ইয়াহিয়ার পালিত কুকুর এখনো দেশে: শেখ হাসিনা
একুশে সংবাদ: ইয়াহিয়ার পালিত কুকুরের দল এখনো বাংলাদেশের মাটিতে আছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এদের বিরুদ্ধে দেশবাসীসহ ছাত্রসমাজকে সতর্ক ও হুঁশিয়ার থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
রোববার বিকেলে রাজধানীর সোহরাওয়ারর্দী উদ্যানে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত ছাত্রসামবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একাত্তরের পর যারা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ছেড়ে পাকিস্তান চলে গিয়েছিল, তাদের আবার বাংলাদেশে ফিরিয়ে এনে নাগরিকত্ব দিয়েছে জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিল। আর খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসে কর্নেল ফারুক ও কর্নেল হুদাকে ছিয়ানব্বই সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ভোটারবিহীন নির্বাচনে সংসদ সদস্য বানিয়েছিল। পরে ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসে আমরা সেই হুদার ফাঁসি দিয়েছি।’
তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনীর বিভিন্ন সদস্যকে হত্যা করেছে। শুধু তাই নয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদেরকে সাদাগাড়িতে করে ধরে নিয়ে নির্যাতন, গুম করে দিয়েছে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এই সেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যান যেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন। কিন্তু জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়া এই ভাষণ বাজাতে দিতেন না। কত নেতাকর্মী এই ভাষণের জন্য জীবন দিয়েছেন। কত নেতাকর্মীর ওপর আঘাত এসেছে, কিন্তু এই ভাষণকে থামানো যায়নি। তারা রক্ত দিয়েছে, কিন্তু ৭ মার্চের ভাষণ তারা বন্ধ করেননি।
খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের প্রতি ইঙ্গিত করে শেখ হাসিনা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বলেন, ‘রাজনীতি দু ধরনের। একটি ভোগের, অন্যটি ত্যাগের। এরকম রাজনীতি বাংলাদেশে আছে যাদের কিছুই ছিল না, রাজনীতি করতে গিয়ে তারা এখন অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের পাসের হার ৯৮ শতাংশ হতে হবে এমন নির্দেশনা শিক্ষামন্ত্রীকে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘শিক্ষামন্ত্রীকে বলেছি, পাসের হার ৯৮ শতাংশ হতে হবে। এ দেশের ছেলেমেয়েরা অনেক মেধাবী। দেশ এখন ডিজিটাল। এ দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।’
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ভোগের রাজনীতি বাদ দিয়ে ত্যাগের রাজনীতি করার নির্দেশ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যারা ভোগের রাজনীতি করেছে, তারা ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। এখনও যারা করছে তারাও হারিয়ে যাবে।’ তিনি বলেন, সবহারা বেদনা নিয়েও আমি আজ এদেশের জন্য কাজ করে যাচ্ছি।’
স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন ছাত্রলীগ সভাপতি এইচএম বদিউজ্জামান সোহাগ। ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমের পরিচালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ওবায়দুল কাদের, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্তসহ ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতারা।
একুশে সংবাদ ডটকম/মামুন/৩১.০৮.২০১৪
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :