জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের বিভিন্ন বর্ষের সর্বোচ্চ ফলাফল অর্জনকারী ৬ জন মেধাবী শিক্ষার্থীকে `অধ্যাপক ড. মোঃ এনামুল হক খান ফাউন্ডেশন` বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।
রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. এ আর মল্লিক লেকচার হলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের হাতে বৃত্তির চেক তুলে দেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ নূরুল আলম।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ নূরুল আলম তার বক্তব্যে প্রয়াত অধ্যাপক ড. মোঃ এনামুল হক খানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, এ বৃত্তি প্রদানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভালো ফলাফল করার স্পৃহা বাড়বে। পাশাপাশি সকল শিক্ষার্থী অনুপ্রাণিত হবে। তাঁর পরিবারকে এমন উদ্যোগ নেয়ার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আশাকরি এ বৃত্তি প্রদান অব্যাহত থাকবে।
অধ্যাপক ড. এ টি এম আতিকুর রহমান বলেন, তিনি ছিলেন অসাম্প্রদায়িক ব্যক্তিত্ব। দল-মতের উর্ধ্বে গিয়ে তিনি প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে আপন করে নিয়েছিলেন। বিপদসংকুল সহ যেকোনো রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে তিনি বিপদগ্রস্ত শিক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য এগিয়ে এসেছেন। কোনো ধরনের রাজনৈতিক পরিচয় দেখেননি৷ এ বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তার এই ভাবনার কারণেই তিনি যুগ যুগ ধরে সকল শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেঁচে থাকবেন।
অধ্যাপক ড. গোলাম রাব্বানী বলেন, তিনি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ও বিভাগের একজন প্রকৃত অবিভাবক। বর্তমানে আমরা তাঁর মতো অবিভাবকের অভাববোধ করছি। যিনি বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষার্থীদের কল্যানে সবসময় এগিয়ে এসেছিলেন।
সহযোগী অধ্যাপক হোসনে আরা বলেন, প্রত্যেক বিষয়ে তাঁর সরব উপস্থিতি ছিল। শিক্ষার্থীদের কল্যানের জন্য তিনি সবসময় ভাবতেন। তাঁর মতো প্রত্যেককে মানবিক মানুষ হতে হবে। তিনি ছিলেন সকল শিক্ষার্থীর শিক্ষক।
অধ্যাপক ড. আনিছা পারভীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মোঃ মনজুরুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার এবং কলা ও মানবিকী অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোঃ মোজাম্মেল হক।
এছাড়া বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ এমরান জাহানের সভাপতিত্বে বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক আরিফা সুলতানা, অধ্যাপক ড. এ কে এম জসীম উদ্দীন, সহযোগী অধ্যাপক সুলতানা আক্তার, প্রয়াত অধ্যাপক ড. খানের স্ত্রী অধ্যাপক শেফালী নানজীন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
উল্লেখ্য, পেশাগত জীবনে অধ্যাপক ড. মোঃ এনামুল হক খান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। শিক্ষা, গবেষণা এবং ভৌত অবকাঠামো সম্প্রসারণে তার অবদান স্মরণীয়। এছাড়া তিনি ২০০৩ সালের ২ অক্টোবর থেকে ২০০৭ সালের ২ অক্টোবর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
একুশে সংবাদ/আ.জ.প্র/জাহা
আপনার মতামত লিখুন :