বাসে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগের ঘণ্টাব্যাপী ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।
বাসে ওঠাকে কেন্দ্র পরিবহন শ্রমিকেরা ওই শিক্ষার্থীকে মারধর করে বলে অভিযোগ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের। শনিবার সকাল ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে এই ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার হয়েছেন ফয়সাল শাহরিয়ার মাস্টার্সের শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, দপদপিয়া জিরো পয়েন্টে যাওয়ার জন্য ফয়সাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে একটি বাসে ওঠার চেষ্টা করেন। এই নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে বাসের স্টাফরা ফয়সালকে মারধর করে। এর পরপরই শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের ঢাকা-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এতে এক ঘন্টা বাসসহ সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা সড়ক থেকে সরে যায়।
ফয়সাল শাহরিয়ার বলেন, আমি জিরো পয়েন্টে যাওয়ার উদ্দেশে দাঁড়িয়ে থাকি। আমি কোথায় যাবো জিজ্ঞাসা করলে বলি যেখানে যাবো সেখানে নামিয়ে দিলেই হবে। সঙ্গে সঙ্গে বাসের স্টাফ কালাম নামে একজনসহ সাত-আট জন আমার ওপর চড়াও হয় আর অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে। আমার জামার কলার ধরে কিলঘুষি মারে।
আবদুল ফয়েজ নামে এক ছাত্র জানান, আমাদের এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় সড়ক অবরোধ করেছিলাম। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার। যে কারণে সড়ক থেকে সরে গিয়েছি আমরা।
বরিশালের রুপাতলী বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওছার হোসেন শিপন বলেন, যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে তারা কেউ বাসের স্টাফ না। তারা বহিরাগত। বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে। বর্তমানে বাস চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মো. খোরশেদ আলম বলেন, বিষয়টি নিয়ে পুলিশ ও বাস মালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।
বরিশাল বন্দর থানা পুলিশের ওসি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ভুল বোঝাবুঝি নিয়ে ঝামেলাটা হয়েছিল। বাস চলাচল কিছু সময়ের জন্য বন্ধ ছিল। এখন সব কিছু স্বাভাবিক রয়েছে। বাস মালিক সমিতি ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।
একুশে সংবাদ/এস.তু/এস.আই
আপনার মতামত লিখুন :