কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ছাত্রলীগের তিন নেতাকে হামলায় ‘ইন্ধনদাতা’ হিসেবে বিশ্ববিদ্যায়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকীর অপসারণসহ পাঁচ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এছাড়া শাখা ছাত্রলীগের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের একটি অংশও মানববন্ধনে যোগ দিয়েছেন।
রোববার (১২ মার্চ) সাড়ে দশটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী বিভাগের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় প্রধান ফটকে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
এতে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটক থেকে শুরু করে ব্যবসা শিক্ষা অনুষদ পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রলীগের সাড়ে তিনশো নেতাকর্মী এতে অংশ নেন।
মানবনন্ধন কর্মসূচিতে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড ও ব্যঙ্গচিত্র হাতে ছাত্রলীগ নেতাকর্মী ও শিক্ষার্থীদের দেখা গেছে। এতে প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীকে উদ্দেশ্যে করে ‘প্রক্টর রানা এক আতঙ্কের নাম’, ‘আমাদের নিরাপত্তা কোথায়?’ ‘হ্যাভ এ রিল্যাক্স, রানা ভাই জোস’ ‘আমি প্রক্টর আমি রানা’ ‘প্যারা নাই চিল’ সংবলিত প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে।
শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের সভাপতি রাফিউল আলম দীপ্ত তার বক্তব্যে বলেন, ’প্রক্টরের মদদে দত্ত হলের সাধারণ সম্পাদক এনায়েত উল্লাহকে নৃশংস ভাবে আক্রমণ করে বহিরাগতরা। আমরা প্রক্টরের প্রত্যাহার চাই।’
মানববন্ধনে লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘স্যার, আপনি অযোগ্য মানুষ; আপনি পদত্যাগ করুন। অন্য কোন প্রক্টর থাকাকালীন এত সমস্যার সম্মুখীন হয় নাই শিক্ষার্থীরা।’
নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শারমিন মেঘলা বলেন, ‘সম্প্রতি ক্যাম্পাসের বাহিরে সংঘটিত মারধরের ঘটনায় দায় না নিতে পারায় প্রক্টরের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি চাই। বিশ্ববিদ্যালয় একটি মুক্ত চিন্তাধারা একটি স্থান। কিন্তু আমরা মুক্ত চিন্তাধারার প্রতিফলন করতে পারিনি। বিগত কয়েক মাসের ব্যবধানে আমরা দেখতে পাই প্রক্টর স্যারের প্রত্যক্ষ মদদে ক্যাম্পাস বারবার উত্তপ্ত হয়েছে।’
পাঁচ দফা দাবির বাকিগুলো হলো- কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) শিক্ষার্থীদের উপর হামলাকারীদের গ্রেফতার; অস্ত্রধারী, অছাত্র ও খুনের মামলার আসামীদের ক্যাম্পাসে প্রবেশে আজীবন নিষেধাজ্ঞা; আহত শিক্ষার্থী এনায়েত উল্লাহ এবং মো: সালমান চৌধুরীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার; সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা প্রদানপূর্বক নিরাপদ ক্যাম্পাস সুনিশ্চিত করা।
এর আগে গত ৮ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা খালেদ সাইফুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি বিপ্লব চন্দ্র দাস স্থানীয় যুবদল নেতা ও তাঁর অনুসারীদের নিয়ে ৩ ছাত্রলীগ নেতার উপর হামলা চালায়। পরে ক্যাম্পাসে প্রক্টরিয়াল বডির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি করেন ছাত্রলীগ নেতারা।
একুশে সংবাদ.কম/ম.ই.প্র/জাহাঙ্গীর
আপনার মতামত লিখুন :