বৈশাখী প্রস্তুতি শেষ, অপেক্ষা বরণের
ঢাকা : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলায় বৈশাখকে সামনে রেখে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। নির্ধারিত সময়ের আগেই কাজ শেষ করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন শিক্ষার্থীরা। প্রতিবারের মতো এবারো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা মঙ্গল শোভাযাত্রার জন্য তৈরি করছেন নানা রকম ভাস্কর্য। তারা জানান, ভাস্কর্যের কাঠামো তৈরির ও কাগজ লাগানোর কাজ শেষ, এখন বাকি তুলির আঁচড়ে রাঙিয়ে তোলা।
চারুকলার ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা জানান, শনিবারের মধ্যেই সম্পূর্ণ কাজ হয়ে যাবে। প্রতিবছরই স্বাধীনতার পক্ষে শোভাযাত্রার মাধ্যমে একটি বার্তা ফুঁটে ওঠে। এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার।
চারুকলার শিক্ষার্থীরা দু' দলে ভাগ হয়ে ভাস্কর্য এবং মুখোশ তৈরির কাজগুলো করছেন। নানা রঙ-এ সাজানো হয়েছে মুখোশগুলোকে। রাজাকার ও যুদ্ধাপরাধীর বিচার এবারের আয়োজনের মূল বিষয়।
রাজাকারমুক্ত দেশ গড়ার আহ্বান কণ্ঠে নিয়ে পয়লা বৈশাখে মঙ্গল শোভাযাত্রায় সামিল হবে সব শ্রেণি পেশার মানুষ। এমন প্রত্যাশায় শান্তি আর সংহতির এই মিছিলকে রাঙাতে চলছে বৈশাখ বরণের প্রস্তুতি। এবারের শোভাযাত্রায় প্রাধান্য পাচ্ছে বিশালাকায় সব দানবের প্রতিকৃতি - যেগুলো মানবতাবিরোধী অপরাধীদের প্রতীক বলেই জানালেন শিল্পীরা।
এদিকে রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ আয়োজনের মহড়াও সম্পন্ন। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পুরো এলাকাজুড়ে জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সব মিলিয়ে প্রস্তুতি পর্ব এখন শেষ পালা চলছে। রাত পেরুলেই আসবে পহেলা বৈশাখের সকাল। প্রতীক্ষা শুধু সেই সকালকে রাঙিয়ে দেয়ার।
ছায়ানট-এর কার্যকরী পরিষদের সদস্য লাইসা আহমদ লিসা জানান, যত রকমের ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার, সেগুলো মোটামুটি আমাদের সব করা হয়ে গেছে। আশা করছি যে বরাবরের মতো এবারও গণমানুষের ঢল নামবেই।
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :