AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বিচারের ভার বিচারকদের হাতে থাকাই বাঞ্ছনীয়


Ekushey Sangbad

০৪:৪৭ এএম, সেপ্টেম্বর ১, ২০১৪
বিচারের ভার বিচারকদের হাতে থাকাই বাঞ্ছনীয়

একুশে সংবাদ : সরকার যদি সিদ্ধান্ত না পাল্টায়, তাহলে সংসদ কর্তৃক বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতাসংক্রান্ত বিলটি সংসদের আসন্ন অধিবেশনেই পাস হয়ে যাবে। বিলটি এরই মধ্যে মন্ত্রিসভা অনুমোদন করেছে এবং সংসদের সামনে উত্থাপনের অপেক্ষায় আছে। ৭২-এর মূল সংবিধান প্রণয়নের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরাও সরকারের এ উদ্যোগের বিরোধিতা করছেন। এদের মধ্যে একজন ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলাম, যিনি শাসক লীগের একজন জাঁদরেল ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। এক সময় মন্ত্রীও ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সরকারে। লীগ সরকার, শাসক লীগের বেনিফিশিয়ারিরা ছাড়া দেশের প্রবীণ প্রথিতযশা আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞসহ অধিকাংশ বোদ্ধা মানুষই এর বিরোধিতা করছেন। সবাই প্রায় সমস্বরে একই কথা বলছেন যে, এর পেছনে সরকারের কুমতলব আছে। সরকার খুব বেশি করে বর্তমানের কথাই ভাবছে। বর্তমান সংসদে তাদের দুই-তৃতীয়াংশের বেশি সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে, যা খুশি তারা তা করতে পারে। কিন্তু যা খুশি তা সব সময় করা উচিত কি অনুচিত সে কথা তারা ভাবছেন না। ক্ষমতাসীন দলে একজনের কথাই শেষ কথা। সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীকালে জাতি তা প্রত্যক্ষ করেছে। সংবিধান সংশোধনের জন্য যে বিশেষ সংসদীয় কমিটি গঠিত হয়েছিল, সেই কমিটির চেয়ারম্যান বেগম সাজেদা চৌধুরী। কো-চেয়ারম্যান সুরঞ্জিত সেনগুপ্তসহ সবাই নির্বাচনকালীন ব্যবস্থা হিসেবে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার বহাল রাখার পক্ষে মত দিয়েছিলেন। কমিটি সভার প্রসিডিংস পত্রিকায় ছাপা হয়েছিল। তাতে স্পষ্ট হয়েছিল যে, তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা সংবিধান থেকে বাদ যাচ্ছে না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য যেদিন সংশোধনী প্রস্তাব পেশ করা হয়, সেদিনই সব পাল্টে যায়। প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছাতেই বদলে যায় সব। সংসদে সরকারি দলের কোনো বিল সংসদ নেত্রী তথা প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছানুযায়ীই হয়ে থাকে-এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দলীয় কোনো সংসদ সদস্য দলের বিপক্ষে ভোট দিতে পারেন না। তাতে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান। কাজেই বিচারপতিদের অভিশংসন ক্ষমতাসংক্রান্ত বিলটি সংসদে বিপুল ভোটে পাস হবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। এমনকি 'গৃহপালিত বিরোধী দল' হিসেবে চিহ্নিত ও সমালোচিত এরশাদের জাতীয় পার্টির সমর্থনে সর্বসম্মতভাবেই তা পাস হয়ে যেতে পারে। যারা এর সমালোচনা করছেন তারা দৃঢ়ভাবেই বলছেন, কার্যত এই ক্ষমতা যাচ্ছে ক্ষমতাসীন লীগ সরকারের হাতে- যে সরকারের সর্বময় ক্ষমতা একজনের হাতে তথা প্রধানমন্ত্রীর হাতে সমর্পিত। চূড়ান্ত বিশ্লেষণে এই-ই দাঁড়ায় যে, বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা আসলে নিয়ন্ত্রণ করবেন এক ব্যক্তি। এটা বহুদলীয় সংসদীয় গণতন্ত্রের চর্চা নয়; সবাই বলছেন একেই বলে এক ব্যক্তির একনায়কতান্ত্রিক কর্তৃত্ববাদী শাসন। এখানে অন্য কোনো কার্যকর বিরোধী দলও নেই সংসদে। তাই কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন, বাকশালের মতো আবারও একদলীয় সর্বনাশা ব্যবস্থার দিকেই নজর দিয়েছে লীগ সরকার। এ ধরনের অগণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা চাপানোর অভিলাষ থেকেই সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা হয়, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা হরণ করা হয়। ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি সংবিধানে চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে সব দল বিলুপ্ত করে একদলীয় বাকশালী শাসন কায়েমের দলিলে সংবাদপত্রের কণ্ঠরোধের ব্যবস্থা করা হয়েছিল চারটি মাত্র দৈনিক পত্রিকা রেখে শত শত পত্র-পত্রিকা বন্ধ করে দেয়ার মাধ্যমে। যে আওয়ামী লীগ ১৯৭২ সালে একটি গণতান্ত্রিক সংবিধান রচনা করে বহুদলীয় গণতন্ত্র চর্চার এ দুয়ার অবারিত করে দিয়েছিল, তারাই তাকে 'কফিনে' ঢুকিয়ে পেরেক ঠুকেছিল। কোনো লাভ হয়নি তাতে। আজীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াকু বীর বঙ্গবন্ধুকে কারা সোভিয়েত ধাঁচের শাসন ব্যবস্থা কায়েমের পরামর্শ দিয়েছিল সে প্রশ্ন এখনও ওঠে। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও কি কেউ খারাপ পরামর্শ দিচ্ছে? আওয়ামী লীগ এবং শেখ হাসিনার একজন অনুরাগী স্পষ্ট করেই বলেছেন, বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের হাতে ন্যস্ত করার পরামর্শ যারা দিচ্ছেন, তারা সরকারের বন্ধু নয়। এটা সত্য যে, ৭২-এর মূল সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদে বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের কাছে ন্যস্ত ছিল। কেন তা করা হয়েছিল তার ব্যাখ্যা দিয়েছেন ৭২-এর সংবিধানের একজন অন্যতম প্রণেতা। একটু পরেই আমরা তার কথা শুনব। তার আগে শুনে নিই ৭২-এর সংবিধান প্রণয়ন কমিটির প্রধান ডক্টর কামাল হোসেন সরকারের প্রস্তাবিত ষষ্ঠদশ সংবিধান সংশোধনী প্রস্তাব সম্পর্কে কী বলেন। টেলিফোনে তিনি ইংরেজি দৈনিক 'নিউ নেশন'কে বলেছেন, এ মুহূর্তে তিনি এ উদ্যোগ সমর্থন করেন না। তার মতে, উদ্যোগটি এরই মধ্যে জনমনে ভীতির সঞ্চার করেছে। তিনি মনে করেন, এটা বিচার বিভাগের ওপর একটা আঘাত এবং তা বিচার ব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে। কার্যকর গণতন্ত্রের জন্য বিচার বিভাগের স্বাধীনতা এবং মুক্ত বিচার ব্যবস্থা খুবই জরুরি। এরশাদ আমলে বিচার বিভাগকে খন্ডিত করার অভিজ্ঞতা পূরণ করে তিনি এও বলেন, তখন প্রধান বিচারপতিকে কীভাবে 'প্রস্থানপথ' দেখিয়ে দেয়া হয় তা আমরা দেখেছি। তিনি বলেন, বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য আইনজীবীদের দীর্ঘ সংগ্রাম করতে হয়েছে। ১৯৭২ সালে বিচারপতিদের অভিশংসনের ব্যাপারে সংসদকে ক্ষমতায়নের জন্য জাতীয় ঐকমত্য ছিল। সেই পরিস্থিতি এখন বিদ্যমান নেই। এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণ বিপরীত। দেশের বিশিষ্ট আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার রফিক-উল হক বলেছেন, বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ন্যস্ত হলে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা খর্ব হবে। এর ফলে যখনই সরকার বিচার বিভাগের ওপর অসন্তুষ্ট হবে, তখনই বিচারকদের সরিয়ে দেয়ার সুযোগ নিতে পারবে। ১৯৭২ সালে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ছিল সত্য; কিন্তু ১৯৭৮ সালে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে 'সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল' ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়। খন্দকার মাহবুব হোসেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান। সুপ্রিমকোর্ট বারের তিনি সভাপতিও। তার বক্তব্যও খুব স্পষ্ট। তার মতে, ১৯৭২ সালের সংবিধানে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ন্যস্ত করার উদ্দেশ্য ছিল বিচার বিভাগের ওপর রাজনৈতিক প্রভাব সৃষ্টি করা। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা রক্ষার উদ্দেশে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল ব্যবস্থা প্রবর্তন করেন। আওয়ামী লীগ সরকার আবার বিচার বিভাগকে নিয়ন্ত্রণ করার উদ্দেশে ৭২-এর সংবিধানের মূল ৯৬ অনুচ্ছেদটি পুনর্বহাল করার উদ্যোগ নিয়েছে। পাঠক, আমাদের জানা দরকার যে, সংবিধানে বর্তমানে যে ৯৬ অনুচ্ছেদটি সনি্নবেশিত আছে, তা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আমলে পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে মূল ৯৬ অনুচ্ছেদের স্থলে প্রতিস্থাপিত। বর্তমান লীগ সরকার সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী বাতিলপূর্বক যে পঞ্চদশ সংশোধনী করে নিয়েছে, তাতে কিন্তু জিয়ার আমলে প্রতিস্থাপিত সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল সংবলিত ৯৬ অনুচ্ছেদটি রেখে দেয়া হয়েছিল। এখন তারা তা পাল্টে দিয়ে ৭২-এর সংবিধানের মূল ৯৬ অনুচ্ছেদটি ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে। হঠাৎ তাদের কেন এটি আবার দরকার হয়ে পড়ল, তা নিয়েই এখন যত সমালোচনা। এখন আমরা ৭২-এর সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলামের কথা শুনব। তিনি বলেছেন, বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদকে দেয়া হলে তা সবকিছু ধ্বংস করে দেবে। যারা এ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পরামর্শ দিয়েছেন তারা সরকারের বন্ধু নয়। এর মাধ্যমে বিচার বিভাগের স্বাধীনতাই সঙ্কুচিত হবে না, সব কিছু ধ্বংস হয়ে যাবে। তিনি বলেন, বিচারপতিদের অভিশংসনের জন্য বর্তমান সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল ব্যবস্থা পার্লামেন্ট কর্তৃক অভিশংসনের ক্ষমতা থেকে উত্তম। তিনি আরও বলেন, ১৯৭২ সালে আমরা বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের হাতে এ উদ্দেশ্য নিয়েই অর্পণ করেছিলাম যে, এমন পদ্ধতিতে বিচারকদের নিয়োগ দেয়া হবে, যাতে অসদাচরণ বা সংবিধান লঙ্ঘনের দায়ে বিচারকদের অপসারণেরই কোনো প্রয়োজন হবে না। তিনি আরও বলেছেন, সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিদের অসদাচরণ ও অসামর্থ্যের কারণে অভিশংসনের বিষয় বিচার বিভাগীয় বিষয়। সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে এ ব্যাপারে একটা ভারসাম্য রক্ষা করা আছে। সংসদের কাছে এ ক্ষমতা গেলে ভারসাম্য নষ্ট হবে। সংবিধান বিশেষজ্ঞ ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বলেছেন আরও স্পষ্ট কথা। তিনি সরাসরি অভিযোগ করে বলেছেন, একদলীয় কর্তৃত্ববাদী সরকার কায়েমের উদ্দেশেই সরকার একটি অনুগত বিচার ব্যবস্থা কায়েম করতে চাচ্ছে। বিশিষ্ট আইনজীবী ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিকও একই মত ব্যক্ত করেছেন। মতামতগুলো অবশ্যই অর্থবহ ও মূল্যবান। সরকারের কাছে এসব মতামতের হয়তো মূল্য নেই; কিন্তু জনগণের কাছে নিশ্চয়ই আছে। যাদের মতামত তুলে ধরলাম আলোচ্য বিষয়ে মতামত দেয়ার জন্য, এরা অবশ্যই উপযুক্ত ব্যক্তি। বিষয়টিকে সরকার যেভাবে ব্যাখ্যা করছে বা উপস্থাপন করছে, সরকারের উদ্দেশ্য তেমন সাধু বলে মনে করছে না অধিকাংশ মানুষ। তারা এখন জনগণকে খুব মূল্য-মর্যাদা দিচ্ছেন। বলছেন, জনগণই রাষ্ট্রের প্রকৃত মালিক। সংসদ এ জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে। বিচারকরাও জনগণের কাছে জবাবদিহির ঊর্ধ্বে নন। এ কথা বলে বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা বর্তমান সংসদের হাতে ন্যস্ত করার সরকারি সিদ্ধান্ত গ্রহণের পেছনে সরকারের অন্য উদ্দেশ্য আছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে সর্বত্র যে আলোচনা-সমালোচনা তার সারমর্ম হচ্ছে, সরকার গণবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি হয়েছে। নিজ দলের 'বাজিকর'দেরও নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না শাসক লীগ। অভ্যন্তরীণ কোন্দল-হানাহানিতে পর্যুদস্ত শাসক লীগ। যে সংসদের ক্ষমতাবলে তারা দেশ শাসন করছেন, সেই সংসদের নৈতিক বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন আছে শুরু থেকেই। শুধু দেশে নয়, বিদেশেও। ভারতের নির্বাচনে কংগ্রেসের শোচনীয় পতন এবং বিজেপির বিস্ময়কর বিজয় ও শক্তিশালী উত্থানে বিচলিত লীগ সরকার। বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্রগুলো এবং উন্নয়ন সহযোগী দেশসহ পশ্চিমা বিশ্ব, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কমনওয়েলথ এমনকি জাতিসংঘ ৫ জানুয়ারির নির্বাচনকে অগ্রহণযোগ্য হিসেবে উল্লেখ করে বারবার সংলাপের মাধ্যমে অতিদ্রুত একটি অংশগ্রহণমূলক গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য জোরদার চাপ দিয়ে চলেছে। বিএনপি নেতৃত্বাধীন প্রকৃত বিরোধী দলগুলোও নতুন করে মাঠে নেমেছে। এবার সহজে তাদের ঘরে ঢুকিয়ে দেয়া যাবে বলে মনে হচ্ছে না। এ নানামুখী চাপে সরকারকে নার্ভাস বলে মনে হচ্ছে। তাদের হম্বিতম্বি আতঙ্কিতের আর্তনাদ বলে মনে করছেন অনেক পর্যবেক্ষক। ক্ষমতায় থাকার জন্য এখন কঠোর পন্থা অবলম্বনকেই তারা শ্রেয় মনে করছেন বলে মনে হচ্ছে। সর্বময় ক্ষমতা এক ব্যক্তির হাতে নিয়ে গণতন্ত্রের শাসনের পরিবর্তে এক ব্যক্তির শাসনই তারা চালাতে চাইছেন বলে আশঙ্কা ব্যক্ত হচ্ছে চতুর্দিক থেকে। সাম্প্রতিক সময়ের কয়েকটি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে উচ্চ আদালতের স্বতঃপ্রবৃত্ত রুল জারির ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর নেতিবাচক মন্তব্য এ ধারণাকে আরও বদ্ধমূল করছে। কিছুদিন আগেও যারা সরকারের পক্ষে বলেছেন, লিখেছেন তাদের অনেকেও সরকারকে এখন সতর্ক করছেন। কিন্তু মনে হচ্ছে, সরকার তার সিদ্ধান্তে অটল। বিরোধী মত, বিরোধী শক্তিকে দাবিয়ে রাখার ভুল পথ তারা ছাড়বেন বলে মনে হয় না। আন্তর্জাতিক গুম প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটকে ঢাকায় সমাবেশ করতে না দিয়ে সরকার ভালো বার্তা দেয়নি। সম্প্রচার নীতিমালা এবং বিচারপতিদের অভিশংসনের ক্ষমতা সংসদের নামে সরকারের তথা সরকারপ্রধানের হাতে নেয়ার সিদ্ধান্ত সরকারের খারাপ কোনো উদ্দেশের সঙ্গে সম্পর্কিত বলেই দুয়ে দুয়ে চারের মতো হুবহু মিলে যাচ্ছে। এতে শঙ্কা জাগছে জনমনে, উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশে। এ শঙ্কার, এ উদ্বেগের অবসান হোক। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/০১-০৯-০১৪:
Link copied!