রাজশাহীর তানোরে দিগন্ত মাঠজুড়ে আলুর সমারোহ। চারিদিকে আলুর পরিচর্যায় ব্যস্ত কৃষকরা। যেন দম ফেলার সময় নেই চাষীদের মাঝে। ভোর থেকে আলুর জমিতে সেচ দেয়া থেকে শুরু করে রোগবালাই দমনে স্প্রে করছেন বিভিন্ন কীটনাশক।
উপজেলার বিভিন্ন আলুর মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, আলুর সবুজ পাতায় ছেয়ে গেছে পুরো মাঠ। আবার কারো কারো জমিতে সবুজ হয়ে আলুর গাছ বের হতে শুরু হয়েছে। ফলে একপ্রকার আলু চাষিদের চোখেমুখে ফুটে উঠেছে স্বস্তির ঝিলিক।
কৃষকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে আলু চাষিদের জন্য বড় সমস্যা হয়ে দাড়িয়েছিল পটাশ সার। আলু রোপণের সঠিক সময়ে পটাশ সার না পাওয়ায় অনেকটা বিলম্ব হয়েছে কৃষকের আলু রোপণ করা। অনেক কৃষক পটাশ সার না পেয়ে কমিয়েছেন আলু চাষ করা। ফলে উপজেলা জুড়ে গতবারের চাইতে তুলনামূলক অনেক কম জমিতে আলু চাষ হয়েছে। আর এই আলু চাষ কম হওয়ার একটাই কারণ হচ্ছে পটাশ সার না পাওয়া।
উপজেলার তালন্দ ইউপির নারায়নপুর গ্রামের প্রশিদ্ধ আলু চাষি মইফুল ইসলাম বলেন, এবার শুধু পটাশ সার সংকটের জন্য বেশি আলু চাষ করতে পারিনি। অথচ গত মৌসুমে পটাশ সার সংকট না থাকায় প্রায় ১২০বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছিলাম। আর এবার শুধু পটাশ সার সংকটের জন্য মাত্র ৭৫বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। তাও পটাশ সার বাহিরে থেকে বেশি দাম দিয়ে কিনে এনে আলু চাষ করতে হয়েছে। তবে আশা করা যাচ্ছে, যদি আকাশের আবহাওয়া অনুকূলে থাকে তাহলে গতবারের চাইতে এবার আলুর ফলন ভালো হবে এবং দামও ভালো পাওয়া যাবে।
তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউপির যশপুর গ্রামের বকুল কুমার জানান, গতবছর তিনি ২৫বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছিলেন। কিন্তু এবার সঠিক সময়ে পটাশ সার না পাওয়ায় তিনি মাত্র ১৫বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৩ হাজার ৫৫০ হেক্টর জমি। তানোর উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহমেদ বলেন, প্রথম প্রথম পটাশ সার সংকট ছিলো কিন্তু বর্তমানে কোন সংকট নেই। আশা করা যাচ্ছে আকাশের আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবার আলু চাষে লাভবান হবেন তানোরের আলু চাষিরা।
একুশে সংবাদ/সা.হ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :