গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার বাইরে নিজস্ব পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিতে এখনো একাট্টা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শিক্ষক সমিতি।
ইবিকে গুচ্ছে থাকার বিষয়ে ইউজিসির অনুরোধের পর মঙ্গলবার শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সভা শেষে আবারো একই সিদ্ধান্ত হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. তপন কুমার জোদ্দার। এছাড়াও ৪ এপ্রিলের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির সভা আহবান করে নিজস্ব প্রক্রিয়ায় ভর্তি কার্যক্রম শুরু করার জন্য ভিসিকে অনুরোধ জানিয়েছেন তারা।
জানা যায়, সমন্বয়হীনতা, বিড়ম্বনা, ভোগান্তি সহ নানা অসন্তোষের অভিযোগ এনে গত ১৯ মার্চ নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় একাডেমিক কাউন্সিল। পরে ইউজিসির আয়োজিত গুচ্ছভুক্ত পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সভায় শিক্ষক সমিতির গুচ্ছে না থাকার এ সিদ্ধান্ত জানায় ভিসি। তবে সেখানে আবারো ইবিকে গুচ্ছে থাকার আহবান জানায় ইউজিসি। পরে ক্যাম্পাসে ফিরে ভিসি শিক্ষক সমিতির সঙ্গে মতবিনিময়কালে ইউজিসির অনুরোধ ও গুচ্ছে থাকার বিষয়ে আলোচনা করেন। এর প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় আবারো গুচ্ছে অংশ না নিয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়াও সভায় আগামী ৪ এপ্রিলের মধ্যে নিজস্ব প্রক্রিয়ায় ভর্তি কার্যক্রম শুরু করার জন্য ভিসিকে অনুরোধ জানিয়েছে সমিতি।
সমিতির সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. তপন কুমার জোদ্দার বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এজন্য চাইলেই এ সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তকে সবার সম্মান জানানো উচিত। ভিসি এককভাবে এ সিদ্ধান্তের বাইরে যেতে পারেন না। একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা মহান জাতীয় সংসদ ভবন থেকে আইনের মাধ্যমে দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষক সমিতির সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন বলেন, একাডেমিক কাউন্সিলে নিজস্ব পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্তকে অগ্রাহ্য করা বিশ^বিদ্যালয়ের জন্য সম্মানহানীকর।
এরআগে, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি কার্যনির্বাহী সভা ও সাধারণ সভায় গুচ্ছ থেকে সরে এসে একক পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়। একইসঙ্গে সরকারকে সেই সিদ্ধান্ত পূর্নঃবিবেচনার দাবি জানান তারা। এসব সিদ্ধান্ত চিঠি আকারে ভিসিকে জানানো হয়। পরে গত ১৫ মার্চ আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন শাপলা ফোরাম, বিএনপিপন্থীদের জিয়া পরিষদ ও সাদা দল এবং জামায়াতপন্থীদের গ্রীণ ফোরামের সঙ্গে পৃথকভাবে আলোচনায় বসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সভায় শিক্ষক সংগঠনগুলো গুচ্ছের বিপক্ষে মত দেন। পরে গত ২০ মার্চ ভিসি প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম ইবির শিক্ষকদের সিদ্ধান্ত ও শিক্ষক সমিতি বিষয়টি ইউজিসির কাছে তুলে ধরেন। তবে যারা ইতোপূর্বে গুচ্ছ প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছিল সেসব বিশ্ববিদ্যালয়কে কোনোক্রমেই বাইরে যাওয়া যাবে না বলে জানায় ইউজিসি।
একুশে সংবাদ/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :