AB Bank
ঢাকা সোমবার, ০৭ অক্টোবর, ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

খুবিতে র‍্যাগিংয়ের এর অভিযোগ,অনুসন্ধান বলছে ভিন্ন কথা


Ekushey Sangbad
পাপড়ি খানম, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়
১০:৫৬ এএম, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
খুবিতে র‍্যাগিংয়ের এর অভিযোগ,অনুসন্ধান বলছে ভিন্ন কথা

শার্টের হাতা ভাঁজ করে ক্যাম্পাসে আসায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি)গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। তবে প্রতিবেদকের হাতে আশা বিভিন্ন প্রমাণাদিবলছে ভিন্ন কথা। শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক বরাবর এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেন।


অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মো. আমানুল্লাহ আমান শার্টের হাতা ভাঁজ করে বিকেলে ক্যাম্পাসে ঘুরতে যান। ফলে ওইদিন আনুমানিক সাড়ে ৯টায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর রুমমেটকে ফোন কল করে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী শাহ-ই-শিরিন সড়কের শহীদুলের দোকানে একা আসার নির্দেশ দেয়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী সেখানে উপস্থিত গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা ডিসিপ্লিনের প্রথম বর্ষ দ্বিতীয় টার্মের তিন শিক্ষার্থীসহ ৫-৬ জনকে দেখতে পান। তারা প্রথমে তাকে ক্রমাগত গালাগালি এবং পরে পিঠে মাথায় ঘুসি দেয়, কান ধরে দাড় করিয়ে রাখে, মুখমণ্ডলে আঘাত করে। এক পর্যায়ে গলাটিপে ধরে বলে, ‘এইখানে সিসিটিভি নাই, তোরে মেরে ফেললেও কিছু হবে না।’ পরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর রুমমেটরা তাকে রাত আনুমানিক ২টায় ছাড়িয়ে নিয়ে আসে।


অভিযোগ থেকে আরও জানা যায়, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী তৎক্ষণাৎ ৯৯৯ ফোন দিয়ে সহায়তা নেন এবং খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হরিণটানা থানায় রাত্রিযাপন করেন। সকালে দুই পুলিশ সদস্য তাকে বাসায় পৌঁছে দেন।


ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী বলেন, রাত সাড়ে ৯টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত আটকে রেখে বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে। আমি চাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদেরকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিক, যাতে পরবর্তীতে কোনো জুনিয়রের সঙ্গে এমন ঘটনা না ঘটে। তবে শাস্তি ঘোষণার পর যদি তারা আমার কাছে এসে সরি বলে তাহলে আমি বিবেচনা করে দেখবো।

 

কিন্তু সরেজমিনে তথ্য প্রমাণাদি বিশ্লেষণ করলে উঠে আসে বিপরীত তথ্য। ব্যাচের গ্রুপগুলোতে তার বেশ কিছু আপত্তিকর মেসেজ দেখা যায়। যেখানে সিনিয়রদের হয়রানির চিন্তাভাবনা পরিলক্ষিত হয়। এছাড়া একটি কল রেকর্ডে ভুয়া মেডিকেল রিপোর্ট তৈরির প্রমাণ পাওয়া যায়। যেখানে অভিযোগকারী শিক্ষার্থীকে বলতে শোনা যায় প্রভাবশালী একজনের ফোন কলের মাধ্যমে আক্রমণের শারীরিক কোনো আলামত না থাকার পরও সে ভুয়া রিপোর্টটি তৈরি করতে সক্ষম হয়, যার ভিত্তিতে সে অভিযোগটি দায়ের করে।

 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা বলেন, শ্বাসরোধ করে হত্যাচেষ্টাসহ আরও যেসকল অভিযোগ আনা হয়েছে সেগুলো পুরোপুরি ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। ঘটনার আগের দিন ২৩ ব্যাচের কিছু শিক্ষার্থী অভিযোগকারী শিক্ষার্থী আমানউল্লাহ আমানের বিরুদ্ধে তার মেয়ে সহপাঠীদের উত্যক্ত করার বিষয়েজানালে আমরা তার অন্য সহপাঠীসহ তার সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করি এবং তাকে সাধারণভাবে বোঝানোর চেষ্টা করি। এরপর সে রাজনৈতিক প্রভাবখাটিয়ে নকল মেডিকেল সার্টিফিকেট তৈরি করে আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে।


এ বিষয়ে হরিণটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম জানান, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী রাত ৪টা ১১ মিনিটে ৯৯৯ এ কল করে পুলিশের সহায়তা চান এবং তিনি তখন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছেন বলে  জানান। আমরা তাকে ঘটনাস্থলে আসতে অনুরোধ জানাই এবং আমাদের একটি
মোবাইল গাড়ি সেখানে যায়। কিন্তু এর মধ্যে তিনি সরাসরি থানায় চলে আসেন এবং কয়েকজন সিনিয়র কর্তৃক নির্যাতনের ব্যাপারে জানান। পরবর্তীতে তিনি পুলিশের মাধ্যমে তার মেসে পৌঁছে দেয়ার জন্য সহায়তা চান এবং আমরা তাকে সেই সহযোগিতা করি। পরবর্তীতে এটি আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালককে জানাই। তারা বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নিবেন। তবে আমরা বিষয়টির দিকে নজর রাখছি, বড় কোনো ঘটনা ঘটলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে আলোচনা সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক অধ্যাপক মো. শরীফ হাসান লিমন জানান, আমরা র‌্যাগিং এর একটা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ইতিমধ্যে একটা তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
 

একুশে সংবাদ/স ক 

Link copied!