ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লালন শাহ হলে বৈধ সিট থেকে নামিয়ে দেওয়া মাহাদী হাসান নামের সেই শিক্ষার্থী হলের বরাদ্দ পাওয়া সিটে উঠেছেন আজ।
সোমবার (৩ এপ্রিল) বেলা ১২টায় হল প্রভোস্ট ও আবাসিক শিক্ষকদের উপস্থিতিতে তাকে হলের ৪২৮ নং কক্ষের বৈধ সিটে উঠিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। এদিকে এ ঘটনায় যথাযথ তথ্য উদঘাটনে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হল প্রশাসন।
ভুক্তভোগী মাহাদীকে হলে উঠানোর সময় উপস্থিত ছিলেন হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ওবাইদুল ইসলাম, আবাসিক শিক্ষক আব্দুল হালিম, সহকারী প্রক্টর ড. আমজাদ হোসেন, শরিফুল ইসলাম ও শাহাবুব আলম।
এদিকে ভুক্তভোগী মাহাদী হলে উঠলেও এখনো নিরাপত্তা শঙ্কায় আছেন বলে জানিয়েছে। তিনি বলেন, প্রভোস্ট আমাকে সিটে উঠিয়েছেন। তবে আমি এখনও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ বিষয়ে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ওবাইদুল ইসলাম বলেন, হল প্রশাসন ও প্রক্টরিয়াল বডি মিলে তাকে সিটে উঠিয়ে দিয়েছি। আর ছাত্রলীগকে বলে দিয়েছি যে ওই ছেলের যেন কোন ডিসটার্ব না হয়। যদি ডিসটার্ব হয় তাহলে আমি তোমাদের চার্জ করবো।
এদিকে, এ ঘটনায় হলের আবাসিক শিক্ষক ড. হেলাল উদ্দীনকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করেছে হল প্রশাসন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- হলের আবাসিক শিক্ষক ড. পার্থ সারথি লস্কর ও সহকারী প্রক্টর শরিফুল ইসলাম জুয়েল। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার ইবির লালন শাহ হলে বৈধ সিট থেকে এক আবাসিক শিক্ষার্থীকে নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের অনুসারীদের বিরুদ্ধে। এসময় ওই ছাত্রের বৈধ কক্ষে গিয়ে বই, খাতা ও আসবাবপত্র করিডোরে ফেলে দিয়ে যেখানে ইচ্ছা চলে যেতে বলেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী। এর প্রেক্ষিতে বিচার চেয়ে শনিবার সকালে ভুক্তভোগী মাহাদী হাসান হলের প্রভোস্টের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযুক্ত তিন ছাত্রলীগ কর্মী হলেন, বাংলা বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের তরিকুল ইসলাম তরুণ, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ফাহিম ফয়সাল ও বাংলা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আতাউর রহমান রাজু।
একুশে সংবাদ/এসএপি
আপনার মতামত লিখুন :