্য বিন্যাস অবলম্বন করে চাষীরা উন্নত বীজ ব্যবহার করায় একর প্রতি ফলন হয়েছে ৮০ থেকে ৮৫ মণ। এ ধান চাষ ব্যাপক ভাবে ছড়িয়ে দিতে পারলে কুড়িগ্রাম অঞ্চলের মঙ্গাকে জয় করা যাবে। কুড়িগ্রাম খামার বাড়ীর উপ-পরিচালক প্রতীপ কুমার মন্ডল জানান, কৃষি বিভাগের সহযোগীতায় বিভিন্ন এনজিও পরিবেশ বান্ধব টেক সই প্রযুক্তির সম্প্রসারণে শস্য বহুমুখীকরণ এবং নতুন নতুন কৌশল উদ্ভাবনের মাধ্যমে দারিদ্র অধ্যুষিত এলাকায় খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পেরেছে। এর ফলে জেলায় এ বছর এক হাজার ২৭৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের আউশ ধান চাষ হয়েছে। উৎপাদন হয়েছে বাম্পার। কৃষক ও কৃষি শ্রমিকরা লাভবান হওয়ার পাশাপাশি কৃষি অর্থনীতি চাঙ্গা হচ্ছে। একুশে সংবাদ ডটকম/মামুন/২৬.০৮.২০১৪
Link copied!