ইবিতে ব্যাংক কর্মকর্তাকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগ

অগ্রণী ব্যাংক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখার এক ব্যাংক কর্মকর্তাকে ছুরিকাঘাতের অভিযোগ উঠেছে এক মহিলা বিরুদ্ধে।

সোমবার (১৪ আগস্ট) বিকাল সাড়ে ৪টায় প্রশাসন ভবনের বিপরীত গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনার পর ওই কর্মকর্তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এদিকে ওই মহিলার দাবি ব্যাংক কর্মকর্তাই তার গলায় ছুরি ধরলে আত্মরক্ষা করতে গিয়ে উল্টো নিজের গলায় ছুরি লাগে।

জানা যায়, ভুক্তভোগী মঈনুল হোসেন অগ্রণী ব্যাংক ইবি শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার (ম্যানেজার লোন) পদে কর্মরত। মইনুল কুষ্টিয়া বড় আইলছাড়া দক্ষিণ পাড়ার আজাহার আলীর ছেলে। অভিযুক্ত ওই মহিলার নাম শামীমা খাতুন (৩৬)। শামীমা ভেড়ামারা মধ্যবাজার এলাকার আবু বকরের মেয়ে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে, তাদের উভয়ের মাঝে আজ বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হতে দেখা যায়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে ওই মহিলা তাকে ছুরিকাঘাত করে। এসময় ওই মহিলা পালানোর চেষ্টা করলে তাকে প্রধান ফটক এলাকা থেকে কয়েকজন যুবক ও নিরাপত্তা কর্মীরা আটক করে প্রশাসন ভবনে নিয়ে যায়। পরে প্রক্টরিয়াল বডি ও নিরাপত্তা কর্মীরা ওই মহিলাকে ইবি থানার পুলিশে সোপর্দ করেন।

এদিকে শামীমার দাবি, ২০২১ সালের ৪ এপ্রিল তাকে ভালোবেসে বিয়ে করে মঈনুল। কিন্তু এখন তিনি তাকে স্ত্রী হিসেবে স্বীকার করতে অস্বীকৃতি জানান। দীর্ঘদিন যাবত তাকে অবহেলা করার জের ধরে আজ দীর্ঘসময় কথা-কাটাকাটি হয়৷ একপর্যায়ে ধ্বস্তাধস্তি শুরু হলে তার গলায় ছুরি ধরে মঈনুল। পরে আত্মরক্ষা করতে গিয়ে উল্টো ছুরি লাগে মঈনুলের গলায়। এসময় ওই মহিলার হাতও কেটে যায়।

ওই কর্মকর্তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া চিকিৎসক জানান, হঠাৎ উনি রক্তাক্ত অবস্থায় মেডিকেলে আসে। আমরা অবস্থা বেগতিক দেখে তাৎক্ষণিক গলায় ব্যান্ডেজ করে দিয়েছি৷ পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

অগ্রণী ব্যাংক ইবি শাখার ম্যানেজার হাসিবুজ্জামান হাসিব বলেন, মামলার প্রক্রিয়া চলমান। ব্যাংক কর্মকর্তার স্ত্রী আসলে থানায় মামলা করা হবে।

ইবি থানার ওসি আননূর জায়েদ বিপ্লব বলেন, ঘটনাটি শুনে আমরা সাথে সাথেই ঘটনাস্থলে যায় এবং মহিলাকে আটক করি। এ বিষয়ে কোন অভিযোগ বা মামলা হলে আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেবো।

একুশে সংবাদ/আ.হ.প্র/জাহা