না ফেরার দেশে চলে গেলেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের সহযোগী অধ্যাপক হেমায়েত উদ্দিন। তিনি শিক্ষা ক্যাডার এর ১৬ ব্যাচের একজন কর্মকর্তা।
শনিবার (৮ অক্টোবর) ভোর সাড়ে ৩ টায় রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
ধার্মিক, অত্যন্ত সজ্জন, অন্যের উপকারে ঝাঁপিয়ে পড়ার মানসিকতা সম্পন্ন ও নীতিবান এ মানুষটি সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসাবে নিযুক্ত ছিলেন।
তার প্রথম জানাযায় নামাজ আজ ফজরের নামাজের পর ঢাকায় অবস্থানরত ঠিকানায় সম্পন্ন হওয়ার পর তার মৃত দেহ ঝালকাঠি তার নিজ বাড়ীতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে যোহরের নামাজের পর দ্বিতীয় জানাযা শেষ তাকে দাফন করার কথা রয়েছে।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও সপ্তম শ্রেণীতে পড়ুয়া একমাত্র ছেলেসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের রেখে গেছেন।
এই সময় তার সহকর্মী ব্যবস্থাপনা বিভাগের সম্মানিত শিক্ষক কুদ্দুস চৌধুরী স্যার মৃত হেমায়েত স্যারকে শেষ বারের মতো দেখতে গিয়েছিলেন কিন্তু এর আগেই তার মৃত দেহ তার বাড়ীর উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। শেষ বারের মতো না দেখতে পেয়ে অবশেষে ভাঙা মন নিয়ে তাকে ফিরতে হয়েছে।
স্যারের মৃত্যুতে ফেসবুকে স্টাটাসের মাধ্যমে শোক প্রকাশ করেছেন স্যারের সহকর্মী অন্যান্য শিক্ষক মন্ডলীগণ, সাধারণ শিক্ষার্থী, সোহরাওয়ার্দী কলেজ সাংবাদিক সমিতি সহ অন্যান্য বেশ কিছু সংগঠন। স্যারের এভাবে হঠাৎ চলে যাওয়া মেনে নিতে পাচ্ছে না ছাত্র/শিক্ষক কেউ-ই।
প্রতিষ্টানটির অধ্যক্ষ মোহসীন কবীর তার ফেসবুক প্রফাইলে একটি স্টাটাসের মাধ্যমে শোক প্রকাশের পরে লিখেন, " কোনো অসুখবিসুখের কথা শুনলাম না, প্রাণবন্ত ছেলেটা চলে গেলো! সাথে সাথে খবর নিয়ে জানলাম তার মরদেহ নিয়ে আত্মীয় পরিজন গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠির পথে আছেন, শেষ দেখাটাও হলো না আর! সেখানে বাদ জোহর তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।"
অধ্যক্ষ আরো লিখেন, "ওর সাথে আমার পরিচয় বহু বছরের। দেখা হলেই স্মিতহাসি দিয়ে সম্বোধন করে শিক্ষা ক্যাডারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতো। সে ছিলো শিক্ষাক্যাডার অন্তঃপ্রাণ। বেশ কয়েকমাস আগে আমাদের সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজে বদলি হয়ে এসেছে, তাকে সহকর্মী হিসেবে পেয়ে সত্যিই আমরা গর্বিত ছিলাম। তাকে হারিয়ে আমরা অসহায় হয়ে গেলাম, আমাদের কলেজেরও অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে গেলো।"
তিনি আরো লিখেন, মহান আল্লাহ তাআলা মরহুমকে জান্নাতুল ফিরদাউস নসিব করুন, আর শোক সন্তপ্ত পরিবারকে অনিবার্য সত্যের এ কষ্ট কাটিয়ে ওঠার তৌফিক দান করুন, আমিন। সবাই এ ভালো মানুষটির জন্য দোয়া করবেন।
একুশে সংবাদ/জা.হা/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :