এফএ কাপের ফাইনালে ম্যানচেষ্টার সিটি
একুশে সংবাদ : এফএ কাপের ফাইনালে নাম লিখিয়েছে ম্যানচেষ্টার সিটি। গতরাতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ম্যান সিটি ২-১ গোলে হারিয়েছে চেলসিকে। দলের পক্ষে গোল দু’টি করেন সামির নাসরি ও সার্জিও আগুয়েরো। আর চেলসির পক্ষে একমাত্র গোলটি করেন দেম্বা বা।
ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের শিরোপা জয় প্রায় শেষই হয়ে গেছে ম্যানচেষ্টার সিটির, এমনটা বলাই যায়। কারন পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা ম্যানচেষ্টার ইউনাইটেড থেকে ১৫ পয়েন্টে পিছিয়ে রয়েছে ম্যান সিটি। তাই লীগ শিরোপার চিন্তা-ভাবনা অনেকাংশে ছেড়েই দিয়ে তারা। সেজন্য মৌসুমটাকে ভালোভাবে শেষ করার জন্য এফএ কাপ জয়ই মূল লক্ষ্য এখন ম্যান সিটির।
সেই লক্ষ্যে চেলসির মাঠে বেশ সর্তকভাবেই খেলতে নামে ম্যান সিটি। ম্যাচের শুরু থেকে আক্রমনে না গিয়ে মধ্যমাঠ দখলের দিকে মনোযোগী হয় তারা। ফলে বেশ সফলও হয় রর্বাতো মানচিনির শিষ্যরা। কিন্তু মনের স্বাদ পূরন করতে পারছিল না ম্যান সিটি। প্রতিপক্ষের জালে বলকে স্পর্শ দিতে পারছিল না সফরকারীরা।
অবশেষে ৩৫ মিনিটে সাফল্যের মুখ দেখে ম্যান সিটি। ইয়া ইয়া তরু ও সার্জিয়ো আগুয়েরোর সম্বনয়ে গড়ে উঠা আক্রমণটিকে গোলে পরিণত করেন ফ্রান্সের মিডফিল্ডার সামির নাসরি। তাতেই ম্যাচে ১-০ গোলে এগিয়ে যায় ম্যান সিটি।
প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয়ার্ধে আত্মবিশ্বাসটা বেশ ফুরফুরেই ছিল তাদের। ম্যাচের দ্বিতীয়ভাগে মাঠে বল গড়ানোর দু’মিনিট পরই বুঝা গেল ম্যান সিটির আত্মবিশ্বাসটা কতটা টগবগে ছিল। কারণ মাঠে বল গড়ানোর দু’মিনিটের সময় গোলের ব্যবধান দ্বিগুন করে ফেলে ম্যান সিটি। গোলটি করেন আর্জেন্টিনার আগুয়েরো।
দ্বিতীয় গোল হজমের পরও মুচড়ে পড়েনি চেলসি। খেলায় ফিরে আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে তারা। সেই সুবাদে আক্রমণের ধারও বাড়িয়ে দেয় চেলসি। ফলে ম্যাচে প্রথম গোলের স্বাদ পায় স্বাগতিকরা। ৬৬ মিনিটে দাম্বা বা গোল করে ব্যবধান কমান। এরপর ম্যাচের বাকী সময় সমতা আনার জন্য অনেক চেষ্টা করেছিল চেলসি। কিন্তু তাদের পক্ষে কথা বলেনি ভাগ্য। ফলে হারের তেতো স্বাদ নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় চেলসিকে। আর শেষ চারের লড়াই জিতে ফাইনালে উইগানের প্রতিপক্ষ হিসেবে নাম লেখায় ম্যান সিটি।
এই ম্যাচ হারের জন্য ব্যস্ত সূচীকেই দুষলেন চেলসির ম্যানেজার রাফায়েল বেনিতেজ। দলের খেলোয়াড়দের পক্ষে থেকে তিনি বলেন, ‘সপ্তাহে দুটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলা খুবই কষ্টসাধ্য। এতে খেলোয়াড়রা অনেক বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়ে। ঠিক এমন অবস্থা হয়েছে আমার দলের খেলোয়াড়দেরও। যাই হোক এখন আর কিছ্ইু করার নেই। ম্যাচ হেরে বিদায় নিয়েছি। তাই এখন মনোযোগ দিতে চাই লীগের দিকে। ভালো অবস্থায় থেকে লীগটা শেষ করতে চাই আমরা।’
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :