বন্যা পরিস্থিতির অবনতি,ধুনটে আরও ৬০ গ্রাম প্লাবিত
একুশে সংবাদ : দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। গাইবান্ধার ঘাঘট, কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র, জামালপুরের যমুনা ও শরীয়তপুরের সুরেশ্বর পয়েন্টে পদ্মা বইছে বিপৎসীমার অনেক উপর দিয়ে।
বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনার পানি বিপদ সীমার ৯৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ধুনটে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে আরও ৬০টি গ্রাম। ছয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
শনিবার বিকাল ৩টা পর্যন্ত ধুনট উপজেলায় বাঁধ ভাঙ্গা বন্যায় আক্রান্ত লোকজনের মাঝে সরকারি বা বেসরকারি উদ্যোগে ত্রাণ সহায়তা পৌছেনি। সারিয়াকান্দি উপজেলায় সরকারি এবং বেসরকারি উদ্যোগে ত্রাণ সহায়তা দিলেও তা ছিলো অপ্রতুল। ত্রাণের খবর পেলেই ছুটে যায় বন্যার্ত লোকজন। কিন্তু অধিকাংশ লোকজনকে ত্রাণ না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরতে হয়েছে। দুর্গত এলাকায় বিপুল সংখ্যক মানুষ খোলা আকাশের নীচে বসবাস করছে। তবে পানিবন্দি এলাকায় শিশু ও গবাদী প্রাণী নিয়ে লোকজন চরম দূর্ভোগে রয়েছে।
এছাড়া নলকূপ ও ল্যাট্রিন পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দুর্ভোগের মাত্রা বেড়েছে। সারিয়াকান্দি, সোনাতলা ও ধুনট উপজেলার প্রায় ১৩ হাজার হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে কৃষক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ৭৩টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৬টি মাদ্রাসা, ৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ২টি কলেজ এবং অসংখ্য বেসরকারী ও এনজিও স্কুলে পানি ওঠার ফলে আপদকালীন ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। -
গাইবান্ধায় ঘাঘট এবং ব্রহ্মপুত্রে পানি আরও বাড়ায় তলিয়ে গেছে নতুন নতুন এলাকা। অনেক পরিবার রাস্তায় খোলা আকাশের নীচে এসে আশ্রয় নিয়েছে।
কুড়িগ্রামে নতুন করে প্লাবিত হয়েছে ৩৫টি গ্রাম।
শরীয়তপুরের সুরেশ্বরে পদ্মা বিপৎসীমার ৪৩ সেন্টি মিটার এবং জামালপুরে যমুনা বিপৎসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে।
একুশে সংবাদ ডটকম/প্রতিনিধি/এফরান/৩১.০৮.০১৪:
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :