AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

দুর্নীতি আর দমননীতি


Ekushey Sangbad

০৪:৪৬ এএম, আগস্ট ৩১, ২০১৪
দুর্নীতি আর দমননীতি

একুশে সংবাদ : ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃত্ব দৃশ্যত বিচলিত। একের পর এক পুতুল নাচের সুতো বাঁধা নীতিমালা, আইন জারি আর সংবিধান সংশোধনীর পাঁয়তারা করে চলেছে মন্ত্রিপরিষদ, সবক'টিরই লক্ষ্য রাষ্ট্র কাঠামোর নিয়মিত-অনিয়মিত স্বয়ম্ভর স্তম্ভগুলো কেন্দ্রীভূত নির্বাহী ক্ষমতার ইচ্ছাধীন করা। এক কথায় সরকারপ্রধান নিয়ন্ত্রিত জাতীয় সংসদ, বশংবদ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় প্রশাসন, বাধ্য বিচার ব্যবস্থা নিশ্চিত করা, এমনকি রাষ্ট্রের পোষ্য না হয়েও চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে বিবেচিত সংবাদ মাধ্যমকে পোষ মানাতে অস্থির হয়ে উঠেছে ক্ষমতাসীন চক্র। কাউকেই যেন আর বিশ্বাস করতে পারছে না। প্রথম ধাপটি তথা 'রাবার স্ট্যাম্প পার্লামেন্ট' গঠন সম্পন্ন হয়েছে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে। মহাজোট-বহির্ভূত মূলধারার সব রাজনৈতিক দলের বয়কটে মহাজোটকে ভাগ করেই ভোটারবিহীন পাতানো নির্বাচনী ঘোষণায় তৈরি হয়েছে কাগুজে সরকারি দল এবং পাপেট বা পুতুলবিরোধী দল। সে প্রক্রিয়াতেও ক্ষমতাসীনরা এতটাই সংশয়াপন্ন ছিল যে, সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করতে সংসদের অর্ধেকেরও বেশি ১৫৪টি আসনে ভোট ছাড়াই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেছে সাজানো সরকারি ও বিরোধী দল মিলিয়ে অনির্বাচিত সদস্যদের। বাকিদেরও লোক দেখানো ভোটে অল্প কিছু ভোটার এনে বা না আনতে পেরেও ব্যালট বাঙ্ ভর্তি করে আগেভাগে তৈরি করা তালিকা অনুযায়ী নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও ক্ষমতাসীন চক্রের মাথাব্যথা কমছে না। পোষ্য বিরোধী দলের অনেককে মন্ত্রী বা উপদেষ্টা বা সমমর্যাদার পদ দেয়া হয়েছে। তাদের কেউ কেউ এমনকি ক্ষমতাসীন চক্রের ভেতরের মানুষও কেউ কেউ মাঝে মাঝে বেফাঁস কথা বলে ফেলছেন। যেমন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত জাঁদরেল এরশাদ সরকারি দুর্নীতি আর রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে অতিষ্ঠ দেশবাসীর উদ্বেগের কথা বলে মাঝে মাঝেই হাততালি কুড়াবার চেষ্টা করছেন। সম্প্রতি তিনি বলেছেন, 'বিএনপি আমলে হাওয়া ভবন করে দুর্নীতি হয়েছে। দেশের টাকা বাইরে পাচার হয়েছে। এখন আর তাদের খাওয়া নেই। এখন সরকারি দফতরে দফতরে হাওয়া ভবন। টাকা ছাড়া চাকরি হয় না। যুবকরা বেকার থাকায় তারা ফেনসিডিল খায়, মাদক খায়। তারা সরকার ও দেশের বোঝা। টাকা না দিলে বর্তমানে মানুষ গুম হচ্ছে। কিছুদিন আগে সিলেটের এক ভদ্রলোক (লন্ডনবাসী সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপি নেতা মুজিব) গুম হয়েছে। এ অবস্থা থেকে মানুষ মুক্তি চায়। মানুষ সন্ত্রাস চায় না।' হাল আমলে দুর্নীতির অক্টোপাস কীভাবে এ দেশের অর্থনৈতিক উদ্যোগ আর অগ্রগতির পথরোধ করছে, সে সম্পর্কে সুশীল সমাজের এক বিশিষ্ট ও বিশেষজ্ঞ ব্যক্তিকে উদ্ধৃত করছি। বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সাবেক সভাপতি এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মঈনুল ইসলাম একটি সংবাদ সাক্ষাৎকারে বলেছেন, 'দুর্নীতি আর লুণ্ঠন শক্ত হাতে দমন করা অর্থনীতির জন্য এখন বড় চ্যালেঞ্জ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্মীয়, দলের লোক এবং আমলারাই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি লোক দেখানোর জন্য দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলছেন। (কিন্তু দুদকের হাত-পা বাঁধা)। ২০০৭ সালে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সারা দেশে নাড়া দিয়েছিল। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় এসে প্রধানমন্ত্রী নিজেই দুদককে গলাটিপে হত্যা করেছেন। প্রতিষ্ঠানটি এখন শুধুই নামসর্বস্ব। গত ৫ বছরে কোনো দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী, আমলা এবং রাজনৈতিক নেতা জেল খেটেছে বলে নজির নেই। একটি মামলাও চূড়ান্তভাবে ফয়সালা হয়ে কারও শাস্তি হয়নি। এখানেই প্রধানমন্ত্রীর কথা এবং কাজের সঙ্গে অমিল ধরা পড়ে। অর্থাৎ যেহেতু তার আত্মীয়স্বজন এবং ক্ষমতাসীন দলের লোকজন লুণ্ঠন করছেন, তাই তিনি দুর্নীতি দমনের ব্যাপারে আন্তরিক নন। এটি আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করছে। পাচার করা টাকার একটি ক্ষুদ্র অংশ যায় সুইস ব্যাংকে। বিশ্বায়নের প্রভাবে টাকা পাচার এখন অনেক সহজ হয়েছে। এটি বাংলাদেশের জন্য আরও সহজ। কারণ আমাদের প্রায় ১ কোটি লোক বিদেশে থাকে। তাদের বিরাট একটি অংশ হুন্ডির মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠায়। এ ফরেন কারেন্সি দেশে আসে না। এছাড়াও এখন যে কোনো ব্যাংকের ম্যানেজারের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা পাচার করা যায়। এখন দেশের পুঁজি সবচেয়ে বেশি পাচার হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, সিঙ্গাপুর, কানাডা, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং হংকংয়ের মতো দেশগুলোতে। লুটের টাকায় তারা (পাচারকারীরা) সেখানে বাড়িঘর কেনে, কলকারখানা পর্যন্ত তৈরি করেছে। কানাডার বেগমপাড়া এবং মালয়েশিয়ার সেকেন্ড হোমে প্রায় ৪ হাজার বাংলাদেশী বাড়িঘর কিনে বাস করছে। মধ্যপ্রাচ্যে অনেক বড় বড় কনস্ট্রাকশন কোম্পানির মালিক বাংলাদেশী পুঁজিপতিরা। তারা হুন্ডির মাধ্যমে বিদেশে টাকা নিয়ে গেছে। এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্টসহ কয়েকজনের নাম আমি জানি। এরা বিদেশে টাকা নিয়ে গেছে। কিন্তু দেশে বিনিয়োগ করছে না। বিনিয়োগ না হওয়ার জন্য আরও কিছু কারণ রয়েছে। বিশেষ করে ব্যাংকে সুদের হার অনেক বেশি। অবকাঠামো সমস্যা রয়েছে। তাছাড়া বিনিয়োগ করার জন্য পদে পদে ঘুষ দিতে হয়। ফলে মানুষ দেশে বিনিয়োগে আগ্রহী নয়। যেখানে দেশি পুঁজি বিদেশে চলে যাচ্ছে, সেখানে বিদেশি বিনিয়োগের চিন্তা অযৌক্তিক। কারণ বিদেশিরাও আমাদের দেশের দুর্নীতির বিষয়টি জানে। 'এক সময় বিদেশি সাহায্য জিডিপির ১৩ শতাংশে পৌঁছে গিয়েছিল। এখন তা ২ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। বর্তমানে আমরা পণ্য সহায়তা নিচ্ছি না। বিদেশি অর্থ আসে আমাদের প্রকল্প সহায়তার জন্য। এর বেশিরভাগই লুটপাট হয়। এখানে মন্ত্রী, এমপিসহ সবার জন্য মার্জিন থাকে। আসলে বিদেশি সহায়তার কোনো প্রয়োজন নেই। আমাদের ব্যালেন্স অব পেমেন্টের কারেন্ট অ্যাকাউন্টে ৯ বছর পর্যন্ত উদ্বৃত্ত রয়েছে। দুর্নীতি, লুণ্ঠন এবং রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ হলেই আমরা এগিয়ে যেতে পারি। কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ কালো বিনিয়োগের সুযোগ দেয়ার অর্থ হলো দুর্নীতিবাজদের পৃষ্ঠপোষকতা করা।' দুর্নীতির পাশাপাশি চিহ্নিত একডজন এমপি বা সংসদ সদস্যের গডফাদার কালচারে প্রতিষ্ঠা ও ভয়াবহ দক্ষতা ক্ষমতাসীনদের জন্য 'জনজীবন নিয়ন্ত্রণ' নিশ্চিত করেছে। নারায়ণগঞ্জের সেভেন মার্ডার, ফেনীর একরামুল হক হত্যা, মিরপুরে বিহারি ক্যাম্পের আগুনে ১০ হত্যাসহ এসব এমপির নানা কীর্তি সংবাদ মাধ্যমের তৎপরতায় ফাঁস হয়ে যাওয়ায় আর ধামাচাপা দেয়া সম্ভব হয়নি। লোকমুখে শোনা যায়, এদের ছাড়াও মহানগরগুলো থেকে শুরু করে জেলা শহর, উপজেলা এমনকি বর্ধিষ্ণু গ্রামাঞ্চলগুলো পর্যন্ত বিস্তৃৃত হয়েছে ক্ষমতাসীনদের রাজনৈতিক ছাড়পত্র বহনকারী মাফিয়া ডনদের বাঁধা হারে চাঁদা-কমিশন আদায়ের ছায়াশাসন ও সামাজিক নির্যাতন। জনরোষ থেকে তাদের জন্য রক্ষাবূ্যহ রচনা করতে যেমন রয়েছে অস্ত্রধারী মাস্তানদের পেশিশক্তি, তেমনি আড়ালে রয়েছে অর্ধযুগ ধরে বাছাই করা আজ্ঞাবহ পুলিশ বাহিনী। সুশীল সমাজের আরেক বিশিষ্ট প্রতিনিধি সৈয়দ আবুল মকসুদ না বলে পারেননি, দেশ ক্রমেই নিয়ন্ত্রণবাদী শাসনের করাবন্দি হচ্ছে, 'সম্প্রচার নীতিমালা বাস্তবায়ন হলে সাংবাদিকদের হলুদ জামা আর কলামিস্টদের হাফ প্যান্ট পরার নিয়মও হতে পারে। সম্প্রচার নীতিমালা সরকারের একটা রাজনৈতিক নীলনকশা। এ নীতিমালার উদ্দেশ্য হলো, দেশে শুধু সমর্থক, বশংবদ, স্তুতিকার ও অনুগ্রহভোগীরা থাকবে। স্বাধীন কণ্ঠ কিংবা সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলার অধিকার থাকবে না।' তিনি যা বলতে ভুলে গেছেন, সাধারণ মানুষ যা হাড়ে হাড়ে বুঝেছে, সেটা এই যে, বাকশালী নীলনকশা বাস্তবায়িত করতে রাজনৈতিক মাফিয়ার পাশাপাশি ক্ষমতাসীনদের প্রশাসনিক মাফিয়া হিসেবে পুলিশ প্রশাসন গড়ে তুলতে হয়েছে। দমননীতিনির্ভর ক্ষমতাসীন দল পুলিশরাজ কায়েম করে যথেচ্ছাচারের ক্ষমতা রক্ষায় আশ্বস্ত হতে চেয়েছে। অবশ্যম্ভাবী ফল-সাজানো হামলা-মামলার জালে আষ্টেপৃষ্ঠে বাঁধা পড়েছে মূলধারার সরকারবিরোধী রাজনৈতিক তৎপরতা, একইসঙ্গে ঘটেছে পুলিশের দুর্নীতির প্রসার। গ্রেফতার বাণিজ্য, ক্রসফায়ার বাণিজ্য, অপহরণ বাণিজ্য, গুম-খুনের চুক্তি বাণিজ্য, দখল বাণিজ্য, এমনসব গুরুতর অপরাধে জড়িত এখন পুলিশ। পুলিশের নিয়মিত চাঁদাবাজি লোকের গা-সহা বলা চলে। এখন তার বাড় বেড়ে কী ভয়ঙ্কর পর্যায়ে পৌঁছেছে, পুলিশের সদর দফতরে প্রদত্ত অভিযোগের রেকর্ড থেকেই তার একটা খন্ড চিত্র তুলে ধরছি- চলতি বছরের জুলাই মাসে মিরপুর থানা পুলিশের নির্যাতনে নিহত হন ব্যবসায়ী মাহবুবুর রহমান সুজন। ওই ঘটনায় মিরপুর থানার আলোচিত এসআই জাহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে আরও দুই যুবককে হত্যার অভিযোগ ওঠে। এর আগে ১৯ জানুয়ারি মিরপুরের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের লাশ চার দিন পর সাভারের একটি বাড়ির কক্ষে কফিনের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনা তদন্তে কাফরুল থানার এসআই মনিরুজ্জামানের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ওঠে। ১৫ ফেব্রুয়ারি সকালে সাভারে এক ডলার ব্যবসায়ীকে অপহরণের সময় সাভার থানার এএসআই ফাজিকুল ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করে র‌্যাব-৪। রাজধানীর বাইরে ২ মে যশোরের শার্শা এলাকায় এক ব্যবসায়ীকে চোখ বেঁধে পায়ে গুলির অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। রাজধানীর ইস্কাটনে পুলিশের গুলিতে আহত লিটনের পা হাঁটুর নিচ থেকে কেটে ফেলতে হয়েছে। লিটন অভিযোগ করেন, আটকের পর থানায় নেয়ার সময় তার পায়ে বন্দুক ঠেকিয়ে গুলি করা হয়। অনেক ভুক্তভোগী অভিযোগ করেছেন, পুলিশ হেফাজতে নিহত হওয়া ব্যক্তিদের চোর, ডাকাত, ছিনতাইকারী, চরমপন্থী ও ভয়ঙ্কর অপরাধী আখ্যা দেয়া হয়। নিহতের বিরুদ্ধে মামলা সাজিয়ে হত্যাকে বৈধতা দিয়ে পার পেয়ে যায় পুলিশ। গত মার্চ মাসে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ আত্মসাতের অভিযোগে রামপুরা থানার ওসি কৃষ্ণসিন্ধু বালা ও নাসিম আহমেদকে প্রত্যাহার করা হয়। তবে ঘটনার মূল হোতা হিসেবে নাম আসে পুলিশের একজন সহকারী কমিশনারের। ওই কর্মকর্তার নামে পুলিশ সদরে অভিযোগ দায়ের করা হলেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। দুর্নীতির অভিযোগে দুদক তদন্ত করলেও রাজনৈতিক প্রভাবে ওই পুলিশ কর্মকর্তা এখনও দাপটের সঙ্গে স্বপদে বহাল আছেন। ২৭ মে রাজধানীর রামপুরা ব্রিজ থেকে ১৯০ পিস ইয়াবাসহ রাজারবাগ পুলিশ লাইনের মাসুদ নামে এক কনস্টেবলকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ১৭ জুলাই মিরপুর এলাকায় ইয়াবাসহ পুলিশ কনস্টেবল কামরুল ইসলাম ও তার দুই সহযোগীকে আটক করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ১১০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। ২০১৩ সালের অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে পুরান ঢাকার তাঁতীবাজারে একটি বাড়িতে হুন্ডির টাকা উদ্ধারের কথা বলে অভিযান চালাতে গিয়ে তৎকালীন ক্যান্টনমেন্ট থানার এসআই কাইয়ুমসহ তিন পুলিশ কনস্টেবলকে আটক করে বংশাল পুলিশের কাছে সোপর্দ করে এলাকাবাসী। তাদের বিরুদ্ধে ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার লুটের অভিযোগ ওঠে। গত বছরের ২৮ আগস্ট চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে মামলায় জড়ানোর ভয় দেখিয়ে পাঁচ ব্যবসায়ীর কাছ থেকে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেয় হাজীগঞ্জ থানার এসআই নিজাম উদ্দিন। মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে তাদের আটকেও রাখে পুলিশ। অভিযোগ রয়েছে, ২১ জুন রাজধানীর মিরপুর কুর্মিটোলা ক্যাম্পের বাসিন্দা ফরিদকে রিমান্ডে নিয়ে মারধর করার ভয় দেখিয়ে তার মায়ের কাছে দেড় লাখ টাকা দাবি করে পুলিশ। ২১ জুন উৎকোচ দাবির বিষয়ে ক্যাম্পবাসী সরাসরি অভিযোগ করেন একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার কাছে। এসবই পুলিশের রেকর্ডে রয়েছে। সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে। ইতিহাসের সাক্ষ্য উল্লেখ করে কেউ কেউ বলছেন, ক্ষমতা আগলে রাখতে দমননীতি আর দুর্নীতির যে বাদুড়বাহিনীকে রক্ষাকবচ হিসেবে গদিনশিনরা কণ্ঠে ধারণ করেছেন, অবশ্যম্ভাবী গণপ্রতিরোধের হঠাৎ আলোর ঝলকানিতে সে কবচ কোথায় ছিটকে পড়বে-তারা সেটা ঠাহরও করতে পারবেন না। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/৩১-০৮-০১৪:
Link copied!