বগুড়ায় আমন ঘরে তোলার সাথে সাথে কৃষক এখন সেই জমিতে আলু চাষ শুরু করেছে। কৃষক কোথাও আলুর বেড তৈরি করছে, আগাম আলু চাষের জমিতে সেচ দেয়া হচ্ছে। আবার কোন জমির আমন কাটার পর আলু চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করা হচ্ছে। বগুড়ায় এবার ১২ লক্ষাধিক মেট্রিকটন আলু উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে নবান্নকে সামনে রেখে পহেলা অগ্রহায়ণের আগে বগুড়ার আলু চাষিরা আগাম আলু চাষ করে থাকেন। নতুন ধান নতুন আলুর সাথে মাছ অথবা মাংস দিয়ে নবান্ন উৎসব পালন করে থাকে বগুড়ার মানুষ। এবার আগাম আলু চাষ করে দামও বেশ ভালো পেয়েছে কৃষক।
আমন ঘরে তোলার সাথে মাঠে মাঠে কৃষক আলু চাষে মনোযোগ দিয়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক এনামুল হক জানান, এবার বগুড়ায় ৫৭ হাজার হেক্টর জমিতে ১২ লাখ ২৫ হাজার আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কৃষি বিভাগ।
বগুড়ায় নানা জাতের আলু উৎপাদন হয়ে থাকে। এর মধ্যে স্থানীয় লাল ফাটা পাখড়ি, রুমান, উচ্চ ফলনশীল আলু কার্ডিনাল, গ্রানুলা, লেডি রোজেটা, বিনোলা.’ এস্টিনিক্স। এ মূহুর্তে জেলায় লাল ফাটা পাখড়ি, গ্রানুলাবেশি উৎপাদন হয়ে থাকে। দেশীয় জাতের লাল ফাটা পাখড়ী আলু বেশ জনপ্রিয়। কার্ডিনাল, গ্রানুলা আলু দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশের রফতানি হয়ে থাকে।
আলুর চাষ দিন দিন বাড়ছে। গত ২ বছর আগে বগুড়ায় আলুর চাষ হয়েছিল সাড়ে ৫৫ হাজার হেক্টর জমিতে। এ বছর বগুড়ায় আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৭ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে ।
একুশে সংবাদ/ বা.স.স/ রখ
আপনার মতামত লিখুন :