AB Bank
ঢাকা বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ২২ মাঘ ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

কুবিতে নানা আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন


কুবিতে নানা আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন

‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা-্’ এ প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে পহেলা বৈশাখ ও শুভ নববর্ষ-১৪৩০ উদযাপনে মঙ্গল শোভাযাত্রা করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার। 

 

শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে দশটায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে এ শোভাযাত্রার শুরু হয়।

 

শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক সংলগ্ন মোড় পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে পুনরায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে শেষ হয়।

 

শোভাযাত্রা শেষে উপাচার্য অধ্যাপক ড.এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, ‘বাংলা নববর্ষ বাঙালী জাতির জন্য ঐতিহ্যবাহী ও গৌরবান্বিত  একটি দিন। বাঙালী জাতির অস্তিত্বের সাথে মিশে রয়েছে পহেলা বৈশাখ। দিনটি প্রতিবছরই আমরা পালন করি। এবছর ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় স্বল্প পরিসরে আয়োজন করেছি।’

 

ধর্মীয় মুল্যবোধের প্রতি সম্মান জানিয়ে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, ‘মঙ্গল শোভাযাত্রার সাথে ধর্মের কোনো বিরোধ নেই। এটা হলো বাঙালী সংস্কৃতির অংশ। আর ধর্ম হচ্ছে আমাদের ব্যক্তিগত বিশ্বাস। ব্যক্তিগত বিশ্বাস আর সংস্কৃতির মধ্যে কখনোই পার্থক্য সৃষ্টি করা হয়নি। স্থানীয় রীতিনীতি ও সংস্কৃতিকে বাদ দিয়ে ইসলাম কোনো অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আমাদের এই অঞ্চলে কেন ইসলাম প্রসার লাভ করেছে তার পিছনে প্রধান কারণ হচ্ছে স্থানীয় রীতিনীতিকে স্বীকার করে ইসলাম তার ধর্মকে বিস্তার করেছে। সুতরাং যারা এখন বলে যে পহেলা বৈশাখ এবং ধর্ম এটা সাংঘর্ষিক এটা তাদের ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞানের অভাব বলে আমি মনে করি। তারা ইসলামকে সত্যিকারার্থে ধারণ করতে পারেনি। আমরা বাঙালী হয়েও আমরা মুসলমান এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় পরিচয়।’

 

শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, অনুষদের ডিন, হল প্রভোস্ট, বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীসহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। শোভাযাত্রা শেষে উপাচার্যের কার্যালয়ে বিশ্ববিদ্যালের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন গান ও কবিতা আবৃত্তি করেন।

 

পহেলা বৈশাখ ও বাংলা নববর্ষ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শামসুজ্জামান মিলকী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ এবং রোজা থাকার কারণে আমরা স্বল্প পরিসরে শোভাযাত্রা করেছি। এরপর আমরা শুভেচ্ছা বিনিময় করেছি। বৃত্ত কুবির মাধ্যমে আমরা ক্যাম্পাসে আলপনার কাজ করিয়েছি।’ 

 

পরিশেষে নববর্ষ উদযাপনের কমিটির সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানান তিনি।

 

একুশে সংবাদ/এসএপি

Link copied!