ভারতে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ
একুশে সংবাদ : সার্কভুক্ত দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য ২০১০ সালে ভারতের দিল্লিতে শুরু হয়েছিল দক্ষিণ এশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম। বর্তমানে এখানে সাতটি বিভাগে মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্স পড়ানো হয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্কভুক্ত আটটি দেশের শিক্ষার্থীদের কোটাভিত্তিক পদ্ধতিতে ভর্তি করা হয় প্রতিবছর আগস্টে। এবারও বাংলাদেশ থেকে এসেছেন বেশ কিছু শিক্ষার্থী তাঁদের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে।
২৪ আগস্ট দিনটি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ছিল একটু ভিন্ন। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় ক্লাস বা কুইজ নিয়ে কারও চিন্তা ছিল না। সবাই মেতে উঠেছিল নবীনবরণ ২০১৪ উদযাপনে। ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে সাতটি বিভাগে বাংলাদেশ থেকে ৩২ জন শিক্ষার্থী পড়তে এসেছেন। মাস্টার্সে ২৯ জন ও বাকিরা পিএইচডি করতে এসেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে বাংলাদেশি নতুন-পুরোনো সব শিক্ষার্থী এ দিন মেতেছিলেন আড্ডায়। সন্ধ্যা সাতটায় শুরু হয়ে তিন ঘণ্টা ধরে চলে আড্ডা।নবীনবরণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা।
নবীনদের ফুল ও মিষ্টি দিয়ে বরণের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এরপর দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য। কম্পিউটার বিজ্ঞান বিভাগের পিএইচডি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান নতুন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, এখানে সবাই নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। নবীনদের কাছে এটার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, এখানে সব শিক্ষার্থী তার বিদেশি সহপাঠীর কাছে সেই দেশকে চিনতে শুরু করে। এর মাধ্যমে সার্কভুক্ত বিভিন্ন দেশের মানুষের মাঝে যোগাযোগ ও সম্পর্ক বাড়ছে।
দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্যের পর পরিচিত পর্বে নতুন পুরোনো সবাই পরস্পরের সঙ্গে পরিচিত হন। এরপর গান পরিবেশনা, দলগত ছবি তোলা ও খেলাধুলা। খেলায় মেতে উঠেছিলেন সবাই। সব শেষে একসঙ্গে রাতে খাওয়ার মধ্য দিয়ে শেষ হয় নবীনবরণের অনুষ্ঠান।
এভাবেই মাস্টার্স ও পিএইচডি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা বরণ ও আপন করে নিয়েছেন নবীন শিক্ষার্থীদের। ‘আমরা সবাই এখানে এক দেশের সন্তান। পরবাসে এটা আমাদের অনেক অভাব দূর করতে সহায়তা করে।’ এই মন্ত্রে দীক্ষিত হয়ে নবীন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের নিয়ে গড়ে ওঠে এক পরিবার।
একুশে সংবাদ ডটকম/আর/২৭-০৮-০১৪:
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :