খালেদা একাত্তরের পরাজিত শক্তির দোসর : শেখ হাসিনা
একুশে সংবাদ: বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে একাত্তরের পরাজিত শক্তির দোসর উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা যখন রাজাকারদের রায় কার্যকর করতে শুরু করলাম তখন তিনি আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে মারতে শুরু করলেন। কিন্তু বাংলার মাটিতে পরাজিত শক্তির উত্থান হতে দেওয়া হবে না।’
শনিবার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যুদ্ধপরাধীদের বিচার শুরু করেছিলেন। আমরা তাদের বিচার করছি। খুনীদের স্থান বাংলার মাটিতে হবে না।’ যুদ্ধাপরাধীদেরও বিচার করা হবে। কোনো রাজাকারের স্থান বাংলার মাটিতে হবে না।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এক দিনের মধ্যে মা-বাবাসহ সবাইকে হারিয়েছি তাই আমার আর হারানোর কিছু নেই। আমি শুধু জাতির পিতার আদর্শের সন্তানই নই একজন সৈনিকও। এ দেশের সাধারণ মানুষের জন্য আমার জীবনকে উৎসর্গ করলাম।’
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যায় গ্রিন সিগন্যাল দিয়েছিলেন । তিনি বলেন, ‘খুনীদের যারা লালন-পালন করেছে, তারাই যে বঙ্গবন্ধুর খুনী এতে সন্দেহ নেই। আর সম্পর্ক কত গভীর থাকলে পাকিস্তানী বাহিনীর প্রধান খুনী জানজুয়ার মৃত্যুতে খালেদা জিয়া শোকবার্তা পাঠান। যারা খুন করেছে, নারী ধর্ষণ করেছে তাদের তো আর সম্মান দেওয়া যায় না।’
শেখ হাসিনা বলেন,‘জিয়া বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনীদের পুরষ্কৃত করেছেন, তাদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়েছেন। খালেদা জিয়া ১৫ ফেব্রুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনে খুনী কর্নেল রশিদ ও মেজর হুদাকে এমপি বানিয়েছিলেন। তাদের সম্মানিত করেছিলেন। আমরা তাদের বিচার করেছি।’
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ বঙ্গবন্ধু সারাজীবন মানুষের জন্য কাজ করেছেন। কোনো লোভ-লালসা তাকে স্পর্শ করেনি। ভোগ নয় আমাদেরও ত্যাগ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু সেই শিক্ষাই আমাদের দিয়েছেন।’ তিনি বলেন, ‘বার বার আমি মৃত্যুকে সামনে থেকে দেখেছি। আমার হারাবার কিছুই নেই। বুকে পাথর বেধে আমি বাংলার মাটিতে এসেছি। মৃত্যুকে আমি পরোয়া করি না। আমি জনগণের সেবক।’
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘বিকৃত চরিত্রের ও মানসিকতার না হলে কেউ ১৫ আগস্ট কেক কেটে জন্মদিন পালন করতে পারে না।’ তিনি (খালেদা জিয়া) নির্বাচন ঠেকানোর নামে শত শত মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছেন। এত মানুষকে খুন করেও তার নেশা মেটে না। তিনি দেশকে পাকিস্থানি তাবেদারির রাষ্ট্র বানাতে চান।
তিনি বলেন, ‘২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালের মধ্যে বিশ্বে সম্মানের সঙ্গে মাথা তুলে দাঁড়াবে। ইনশাল্লাহ আমরা তা করতে পারবো।’
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজের সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য তোফায়েল আহমেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, সাহারা খাতুন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, হাজী সেলিম, শাহে আলম মুরাদ।
একুশে সংবাদ ডটকম/মামুন/৩০.০৮.২০১৪
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :