রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ছয় শিক্ষার্থী বিরুদ্ধে র্যাগিংয়ের অভিযোগ করেছেন একই বিভাগের জুনিয়র এক শিক্ষার্থী।
বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর দপ্তরে ভুক্তভোগী এ নিয়ে একটি অভিযোগ জমা দেন। এ ঘটনায় অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি গঠন করেছে ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ।
ইনস্টিটিউটের ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী ফাতিন নাওয়াল আল-বারীর অভিযোগে একই ইনস্টিটিউটের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী আতিফা হক শেফা, আতিকুর রহমান, তাজনোভা থিমি, মেহেদী হাসান, শাহবাজ আহমেদ তন্ময় ও আকাশ মাহবুবকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
এদের মধ্যে আতিফা হক শেফা, আতিকুর রহমান ও তাজনোভা থিমি ছাত্রলীগের পদে রয়েছেন।
অভিযোগপত্র থেকে জানা গেছে, গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইনস্টিটিউটের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের এক জুনিয়রের সাথে ক্যাম্পাসের বাইরে একটি রেস্তোঁরায় খেতে যান ফাতিন নাওয়াল। সেখানে ইনস্টিটিউটের সিনিয়রদের (অভিযুক্তদের) সাথে দেখা হয়। তারা সেখানে নানাবিধ অশালীন কথাবার্তা ও অপ্রত্যাশিত অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে থাকেন।
এই ঘটনা নিয়ে ভুক্তভোগী ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন। এটা নিয়ে পরবর্তীতে অভিযুক্তরা তাকে মানসিকভাবে হেনস্তা করেন। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগীকে ডেকে শারীরিক নির্যাতন করে অভিযুক্তরা। সিনিয়রকে দিয়ে ভুক্তভোগীর সাথে ঘুরতে যাওয়া মেয়েকে ধর্ষণের হুমকি দেন অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেত্রী শেফা।
এ ঘটনায় নিজের নিরাপত্তা চেয়ে প্রক্টর বরাবর অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, এটা খুবই তুচ্ছ ঘটনা। সে আমাদের খুবই কাছের ছোট ভাই। বিষয়টা ইনস্টিটিউটের স্যারদের জানানো হয়েছে। তারা এটা দেখছেন।
আরেক অভিযুক্ত আতিফা হক শেফাকে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, এই ঘটনায় বিভাগে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা অভ্যন্তরীণভাবে বিষয়টা দেখছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, র্যাগিং ও নির্যাতনের একটি অভিযোগপত্র পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে বিভাগের পরিচালকের সাথে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
একুশে সংবাদ/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :