শ্রদ্ধা ভালোবসায় শিক্ত জাতীয় কবি
একুশে সংবাদ: নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে আজ পালিত হচ্ছে জাতীয় কবির ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী। ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কবির সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান তার পরিবাবরের সদস্য, বিশিষ্টজন, ভক্ত-অনুরাগী ও রাজনৈতিক নেতারা। কবির আত্মার শান্তি কামনায় করা হয় দোয়া-মোনাজাত।
১৩৮৩ বঙ্গাব্দের এদিনে ঢাকায় পিজি হাসপাতাল তিনি ইন্তেকাল করেন। কবিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়। সেখানেই তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে সকালে ফজরের নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদে কোরআনখানির আয়োজন করা হয়।
সকালে অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সমাবেশের পর উপাচার্যের নেতৃত্বে শোভাযাত্রা সহকারে কবির সমাধিস্থলে পৌঁছে। এসময় কবির মাজারে পুষ্পার্পণ ও ফাতেহা পাঠ করা হয়। পরে কবির মাজার প্রাঙ্গণে উপাচার্যের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
জাতীয় কবির সমাধিতে পৃথক পৃথকভাবে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে সংস্কৃত বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, বাংলা একাডেমি, নজরুল একাডেমি, নজরুল ইনস্টিটিউট, নজরুল চর্চা কেন্দ্র, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রি হল, এফ রহমান হল, কবি সুফিয়া কামাল হল, ফজিলতুন নেসা হল, জেড ফোর্সসহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক ও পেশাজীবী সংগঠন।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জাতীয় কবির সমাধিতে পুষ্পমাল্য নিবেদন ছাড়াও ফাতেয়া পাঠ ও দোয়ার আয়োজন করা হয়।
আজ কবির মৃত্যুবার্ষিকী অন্যান্য আয়োজনের মধ্যে রয়েছে, বিকেল সাড়ে ৪টায় বাংলা একাডেমীর কবি শামসুর রহমান মিলনায়তণে প্রবন্ধ পাঠ, বক্তৃতা ও সংস্কৃতি অনুষ্ঠান।
কবির ৩৮তম মৃৃত্যুবার্ষিকীতে তার স্মৃতিজড়িত কুমিল্লায়ও আজ নজরুল পরিষদে উদ্যোগে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে। সকালে নজরুল ইসলাম ইনস্টিটিউট কুমিল্লা কেন্দ্রে নজরুল প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া মাহফিল এবং চেতনায় নজরুল স্মৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করা হয়।
সন্ধ্যা ৬টায় টাউন হলে আলোচনাসভা পুরস্কার বিতরণ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং জেলায় শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের পরিবেশনায় নাটক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্ম ১৩০৬ সালের ১১ জ্যৈষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে। তার ডাক নাম ‘দুখু মিয়া’। বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত হলেও তিনি ছিলেন একাধারে কবি, সংগীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গায়ক ও অভিনেতা।
প্রেম, দ্রোহ, সাম্যবাদ ও জাগরণে তার কবিতা ও গান শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রামে জাতিকে উদ্বুদ্ধ করেছে। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর গান ও কবিতা ছিল প্রেরণার উৎস।
একুশে সংবাদ ডট কম/মামুন/২৭.০৮.২০১৪
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :