AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

কুড়িগ্রামে চরে চাষাবাদ, কর্মসংস্থান বেড়েছে নারী-পুরুষের


Ekushey Sangbad
নয়ন দাশ, কুড়িগ্রাম
০৭:২৬ পিএম, ১২ নভেম্বর, ২০২৩
কুড়িগ্রামে চরে চাষাবাদ, কর্মসংস্থান বেড়েছে নারী-পুরুষের

কয়েক মাস আগেও কুড়িগ্রামের তিস্তা নদীতে ছিল অথৈই পানি। এখন সেই পানি শুকিয়ে যাওয়ায় তিস্তার বুকে জেগে উঠেছে চর। যেদিকে দু-চোখ যায় শুধু ধু-ধু বালুচর। এ বালুচরে স্থানীয় কৃষকরা আলু, পেঁয়াজ, রসুন ও মিষ্টিকুমড়া রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ব্যাপক পরিসরে তিস্তার চরে চাষাবাদ হওয়ার ফলে কর্মসংস্থান হয়েছে অনেক পুরুষ ও নারী শ্রমিকের। কেননা কৃষি সেক্টর ছাড়া, তেমন কোনো কাজের সুযোগ নেই এ অঞ্চলে।

কৃষকরা বলেন, এ বছর বন্যায় ভারত থেকে পানির সঙ্গে কাঁদা পানি আসার ফলে তিস্তা নদীর বালু মাটিতে পলি জমেছে। ফলে এসব জমিতে বিভিন্ন আবাদ ভালো হওয়ার সম্ভাবনা দেখছেন তারা।

জানা গেছে, তিস্তা নদীটি নীলফামারী সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে লালমনিরহাট হয়ে কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট, উলিপুর ও চিলমারী উপজেলা হয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে মিলিত হয়েছে। দেশের অভ্যন্তরে ১১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এ নদীটি কুড়িগ্রাম অংশে পড়েছে ৪০ কিলোমিটার।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলায় আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ হাজার হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত সাড়ে ৫০০ হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ ও ১৫০ হেক্টর জমিতে মিষ্টিকুমড়ার আবাদ অর্জিত হয়েছে। তবে এখনো পেঁয়াজ ও রসুনের পরিসংখ্যান হাতে পায়নি কৃষি বিভাগ।

কৃষি বিভাগ জানান, কুড়িগ্রামের বিভিন্ন চরাঞ্চলের ৪৫ হাজার হেক্টর জমির মধ্যে ৩৪ হাজার হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রকার আবাদ করা হয়ে থাকে। 

পানি শুকিয়ে যাওয়ায় তিস্তার বুকে জেগে উঠেছে চর।

উলিপুর উপজেলার দলদলিয়া ইউনিয়নের চাপড়ার পাড় এলাকার কৃষক জিয়াউর রহমান বলেন, আমার তিস্তার চরে এক একর জমি আছে। সেই জমিতে প্রতিবছর বিভিন্ন আবাদ করেই চলি। চরের এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষে সব মিলিয়ে খরচ হয় প্রায় ১৫-২০ হাজার টাকা। আর এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজ উৎপাদন হবে ৩০-৩৫ মণ। আমাদের এখানকার অনেকে চরে বিভিন্ন আবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে।

একই উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের গড়াইপিয়ার এলাকার সিরাজুল ইসলাম বলেন, আমি ১০ একর চরে জমি লিজ নিয়েছি। সেখানে আলু, পেঁয়াজ ও রসুন রোপণের প্রস্তুতি নিচ্ছি। চরের জমিতে বিভিন্ন ফসল আবাদ করেই আসলে জীবীকা নির্বাহ করি আমি।

তিস্তার চরে কাজ করতে এসেছেন আলেয়া বেগম (৫০) নামের এক নারী। তিনি বলেন, সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কাজ করলে মজুরি পাই ২০০ টাকা। পুরুষরা পান ৪০০ টাকা। মজুরিটা একটু বেশি হলে ভালো হতো। তারপরেও নিয়মিত কাজ থাকার কারণে সংসারে একটু অভাব কমেছে। এইরকম কাজ সারাবছর থাকলে, আমার মত পরিবারগুলোর অনেক ভালো হতো।

ঘোড়ার গাড়ি চালক রহিম মিয়া বলেন, পুরোদমে কাজ চলছে তিস্তার চরে। জমিতে আমরা বিভিন্ন মালামাল পরিবহন করছি। সেখানে তো অন্য কোনো গাড়ি যায় না। তাই ঘোড়ার গাড়ি ভরসা। আমার কাজেরও ব্যস্থতা বেরেছে। নিয়মিত এমন কাজ থাকলে, আয়টা ভালো হয়।

কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, আমাদের কৃষকরা শীতকালীন আলু, সরিষা, পেঁয়াজ, রসুন ও মিষ্টিকুমড়া রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এদিকে আগাম অনেক শাকসবজিও পাওয়া যায়। যেহেতু কৃষকরা দাম ভালো পায়, তাই একটু বেশি পরিসরে আবাদে করার জন্য উৎসাহী হচ্ছেন। আমরা তাদেরকে সবসময় পরামর্শ দিয়ে আসছি।

Link copied!